২০২৬ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) থেকে পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি প্রকাশিত হয়েছে। সংশোধিত পাঠ্যসূচি পরীক্ষার্থীদের সিলেবাসের বোঝাপড়া সহজতর করতে এবং তাদের প্রস্তুতিকে আরো কার্যকর করতে তৈরি করা হয়েছে।
প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:
- সংক্ষেপিত
বিষয়বস্তু: সিলেবাসে কম গুরুত্বপূর্ণ বা দীর্ঘায়িত অংশ বাদ দিয়ে মূল বিষয়বস্তু সংরক্ষিত হয়েছে।
- গুরুত্বপূর্ণ
অধ্যায়ের প্রাধান্য: গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় এবং বিষয়গুলোকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
- সময়ের
ব্যবহার: শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির সময় বিবেচনায় নিয়ে সময়োপযোগী পাঠ্যসূচি তৈরি করা হয়েছে।
সংশোধিত সিলেবাসের বিষয়ভিত্তিক কাঠামো:
- বাংলা:
রচনা, সারাংশ, ব্যাকরণ ও
মুক্ত পাঠ অন্তর্ভুক্ত।
- ইংরেজি:
পঠন ও
লেখার দক্ষতা এবং ব্যাকরণ।
- গণিত:
প্রয়োগমূলক অংক ও
বাস্তবসম্মত সমস্যা।
- বিজ্ঞান:
রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান ও
পরিবেশ বিজ্ঞান।
- সমাজবিজ্ঞান:
ইতিহাস, ভূগোল ও
নাগরিক শিক্ষা।
সংশোধিত প্রশ্নের ধরন ও নম্বর বণ্টন (২০২৬)
প্রশ্নপত্রের ধরন
এবং
নম্বর
বণ্টনে
সামঞ্জস্য বজায়
রেখে
পরীক্ষার মূল্যায়ন পদ্ধতি
সহজীকৃত করা
হয়েছে।
প্রশ্নের ধরন:
- বহুনির্বাচনী
প্রশ্ন (MCQ):
- প্রতিটি
প্রশ্নের মান: ১ নম্বর।
- মোট প্রশ্ন সংখ্যা: নির্ধারিত।
- সৃজনশীল
প্রশ্ন (CQ):
- প্রতিটি
প্রশ্নের মান: ১০ নম্বর।
- উত্তর সংক্ষিপ্ত
এবং প্রাসঙ্গিক রাখতে হবে।
- ব্যবহারিক
পরীক্ষা (যেখানে প্রযোজ্য):
- ল্যাবভিত্তিক
কাজের নম্বর বণ্টন।
নম্বর বণ্টন উদাহরণ:
- বাংলা:
১০০ নম্বর।
- MCQ: ৩০ নম্বর।
- CQ: ৭০ নম্বর।
- ইংরেজি:
১০০ নম্বর।
- পঠন: ৪০ নম্বর।
- রচনা: ৬০ নম্বর।
- গণিত:
১০০ নম্বর।
- MCQ: ২৫ নম্বর।
- CQ: ৭৫ নম্বর।
ষষ্ঠ থেকে নবম-দশম শ্রেণির পরিমার্জিত বিষয়-কাঠামো, বরাদ্দকৃত নম্বর ও মূল্যায়ন নির্দেশনা
বিষয়-কাঠামো:
- ষষ্ঠ
শ্রেণি:
- বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান,
সমাজবিজ্ঞান।
- নবম-দশম
শ্রেণি:
- বিভাগভিত্তিক
বিষয় (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা)।
বরাদ্দকৃত নম্বর:
- প্রতি
বিষয়ের মোট নম্বর: ১০০।
- MCQ এবং CQ এর অনুপাত:
- MCQ: ৩০%।
- CQ: ৭০%।
সাপ্তাহিক পিরিয়ড সংখ্যা:
- প্রতি
সপ্তাহে প্রতি বিষয়ে পিরিয়ড সংখ্যা: ৬।
- ব্যবহারিক
বিষয়ের জন্য অতিরিক্ত পিরিয়ড বরাদ্দ।
সংশোধিত মূল্যায়ন নির্দেশনা:
- শ্রেণিকক্ষে
মূল্যায়ন:
- নিয়মিত
কুইজ এবং গ্রুপ প্রজেক্ট।
- শ্রেণিকক্ষে
কার্যক্রম:
- বিষয়ভিত্তিক
পাঠদান এবং ব্যবহারিক কার্যক্রম।
- পরীক্ষা:
- টার্ম ফাইনাল ও বার্ষিক
পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অর্জন মূল্যায়ন।