যোনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায়।যোনিতে চুলকানি দূর করার উপায়

যোনিতে চুলকানি (vaginal itching) একটি অস্বস্তিকর সমস্যা, যার কারণ হতে পারে সংক্রমণ (যেমন ইস্ট ইনফেকশন বা ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস), এলার্জি, শুষ্কতা বা হরমোনাল পরিবর্তন। যদি সমস্যা গুরুতর না হয় এবং কোনো জটিলতা না থাকে, তবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি আছে যেগুলো দিয়ে প্রাথমিকভাবে উপশম পাওয়া যায়। তবে মনে রাখবেন, ঘরোয়া চিকিৎসা করেও যদি ২-৩ দিনের মধ্যে উপশম না হয় বা সমস্যা বাড়তে থাকে, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

কিছু ঘরোয়া উপায় :

১. ঠাণ্ডা সেঁক

  • একটি পরিষ্কার কাপড়ে বরফ জড়িয়ে আক্রান্ত স্থানে ৫-১০ মিনিট রাখুন।
  • এটি চুলকানি ও জ্বালাভাব কমাতে সহায়ক।

২. নারকেল তেল

  • নারকেল তেলে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ আছে।
  • আক্রান্ত স্থানে পরিষ্কার করে অল্প পরিমাণ নারকেল তেল লাগাতে পারেন।

৩. দই (প্লেইন, মিষ্টি ছাড়া)

  • দইয়ে প্রোবায়োটিক থাকে, যা ইস্ট ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • প্লেইন, আনসুইটেনড দই সরাসরি আক্রান্ত স্থানে লাগানো যেতে পারে।
  • চাইলে খাদ্যতালিকায় দই যোগ করতে পারেন।

৪. বেকিং সোডা স্নান

  • এক কাপ বেকিং সোডা কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে গোসল করুন।
  • এটি সংক্রমণজনিত চুলকানি কমাতে পারে।

৫. অ্যাপল সাইডার ভিনেগার স্নান

  • একটি বড় বালতিতে বা বাথটাবে গরম পানির সঙ্গে ১-২ কাপ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট বসে থাকুন।
  • এটি pH ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং জীবাণু নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

৬. চা-গাছের তেল (Tea Tree Oil)

  • প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক।
  • তবে সরাসরি ব্যবহার না করে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে (প্রতি ১ চা চামচ নারকেল তেলে ১-২ ফোঁটা) আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন।
  • সতর্কতা: কারও কারও ত্বকে অ্যালার্জি হতে পারে, আগে প্যাচ টেস্ট করুন।

৭. পরিষ্কার ও শুকনো রাখা

  • যোনি সব সময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন।
  • সুতি অন্তর্বাস ব্যবহার করুন এবং প্রতিদিন পরিবর্তন করুন।
  • খুব টাইট জামাকাপড় বা সিনথেটিক ফ্যাব্রিক এড়িয়ে চলুন।

কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন:

  • যদি চুলকানির সঙ্গে ভারী স্রাব, দুর্গন্ধ, ফোলা, ব্যথা, জ্বালা বা জ্বালাপোড়া থাকে।
  • যদি ঘরোয়া প্রতিকার কাজ না করে বা অবস্থা খারাপ হয়।
  • যদি ঘন ঘন এমন সমস্যা হয়।

Post a Comment