৮ মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয়
৮ মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা (ডায়রিয়া) হলে প্রথমেই চিন্তা করবেন শিশুর শরীরে পানি শূন্যতা (ডিহাইড্রেশন) যেন না হয়। এই বয়সে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাই দ্রুত যত্ন নেয়া জরুরি। করণীয়গুলো হলো:
১. পর্যাপ্ত তরল খাওয়ান
- ORS (ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন): ডায়রিয়ার সময় শিশুকে বারবার ওআরএস খাওয়ান। বুকের দুধ খেলে বারবার দুধ খাওয়ান।
- বুকের দুধ: যদি শিশু বুকের দুধ খায়, আগের থেকে বেশি বেশি খাওয়ান।
- সুপ/ডালপানি/চিনির পানি-লবণের পানি: ডাক্তার পরামর্শ দিলে খাওয়াতে পারেন।
২. খাবার খাওয়ানো চালিয়ে যান
- পাতলা পায়খানার সময়ও শিশুকে স্বাভাবিক খাবার খাওয়ানো বন্ধ করবেন না। হালকা ভাতের মাড়, ভর্তা, সুজি, খিচুড়ি, ডালপানি খাওয়াতে পারেন।
- বেশি করে পানি জাতীয় খাবার খাওয়ান।
৩. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
- শিশুর হাত ও আশপাশ পরিষ্কার রাখুন।
- প্রস্রাব-পায়খানার পর হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
৪. লক্ষণ খেয়াল করুন
- যদি নিচের কোন লক্ষণ দেখা যায়, দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হন:
- শিশুর বারবার পাতলা পায়খানা হচ্ছে (দিনে ৬-৮ বার বা তার বেশি)
- শিশুর প্রস্রাব কমে গেছে বা একদম হচ্ছে না
- চোখ বসে গেছে, মুখ শুকিয়ে গেছে
- জ্বর বা বমি হচ্ছে
- শিশুর অস্বাভাবিক ক্লান্তি বা দুর্বলতা
- রক্তমিশ্রিত পায়খানা
৫. ডাক্তারের পরামর্শ নিন
৮ মাসের শিশু হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ এই বয়সে ডায়রিয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
৭ মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয়
৭ মাসের শিশুর ক্ষেত্রে পাতলা পায়খানা হলে করণীয়গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই বয়সে শিশুর শরীর খুব দ্রুত পানি ও লবণ হারায়, যা বিপজ্জনক হতে পারে।
🌟 করণীয়
১. পানি শূন্যতা (ডিহাইড্রেশন) ঠেকান
- ORS (ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন): শিশু ৭ মাস হলে সাধারণত ওআরএস খাওয়ানো যায়। প্রতি পায়খানার পর ৫০–১০০ ml ওআরএস দিন।
- বুকের দুধ: বুকের দুধ খেলে আগের তুলনায় বারবার খাওয়ান। এটা সবচেয়ে নিরাপদ ও পুষ্টিকর।
- সাদা ভাতের মাড় বা ডালপানি: তরল দিতে থাকুন, যাতে পানি শূন্য না হয়।
২. খাবার বন্ধ করবেন না
- শিশুর স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়া চালিয়ে যান।
- সহজপাচ্য, নরম খাবার দিন: ভাতের মাড়, সুজি, খিচুড়ি, মাশ করা কলা, আলু ভর্তা ইত্যাদি।
- বেশি করে তরল দিন।
৩. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন
- হাত ধোয়ার অভ্যাস রাখুন, শিশুর আশপাশ ও খেলনা পরিষ্কার রাখুন।
- ফিডিং বোতল ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করুন।
৪. পর্যবেক্ষণ করুন
নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান:
- বারবার পানির মতো পায়খানা (দিনে ৬-৮ বার বা তার বেশি)
- প্রস্রাব কমে যাওয়া বা না হওয়া
- মুখ শুকিয়ে যাওয়া, চোখ বসে যাওয়া
- জ্বর বা বমি হওয়া
- খাওয়া কমে যাওয়া বা দুর্বল হয়ে পড়া
- পায়খানায় রক্ত থাকা
৫. ডাক্তারের পরামর্শ নিন
৭ মাসের শিশুর ডায়রিয়া হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া নিরাপদ। কখনও কখনও অ্যান্টিবায়োটিক বা জিঙ্ক সাপ্লিমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে, যা ডাক্তার বললে দেবেন।
🌿 অতিরিক্ত টিপস:
জিঙ্ক সাপ্লিমেন্ট: শিশুর ডায়রিয়ায় ১০-১৪ দিন জিঙ্ক খাওয়ানো গেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তবে ডাক্তার যেভাবে বলেন, সেভাবে দিন।
ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা ও আরামদায়ক রাখুন।
প্রতিদিন শিশুকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিন।