কবিতা: রাষ্ট্রপতি লেফট্যানেন্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম)
মুক্তিযুদ্ধের হে বীর সেনানী
লও লও লও সালাম,
অকুতোভয়ী হে বীর যোদ্ধা
লও লও লও সালাম।
স্বাধীন এই দেশের প্রতিটা ক্ষনে
বিনম্র শ্রদ্ধায় তোমারই স্মরণে,
ভালোবাসার এই পুষ্পাঞ্জলি
স্পন্দিত হৃদয়ে রাখতে চাই তোমারই চরণে।
তুমিই বিজয়ী বীর, তুমিই সেই স্বপ্নদ্রষ্টা
জীবন বাজি রেখে অসম এক যুদ্ধে
হানাদার বধের এক মহাকাব্য তুমি লিখেছ
অনবদ্য সাহস আর বীর বিক্রমে।
তুমিই সফল রাষ্ট্র নায়ক
চির কোমল হৃদয় আর সুকঠিন হাতে ,
ভিত্তি গড়েছ এই বাংলা মায়ের
চরম দুঃসহ ভয়াবহ এক ক্রান্তি লগ্নে।
হে অধিনায়ক, হে বিজয়ী বীর
এক জ্বালাময়ী আহবানে
৭ কোটি বাংলাদেশিকে দিয়েছ
অসম সাহস আর স্বাধীনতার স্বপ্ন!
হে বীর উত্তম,
তোমার সেই ডাকে সাড়া দিয়ে
যুগের শ্রেষ্ঠ মুক্তিযুদ্ধারা ছিনিয়ে এনেছিল
বাংলা মায়ের চিরকাম্য মুক্তি!
হে দেশপ্রেমের বিমূর্ত প্রতিক,
দেশের আপামর মানুষকে তুমি দেখিয়েছ
স্বপ্ন আর বেঁচে থাকার অদম্য চেতনা,
নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার বুক ভরা সাহস,
তাইতো তোমার মরণে লাখ লাখ বাংলাদেশি
কেঁদে হলো শোকাহত আর মুহ্যমান!
তোমার হৃদয়ে প্রোথিত থাকতো শুধুই দেশপ্রম
অন্তরে ছিল স্নিগ্ধ কোমল প্রাণ,
কাস্তে-কোদাল হাতে করেছো কাজ,
গেঞ্জি গায়ে সেজেছো শ্রমিকের সাজ
আর কেহ তা পারে নাই, পারবেও না।
হে বাংলা মায়ের অকুন্ঠ প্রেমিক
তুমিই পরাধীনতার শিকল ভেঙ্গে
এই দেশে গনতন্ত্রের সফল প্রতিষ্ঠাতা।
চরম অরাজকতা আর নিঃসীম নৈরাজ্যের মাঝেও
তুমিই এনেছিলে একদন্ড স্বস্তির নিঃশ্বাস
আজও বাংলার আকাশে বাতাসে যা খুঁজে ফিরি!
রক্ত আর সম্ভ্রমের বিনিময়ে এনে দিয়েছিলে
বুক ফুলিয়ে মাথা উঁচু করে চলার এই স্বাধীনতা,
হৃদয়ে অফুরান ভালোবাসা আর বুকে নিয়ে মমতা,
শিহরিত হৃদয়ে আমি বার বার বলি
হে বীর মুক্তিযোদ্ধা, হে বাংলা মায়ের অকুতোভয়ী সৈনিক
লও সালাম, লও এই শ্রদ্ধাঞ্জলি।
বাংলার মায়ের বুকে বাকশালী শাষনতন্ত্র বিলোপ করে
আবার ফিরে এলো প্রতিক্ষিত বহুদলীয় গনতণ্ত্র
তোমার দেশপ্রেমিক দুহাত ধরেই!
দেশের অর্থনীতি সচল হলো তোমারই যাদুর স্পর্শে!
তোমার সততা, দেশপ্রেম আর অবদানের কথা
লিখতে বসলে হয়ে যায় এক অনুপম মহাকাব্য!
