ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী।ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী বাংলায়।ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী

গবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী মানেই মূলত শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা থেকে নেওয়া তাঁর উপদেশ ও জ্ঞান। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও প্রেরণাদায়ক শ্রীকৃষ্ণের বাণী দিলাম, যা জীবন দর্শনের জন্য অসাধারণ নির্দেশনা দেয়:

শ্রীকৃষ্ণের কিছু অনন্ত বাণী:

"কর্ম করো, ফলের আশা করোনা।"
(Chapter 2, Verse 47)
➤ "তোমার কর্তব্য হচ্ছে শুধু কর্ম করা। ফলাফলের উপর তোমার কোনো অধিকার নেই। তাই তুমি কখনোই কর্মের ফলকে নিজের উদ্দেশ্য করে তুলো না, আবার কর্ম না করার জন্যও আসক্ত হইও না।"

"আত্মা অমর। তাকে হত্যা করা যায় না, সে জন্মও নেয় না।"
(Chapter 2, Verse 20)
➤ "আত্মা কখনো জন্ম নেয় না, কখনো মরে না। সে জন্মগ্রহণ করেনি, অনন্ত, চিরস্থায়ী, অবিনশ্বর এবং অনাদি। শরীর নষ্ট হলেও আত্মা কখনো ধ্বংস হয় না।"



"যদি তুমি জিতো, রাজ্য ভোগ করবে। যদি তুমি মৃত্যুবরণ করো, স্বর্গ লাভ করবে।"
(Chapter 2, Verse 37)
➤ "যুদ্ধে বিজয়ী হলে তুমি পৃথিবীতে সুখ ভোগ করবে, আর যদি নিহত হও, স্বর্গের সুখ লাভ করবে। সুতরাং উঠে দাঁড়াও এবং দৃঢ় সংকল্প নিয়ে যুদ্ধ করো।"

"যে সমস্ত ইচ্ছা পরিত্যাগ করেছে, যে কামনা-বাসনা মুক্ত হয়েছে, সে প্রকৃত শান্তি লাভ করে।"

(Chapter 2, Verse 71)
➤ "যে ব্যক্তি সকল বাসনা ত্যাগ করেছে, সকল কিছু থেকে মুক্ত হয়ে নির্লিপ্ত থেকেছে, সেই ব্যক্তিই প্রকৃত শান্তি লাভ করে।"

"সংসারে পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।"
➤ "এই পৃথিবীতে কিছুই চিরস্থায়ী নয়। দুঃখ যেমন আসে, তেমনি চলে যায়। সুখও তেমনি। ধৈর্য ধরো।"

"যে যেভাবে আমার কাছে আসে, আমি তাকে সেভাবেই গ্রহণ করি।"

(Chapter 4, Verse 11)
➤ "যে যেভাবে আমার শরণাপন্ন হয়, আমি তাকে সেভাবেই আশ্রয় দিই। সকল মানুষ, হে পার্থ, আমার পথেই চলেছে।"

"নিজেকে জয় করাই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ বিজয়।"
➤ "নিজের মন, ইন্দ্রিয় এবং আসক্তি জয় করতে পারা মানেই প্রকৃত বিজয়। বাইরের জয় ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু নিজেকে জয় করলে অনন্ত শান্তি লাভ হয়।"

"অহংকার ও আসক্তি ত্যাগ করো।"

➤ "যদি তুমি অহংকার এবং আসক্তি ত্যাগ করো, তবে তোমার সমস্ত বন্ধন ছিন্ন হবে এবং তুমি মুক্তির পথে এগিয়ে যাবে।"

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী বাংলায়

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কিছু বিশেষ বাণী–
                  --------------------------------------------
🌻১)জ্ঞানীর নিকট সত্যই পরম ধর্ম। 
🌻২)দুর্বলই কেবল ভাগ্যের দোষারোপ করে আর বীর ভাগ্যকে অর্জন করে। 
🌻৩)গোদান করে দড়ির উপর মায়া রেখে কি লাভ ?যখন মোহ ত্যাগ করবে, তখন নিঃস্বার্থভাবে ত্যাগ করবে। 
🌻৪)যে ব্যক্তি কৃষ্ণভাবনায় যুক্ত নয়, তার মন সংযত নয়। 
🌻৫)সকলেই সর্বতোভাবে আমার পথ অনুসরণ করো। 
🌻৬)আমি সর্বলোকের মহেশ্বর (মহা + ঈশ্বর)। 
🌻৭)আমিই সমস্ত জগতের উৎপত্তি ও প্রলয়ের মূল কারণ। 
🌻৮)আমার থেকে শ্রেষ্ঠ আর কেউই নেই। 
🌻৯)পরমাত্মারূপে আমি সকলের হৃদয়ে বিরাজ করি। 
🌻১০)পরমেশ্বর ভগবান রূপে আমি অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে সম্পূূর্ণরূপে অবগত। 
🌻১১)আমাকে প্রাপ্ত হলে আর পুনজন্ম হয় না। 
🌻১২)সর্বশ্রেষ্ঠ পরমেশ্বর ভগবানকে অনন্য ভক্তির মাধ্যমেই কেবল লাভ করা যায়। 
🌻১৩)অব্যক্তরূপে আমি সমস্ত জগতে ব্যাপ্ত আছি। 
🌻১৪)শোকের চেয়ে বড় নাশকতা আর কিছু নেই, শোক মানুষের সব শক্তিকেই নষ্ট করে দেয়, তাই শোক করো না। 
🌻১৫)ব্যবহার ও চরিত্রেই বংশের পরিচয় হয়। 
🌻১৬) মিথ্যাবাদী ব্যক্তি সর্পের চেয়েও ভয়ঙ্কর। 
🌻১৭)সত্যই এ জগতের নিয়ন্ত্রক, সত্যেই ধর্ম প্রোথিত হয়ে আছে। 
🌻১৮)মাতৃঋণ কোন সন্তানই কখনো শোধ করতে পারে না। 
🌻১৯)শেকড়হীন বিশাল বৃক্ষও যেমন সত্বরই নির্জীব হয়ে পডরে, ঠিক তেমনি নিরীহের ক্ষতিকারী শত শক্তিশালী হলেও সমূলে পতিত হয়। 
🌻২০)আমি নিজেই সমস্ত সৃষ্টির উৎস। 
🌻২১)এই জগৎ আমারই প্রকৃতির অধীন। 
🌻২২)আমিই এই জগতের পিতা। 
🌻২৩)আমিই এই জগতের বিধাতা (সৃষ্টিকর্তা)।
🌻২৪)আমি সকলের গতি। 
🌻২৫)আমি তাপ প্রদান করি এবং আমি বৃষ্টি বর্ষণ করি ও আকর্ষণ করি। 
🌻২৬)আমিই সমস্ত যজ্ঞের ভোক্তা ও প্রভু। 
🌻২৭)আমি সকলের প্রতি সমভাবাপন্ন। 
🌻২৮)সব কিছু আমার থেকে প্রবর্তিত হয়। 
🌻২৯)মনুষ্যদের মধ্যে আমি সম্রাট। 
🌻৩০)অব্যয় অমৃতের, শাশ্বত ধর্মের এবং ঐকান্তিক সুখের আমিই আশ্রয়। 
🌻৩১)আমিই সমস্ত বেদের জ্ঞাতব্য এবং আমিই বেদান্তকর্তা ও বেদবিৎ। 
🌻৩২)বেদে আমি পুরুষোত্তম নামে বিখ্যাত। 
🌻৩৩)সর্ব প্রকার ধর্ম পরিত্যাগ করে কেবল আমার শরনাগত হও। 

এই বাণীগুলি শুধু ধর্মীয় শিক্ষাই নয়, জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য অসাধারণ পথনির্দেশ। প্রতিদিনের জীবনে যদি আমরা এই জ্ঞানের আলোকে পথ চলি, তাহলে শান্তি, স্থিতি এবং সাফল্য — সবই অর্জন করা সম্ভব।
জয় শ্রীকৃষ্ণ। সকলের জানার জন্য শেয়ার করুন।

Post a Comment