ফেব্রুয়ারি মাস
বাংলাদেশের কৃষির
জন্য
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি
সময়।
এই
সময়ে
গ্রীষ্মকালীন সবজি
চাষ
শুরু
হয়।
বিস্তারিতভাবে বলতে
গেলে:
গ্রীষ্মকালীন সবজি:
- তরমুজ,
ঝিঙা, ধুন্দুল, পটল, কাঁকরোল, চাল কুমড়া, ঢেঁড়স, করলা, চিচিঙ্গা, বরবটি, শসা, পুঁই শাক, কলমি শাক, ডাটা শাক
- এই সবজিগুলোর
বীজ বপনের উপযুক্ত সময় ফেব্রুয়ারি।
- মাটির তাপমাত্রা
বাড়তে শুরু করায় চারা দ্রুত গজায় এবং ভালো ফলন হয়।
শীতপ্রধান সবজির গ্রীষ্মকালীন জাত:
- পেঁয়াজ,
শিম, মরিচ, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, টমেটো
- এই সবজিগুলোর
গ্রীষ্মকালীন চাষ উপযোগী জাত নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ।
- গরমে টিকে থাকা এবং ভালো ফলন দেয় এমন জাত চাষ করতে হবে।
সঠিক সময়ে চাষাবাদ এবং পরিচর্যা করলে ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু করা এই চাষগুলো গ্রীষ্মকালে চমৎকার ফলন দিতে পারে।
ফেব্রুয়ারি মাসের কৃষি ও সবজি চাষ
ফেব্রুয়ারি মাস
বাংলাদেশের কৃষিতে
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি
শীতের
শেষ
এবং
বসন্তের শুরু।
এ
সময়ে
শীতকালীন সবজির
পরিচর্যা এবং
গ্রীষ্মকালীন সবজির
চাষ
শুরু
হয়।
এ
মাসে
আবহাওয়া মোটামুটি শীতল
থাকলেও
দিনের
তাপমাত্রা বাড়তে
শুরু
করে,
যা
সবজি
চাষের
জন্য
অনুকূল।
ফেব্রুয়ারি মাসে সবজি চাষের উপযুক্ত জাতসমূহ
শীতকালীন সবজি:
- বাঁধাকপি,
ফুলকপি, টমেটো, বেগুন, শিম, গাজর, লাউ, কুমড়া, মটরশুঁটি।
- শীতকালীন
সবজির পরিচর্যার জন্য নিয়মিত সেচ, আগাছা দমন এবং বালাই দমন করতে হবে।
- টমেটোর ফলছিদ্রকারী
পোকা দমনের জন্য সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।
গ্রীষ্মকালীন সবজি:
- তরমুজ,
শসা, ঢেঁড়স, ঝিঙা, পটল, করলা, চিচিঙ্গা, বরবটি, কাঁকরোল।
- এই সবজিগুলোর
বীজ বপনের জন্য ফেব্রুয়ারি মাস উপযুক্ত। মাটি ভালোভাবে প্রস্তুত করে চাষাবাদ করতে হবে।
ফেব্রুয়ারি মাসের অন্যান্য কৃষি কাজ
- বোরো
ধান:
- ইউরিয়া
সারের তিন ধাপে ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
- আগাছা দমন ও নিয়মিত
সেচ প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- গম
চাষ:
- গমের জমি পাতলা করতে হবে।
- গমের দানা গঠনের সময় সেচ দিতে হবে।
- ভুট্টা
চাষ:
- ভুট্টা ক্ষেতে আগাছা পরিষ্কার
এবং বালাই দমন করতে হবে।
- আলু
ফসল:
- মড়ক রোগ দমন করতে নিয়মিত
স্প্রে করতে হবে।
- আলু সংগ্রহের
পর ভালোভাবে শুকিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে।
- তুলা
চাষ:
- তুলা পর্যায়ক্রমে
সংগ্রহ করতে হবে এবং ইঁদুর থেকে রক্ষার ব্যবস্থা নিতে হবে।
- ডাল
ও তেল ফসল:
- সরিষা, তিসি, মসুর, মটর এসময় সংগ্রহ করতে হবে।
- ডাল ফসলের গোড়া রেখে কাটা জমির উর্বরতা
বাড়ায়।
- মৎস্যসম্পদ:
- শীতকালে
পুকুরের পানি দূষিত হয়, সেজন্য বিশেষ যত্ন নিতে হবে।
- মাছের রোগ প্রতিরোধের
জন্য সঠিক খাবার ও ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।
গাছপালার যত্ন
- আম গাছে মুকুল আসা শুরু করে।
- মুকুলে পোকামাকড়
ও
রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য নির্ধারিত স্প্রে ব্যবহার করতে হবে।
প্রাণিসম্পদ ও পোল্ট্রি
- মোরগ-মুরগির শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে
ভিটামিন ও
যথাযথ ওষুধ সরবরাহ করতে হবে।
- গাভীর শীতজনিত সমস্যা কমাতে ঘরে মোটা চটের ব্যবস্থা
করতে হবে।
ফেব্রুয়ারি মাসে এসব কার্যক্রম সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করলে কৃষকরা ভালো ফলন এবং লাভবান হতে পারবেন।