দেশরত্ন তুমি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান
আজও তাই স্মরি তোমাকে দিয়ে চিত্ত মম প্রাণ,
কীর্তি তোমার থাকবে অমলিন হে সাহসী সন্তান,
যতদিন রবে বাংলায় পদ্মা-মেঘনা-যমুনা বহমান,
ততদিন তোমার কৃতিত্ব রবে এই বাংলায় চির অম্লান।
-নীল আকাশ, ডিসেম্বর ২০১৯
অমর জিয়া
তুমি সাহসী দুরন্ত দুর্বার—
২৫ শে মার্চ জাতির কাল রাত্রে
তুমি সংঘবদ্ধ বিদ্রোহী প্রতিবাদ।
কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে
ভেসে আসা তুমি একটি বজ্রকন্ঠ-
তুমি স্বাধীনতা ঘোষক,
‘আমি মেজর জিয়া বলছি”
বাংলার এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে
মানুষের মনে তুমি যুদ্ধের প্রেরনা।
পাকিস্তানী বর্বরদের মুখামুখি
তুমি মহাবীর সেক্টর কমান্ডার,
স্বাধীনতা যুদ্ধে তুমি অগ্রগামী
তুমি জেড ফোর্সের অধিনায়ক,
তুমি জনতার গৌরব, “বীর উত্তম”।
তুমি নির্ভয় অটল-
ভেঙ্গে দিয়ে একনায়কতন্ত্র
তুমি গড়েছ বহুমুখি গনতন্ত্র ,
তুমি সৈনিক থেকে শ্রমিক নেতা
কোদাল হাতে এক আমজনতা ,
খাল কেটে এনেছ নব জীবনের ধারা
দিয়েছ গরীবের অন্ন , কৃষকের মর্যাদা,
আধুনিক বাংলা গড়ার লক্ষে
তুমি ধাপে ধাপে এগিয়ে চলা।
তুমি মহা নায়ক,
অগনিত তরুন তরুনীর অন্তরে
তুমি ভালবাসা চীরন্তন।
তুমি সততার জলন্ত প্রতীক-
রাজভান্ডার রেখেছ সুরক্ষিত
সিংহাসনে বসেও তুমি দরিদ্র সম্রাট,
তুমি আদর্শ সন্তানের আদর্শ পিতা,
মমতাময়ী স্ত্রীর চোখে ভক্ত স্বামী
নওত রাজা-মহারাজা।
তুমি কর্মঠ, সময়নিষ্ঠ, দূরদর্শী ,
তুমি ঘুম জাগান পাখী
তোমার ডাকে জেগেছে মন্ত্রী
জেগেছে রাজ্যের সকল কর্মী
সচল সকল কাজের গতি।
তুমি সর্বকালের জনপ্রিয় নেতা
তুমি ১৯ দফা কর্মসূচি রচয়িতা
বাংলাদেশী জাতিয়তাবাদী প্রবক্তা
নারীকে দিয়েছ সম পদ মর্যাদা,
কৃষক পেয়েছে সর্বাত্তক সহযোগিতা।
তুমি চির উন্নত মমশির
তুমি চিরজাগ্রত ,চিরস্মরণীয়,
তোমার আদর্শ চির অনুকরণীয়
তুমি মেহনতি জনতার অটুট সম্মান
তুমি “জিয়াউর রহমান”।
প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলে
ঘাতকেরা করেছে তোমায় হত্যা ,
তোমার বুকের প্রতিটি রক্ত কণা
জন্ম দিয়েছে লক্ষ কোটি জিয়া।
সবুজ শাড়ীতে মহিমান্বিত
তুমি বাংলা বধুর কপালে আঁকা
লাল সূর্য্যের একটি রাজটিকা,
তুমি স্বর্নাক্ষরে লেখা একটি নাম,
“জিয়াউর রহমান”।
তুমি বাংলার শ্রেষ্ট সন্তান।
নিউ ইয়র্ক।
রাখাল রাজা জিয়াউর রহমান স্মরণে
সেলিম আনোয়ার
হে অধিনায়ক, হে বিজয়ী বীর
দারুণ এক আহবানে ৭ কোটি বাঙালীরে শক্তি দিয়েছো
সাহস দিয়েছো প্রেরণা দিয়েছো, করেছো উন্নত শির ।
জীবন বাজি রেখে লড়েছো লড়াই অসম এক যুদ্ধে
তাই তোমারে কুর্নিশ করে সকল আবাল-বনিতা-বৃদ্ধে।
বাঙলা মায়ের সাহসী সন্তান বাংলাকে ভালবেসে
হানাদার বধ কাব্য তুমি লিখেছো কেমনে ভাবি আজও বসে বসে।
দেশ যখন অরাজকতায় ,কান্ডারীহীন বঙ্গবন্ধু খুনে
আবার ও তুমি দাঁড়িয়েছিলে সমুখপানে, রাষ্ট্রমাতার চরম ক্রান্তি ক্ষনে।
গনতণ্ত্র ফেরত এলো তোমার দুহাত ধরে
দেশের অর্থনীতি সচল হলো তোমারই যাদুর করে।
হে বিজয়ীবীর, লও সালাম ,লও ভালবাসা ,লও বিজয়মালা
তোমার সততা দেশপ্রেম আর কীর্তি স্মরি শ্রদ্ধা লয়ে দিবানিশি সারাবেলা।
দুঃখে পরাণ যায় বুকটা ফেটে যায়
কেমন করে দানিল আঘাত তোমার সারা গায় তপ্ত বুলেটে তোমার পিঞ্জরায়
এ সবুজে গায়ের লালি ঢেলে দিলে তুমি এই বাংলায়।
দেশের মানুষেরে তুমি পথ দেখিয়েছো স্বপ্ন দিয়েছো মাথা তুলে দাঁড়াবার
তোমার মরণে লাখ লাখ বাঙালী তাই কেঁদে হলো জারে জার।
হৃদয়ে তোমার বাংলাদেশ ছিল, ছিল কমল প্রাণ
কাস্তে-কোদাল হাতে করেছো কাজ, গেঞ্জি গায়ে সেজেছো শ্রমিকের সাজ
আর কেহ তা পারে নাই
সারা বাঙলার অগণিত লোক তাই স্মরে তোমারে, তোমারে ভুলে নাই।
বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি তোমার
যার মন্তরে এক হতে পারে সকল নরনারী বাংলার।
দেশ রত্ন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া -উর- রহমান
আজও তাই স্মরি তোমারে দিয়ে মম মন প্রাণ
কীর্তি তোমার থাকবে অমলিন হে দেশপ্রেমী সন্তান,
যতদিন রবে পদ্মা- মেঘনা-যমুনা বহমান।
-------------------------
শাহাদত বার্ষীকিতে বীর মুক্তিযাদ্ধা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী