নবীন বরণ অনুষ্ঠানের কবিতা।নবীন বরণের কবিতা। হে নবীন কবিতা

নবীন বরণ নিয়ে কিছু কথা

নবীন বরণ একটি বিশেষ অনুষ্ঠান, যা সাধারণত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে আয়োজন করা হয়। এটি নবাগতদের শিক্ষাজীবনের প্রথম আনুষ্ঠানিক অভিজ্ঞতার অংশ, যেখানে তারা তাদের নতুন পরিবেশ, সহপাঠী, শিক্ষক এবং প্রতিষ্ঠানের সংস্কৃতি সম্পর্কে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পায়।

নবীন বরণের উদ্দেশ্য:

  • নতুনদের স্বাগত জানানো – নতুন শিক্ষার্থীদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়, যাতে তারা আত্মবিশ্বাসী হয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করতে পারে।
  • পরিচিতি পর্ব – শিক্ষার্থীরা নিজেদের পরিচয় দেয় এবং প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-কানুন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারে।
  • প্রেরণা দেওয়া – প্রবীণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা নবীনদের উদ্দেশ্যে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য রাখেন, যা তাদের ভবিষ্যতের জন্য দিকনির্দেশনা দেয়।
  • সাংস্কৃতিক আয়োজন – গানের পরিবেশনা, কবিতা আবৃত্তি, নাটক এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক কার্যক্রম নবীনদের আনন্দ দেয় ও বন্ধন দৃঢ় করে।

নবীন বরন
আপন দেবনাথ

এসেছে শত পুষ্পের দল

করছি তাদের বরন।

হাতে হাতে শোভা পাবে

তাদের দেওয়া মন ।

বিশাল এই পৃথিবীতে

সৃষ্টি হয়েছে সব,

সেই সৃষ্টির বরনে হচ্ছে কলরব।

প্রতিদিনেই নবীন বাড়বে,

প্রবীন হবে সবাই।

আদর্শকে পুজি করে

থাকব মোরা ভাই-ভাই।

রোগে শোকে কাতর হলে,

সবাই আসবে দলে-দলে

করবে সবই জয়।

আমরা তোমাদের পাশে থাকব,

নেইকো যে আর ভয় ।

হে নবীন
-রিপন চন্দ্র বর্মন 

হে নবীন, এসো তোমরা

নব শিক্ষার ছায়াতলে,

নতুন প্রভাত এনে দিবে

দুষ্ট তিমির পদদলে ।


এসো তোমরা প্রত্যয় নিয়ে

জ্বালবে নতুনের আলো,

দূর করবে সমাজ থেকে

কুশিক্ষা নামের কালো ।


এসো তোমরা হাতে নিয়ে

জ্ঞানের বরণ ডালা,

এই জগৎকে পড়িয়ে দিবে

সুশিক্ষারই মালা ।


তোমরা এসে সাজিয়ে দিবে

শিক্ষার কুসুম কানন

জ্ঞানের তীরে বিদ্ব করবে

দুষ্ট দশানন ।


তোমাদের আগমনে হাজার কুসুম

পাপড়ি দিবে মেলে,

রাত্রি শেষে পুব আকাশে

রক্তিম সুর্য্য দোলে ।


সুশিক্ষার এই আঙিনাটা

তোমরা করবে ধন্য

শিক্ষাটাকে তোমরা কভূ

ভাববে না তো পন্য ।


নব সাথিরা শপথ কর-

বল,

পুষ্পিত বিশ্ব চাই

হানাহানি ভুলে, ব্যাথার গ্লানি মুছে,

এসো মুক্তির পাল উড়াই ।


স্বাগত হে নবীন
- অথই মিষ্টি

ওহে নবীন

করিবো বলে তোমাদের বরণ

পুঞ্জিকা পুষ্পে দেখ আজ কত্ত আয়োজন

আজ আসবে বলে তোমরা দেখ আনন্দিত এই শিক্ষালয়ের প্রত্যেকটা প্রান্তর

গ্রহণ করিবো বলে তোমাদের উজ্জীবিত সকলের অন্তর।

ফুটে উঠেছে নবীন পুষ্প যেন আজ এ শিক্ষালয়ের সমস্ত আঙ্গিনা জুড়ে

হৃদয়ের কামনা তোমাদের জন্য প্রারম্ভিক এ অঙ্গন থেকে এগিয়ে যাও, যাও এগিয়ে সফলতার লক্ষ্যে বহু দূরে।


তোমাদের জন্যই সাজায়েছি আজ এই জ্ঞানাঙ্গনের চত্বর দেখ নতুন রূপে

পাদচারনায় জ্ঞান সাধনায় ঠিকই একদিন লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে শিক্ষাগুরুদের দেখানো পথে কোন এক প্রহরে।

ঝাঁকে ঝাঁকে জ্ঞান আহরণকারী মৌমাছিদের পাবে এই আলয়ে দেখা

বিরামহীন সৈনিকের ন্যায় চলছে তারা অনুসরণ করে সরলরেখা

আজ নবীন প্রবীণ মিলে-মিশে একাকার হও যুক্ত হয়ে তাদের দলে

ভেঙে পড়িওনা হে ভেবে নিজেকে একা।

আজি ধন্য হও পুন্য হও এই শিক্ষাঙ্গন ভালোবেসে

যুগে যুগে সাধারণ মানুষ মহত হয়েছে শিক্ষাঙ্গনে এসে।


হে নবীন তুমি আগামীর
মোঃ তাহছিন আহমেদ ভূঁইয়া 

এখানে ঝড় এসে তোমায় রোজ দোলাবে

মনে রাখবে চারা, তুমিও একদিন গাছ হবে

আজ পড়েছ নুয়ে তো কাল সকাল তোমার নয়

এ মাটিতে জন্ম তোমার এখানেতেই ক্ষয়

থাকো তুমি উচিয়েঁ মাথা মলিন হাওয়ার দিকে

আজকের তুমি কাল যে হবে বটবৃক্ষরুপে।

তুমি নবীন, তোমার সতেজ পাতা ইতিহাস করবে রচন

তোমার ত্যাগে ধন্য হবে লক্ষ চারার জীবন

তুমি নিষ্পাপ, তাই আষাঢ় আসবে ধেয়ে

সেই আষাঢ়ই কাদবে দেখো তোমার আপনালয়ে।

আধার রাতে, অলিক সাঝে উঠাও তোমার উর্ধ্ব শির

স্বাগতম এই জন্মভূমে,হে নবীন তুমি আগামীর।

Post a Comment