পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে ১০টি বাক্য

পহেলা বৈশাখ নিয়ে কিছু কথা

পহেলা বৈশাখ বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম দিন, যা বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলে অত্যন্ত আনন্দ ও উৎসাহের সঙ্গে উদযাপন করা হয়। এটি শুধুমাত্র নতুন বছরের সূচনা নয়, বরং বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মহাসমারোহ। এই দিনে মানুষ সব পুরোনো দুঃখ-কষ্ট ভুলে নতুন আশার আলোয় পথচলা শুরু করে।

পহেলা বৈশাখের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো মঙ্গল শোভাযাত্রা। এটি একটি বর্ণিল ও নান্দনিক শোভাযাত্রা, যেখানে বিভিন্ন রঙের মুখোশ, পটচিত্র ও বিশালাকার কাঠামো বহন করা হয়। ইউনেস্কো এই শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে। এছাড়াও গ্রামীণ মেলা, লোকসংগীত, কবিগান, পল্লীগীতি এবং নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে সারাদেশ জুড়ে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়।


এই দিনটি ব্যবসায়ীদের জন্যও বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। তারা হালখাতা উৎসবের মাধ্যমে পুরোনো হিসাব-নিকাশ শেষ করে নতুন খাতা খোলে এবং ক্রেতাদের মিষ্টিমুখ করিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। পান্তা-ইলিশ, নানা রকম ভর্তা, আর মিষ্টান্ন দিয়ে ঘরোয়া ও বাহিরে ভোজের আয়োজন করা হয়।

সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, পহেলা বৈশাখ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে একত্রিত করে। এটি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক এবং বাঙালির প্রাণের উৎসব। এই দিনে সকলের মুখে মুখে থাকে । 

পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে ১০টি বাক্য

  1. পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন।
  2. এই দিনটি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে খুব উৎসাহ ও আনন্দের সঙ্গে পালিত হয়।
  3. মানুষ নতুন পোশাক পরে ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
  4. মঙ্গল শোভাযাত্রা হলো পহেলা বৈশাখের অন্যতম আকর্ষণ।
  5. ব্যবসায়ীরা হালখাতা খুলে পুরাতন দেনা-পাওনা মেটানোর চেষ্টা করেন।
  6. পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার রীতি জনপ্রিয়।
  7. এই দিনে লোকজ গান, নাচ ও মেলার আয়োজন করা হয়।
  8. নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে সবাই নতুন বছরের শুরুটা উদযাপন করে।
  9. পহেলা বৈশাখ আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
  10. এই উৎসব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে একত্রিত করে।

Post a Comment