চোখের কবিতা প্রেম, বিরহ, আশা আর আবেগের নীরব ভাষা। চোখ মানুষের অনুভূতি প্রকাশের সবচেয়ে সুন্দর এবং গভীর মাধ্যম। কবির কলমে চোখ শুধু দেখার যন্ত্র নয়, বরং মনের জানালা, যেখানে ভালোবাসা, কষ্ট, আনন্দ, কিংবা ব্যথা অবলীলায় প্রতিফলিত হয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতায় চোখের বর্ণনা পাওয়া যায় প্রকৃতির মতো শান্ত ও গভীর। তার কবিতায় চোখ কখনো প্রেমিকার মায়াময় দৃষ্টির প্রতিচ্ছবি, কখনো বিরহের জলভরা ভাঙা মন। নজরুলের কবিতায় চোখ বিদ্রোহ আর সাহসের প্রতীক, যেখানে আগুনের শিখা জ্বলজ্বল করে। জীবনানন্দ দাশের কবিতায় চোখ হলো প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হওয়া, যেখানে নক্ষত্রের আলোয় চোখ কথা বলে।
চোখ দিয়ে মানুষ যা প্রকাশ করতে পারে, তা কখনো ভাষায় পূর্ণতা পায় না। চোখের চাহনি মুহূর্তে সুখ দিতে পারে, আবার নীরব অভিমান কিংবা কষ্টের অশ্রু অন্তরে গভীর দাগ কাটে।
কবিতায় চোখের উপস্থিতি প্রেমের পাশাপাশি মানবিকতা ও অনুভূতির এক শাশ্বত প্রতীক। তাই কবিরা বারবার চোখ নিয়ে লেখেন, কারণ চোখ সব অনুভূতির অনন্য সংযোগস্থল।প্রিয় পাঠক আজকে আমরা চোখ নিয়ে সেরা কবিতাগুলো পড়বো।
কাজল চোখের মেয়ে
-সাদাত হোসাইন
শোনোকাজল চোখের মেয়েআমার দিবস কাটে, বিবশ হয়েতোমার চোখে চেয়ে।
দহনের দিনে কিছু মেঘ কিনেযদি ভাসে মধ্য দুপুরতবু মেয়ে জানে তার চোখ মানেকারো বুক পদ্মপুকুর।
এই যে মেয়ে কাজল চোখতোমার বুকে আমায় চেয়েতীব্র দাবির মিছিল হোকতাকাস কেন? আঁকাস কেনবুকের ভেতর আকাশ?কাজল চোখের মেয়েতুই তাকালে থমকে থাকেআমার বুকের বাঁ পাশ।
তোমার চোখে চেয়েছি বলেএমন ডুবলো আমার চোখঅমন অথৈ জলে রোজআমার ডুব সাঁতারটা হোকশোনো কাজল চোখের মেয়েআমি তোমার হবো ঠিকতমি ভিষণ অকূল পাথারআমি একরোখা নাবিকশোনো জল ছলছলকাজল চোখের কণ্যা সর্বনাশীআমি তোমায় ভালবাসি।
প্রেমাতুর নেত্র
শোনো
কাজল চোখের মেয়ে
আমার দিবস কাটে, বিবশ হয়ে
তোমার চোখে চেয়ে।
দহনের দিনে কিছু মেঘ কিনে
যদি ভাসে মধ্য দুপুর
তবু মেয়ে জানে তার চোখ মানে
কারো বুক পদ্মপুকুর।
এই যে মেয়ে কাজল চোখ
তোমার বুকে আমায় চেয়ে
তীব্র দাবির মিছিল হোক
তাকাস কেন? আঁকাস কেন
বুকের ভেতর আকাশ?
কাজল চোখের মেয়ে
তুই তাকালে থমকে থাকে
আমার বুকের বাঁ পাশ।
তোমার চোখে চেয়েছি বলে
এমন ডুবলো আমার চোখ
অমন অথৈ জলে রোজ
আমার ডুব সাঁতারটা হোক
শোনো কাজল চোখের মেয়ে
আমি তোমার হবো ঠিক
তমি ভিষণ অকূল পাথার
আমি একরোখা নাবিক
শোনো জল ছলছল
কাজল চোখের কণ্যা সর্বনাশী
আমি তোমায় ভালবাসি।
নেত্র তাহার কাজল কালো, টানা টানা আখি
মায়াবীনি তনয়াটারে চোখের তারায় রাখি।
দৃষ্টিতে প্রেম ঝরে, হাসিতে স্নিগ্ধতা
যতই দেখি তারে, ঘিরে ধরে মুগ্ধতা।
চঞ্চলা হরিনী- চোক্ষেতে কামনা
তার হতে দূরে থাকা, সে তো বড় যাতনা!
পড়েছি প্রেমে আমি গভীর ঐ দৃষ্টিতে
এমন মোহময়ী আর নেই সৃষ্টিতে।
সঞ্চারিনী ভেবে করো নাকো ভুল
এ প্রেম পেতে ঠিক হবে ব্যাকুল,
স্বর্গের অপ্সরাও মেনে যাবে হার
ও চোখের প্রেমেতে পড়বো বারংবার।
চোখ নিয়ে কবিতা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে
রয়েছ নয়নে নয়নে,
হৃদয় তোমারে পায় না জানিতে
হৃদয়ে রয়েছ গোপনে।
বাসনা বসে মন অবিরত,
ধায় দশ দিশে পাগলের মতো।
স্থির আঁখি তুমি ক্ষরণে শতত
জাগিছ শয়নে স্বপনে।
সবাই ছেড়েছে নাই যার কেহ
তুমি আছ তার আছে তব কেহ
নিরাশ্রয় জন পথ যার যেও
সেও আছে তব ভবনে।
তুমি ছাড়া কেহ সাথি নাই আর
সমুখে অনন্ত জীবন বিস্তার,
কাল পারাপার করিতেছ পার
কেহ নাহি জানে কেমনে।
জানি শুধু তুমি আছ তাই আছি
তুমি প্রাণময় তাই আমি বাঁচি,
যতো পাই তোমায় আরো ততো যাচি
যতো জানি ততো জানি নে।
জানি আমি তোমায় পাবো নিরন্তন
লোক লোকান্তরে যুগ যুগান্তর
তুমি আর আমি, মাঝে কেহ নাই
কোনো বাঁধা নাই ভুবনে।
নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে
রয়েছ নয়নে নয়নে।
মায়াবী মেয়েদের চোখ নিয়ে কবিতা
লেখা – আইরিন ইসলাম
আজ অপলক দৃষ্টির
মায়া ভরা দুটি চোখে,
নিদারুণ মনের ভাষা
ভেসে উঠে অতি সুখে।
আজ ওই নিষ্পাপ চাহনিতে
দেখছি না কোনো ছায়া,
কেউ যেন ঢেলে দিল
দুটি চোখে করুন মায়া।
আজ দুটি পাপড়ির
নেই কোন পলক,
দুটি চোখে চোখ পরতেই
লাগে যেন ঝলক।
ওই দুটি চাহনিতে আজ
খুঁজে পেলাম ভাষা,
নিষ্পাপ অন্তরে
জেগেছে কত আশা।
চোখ- সে তো চোখ নয়
যেন জলজলে দুটি আলো,
যার চোখে চোখ পরতেই
লাগে অনেক ভালো।
এই নিষ্পাপ দুটি চোখের মায়ায়
আজ ডুবে যেতে চাই আমি,
ওই মায়া ভরা দুটি চোখে
অর্থ কি জানো তুমি? ।
ভালবাসি ভালবাসি
তোমার ওই চোখের চাওয়া,
কোন জিনিসের বিনিময়ে
ওই দুটি চোখ যাবে পাওয়া!
মেয়েদের চোখ নিয়ে কবিতা
শাহ্ আলম শেখ শান্ত
তোমার চোখ বড় মায়াবী চমত্কার !
আঁখির তারা দুটি যেন হুতম পেঁচার
ঐ চোখে দেখিতাম সদা রবির কিরণ
পূর্ণতা সোহাগী প্রেমাকর্ষণ ।
চোখ নয় যেন দুটি শুক তারা
পলকে পলকে হয়ে যাই দিশহারা ;
ভ্রু দুটি কৃষ্ণ গোলাপের পাপড়ি
মন কেড়ে নেয় দিবা শর্বরী ।
আঁখির কৃষ্ণ পত্র তোমার
অভ্রে কাজল মেঘের যেন দ্বার ;
নহে ছোট নহে ডাগর
দৃষ্টি যেন সুখ গহবর ।
হেরিলে কেহ ফেরে না তো দৃষ্টি
জীবন ভর দেখিতে হয় মোহ সৃষ্টি ;
তোমার এ চোখ স্রষ্টার প্রেমে গড়া
তাই প্রেম প্রীতি সোহাগে ভরা ।
ভাবিনি কভু আড়ালে রহিছে তার
স্বার্থপর মাউন্ট এভারেস্ট পাহাড় ;
অহমিকা তার প্রশান্তের ন্যায়
করেছে মোরে যত রকম হেয় ।
ঐ চোখে লুকিয়ে এতই যাতনা
ছিলনা তো কভু মোর কল্পনা ;
ছলনাময়ী চোখ কেড়ে নিছে মোর সবি
কবিতা-৫
দৃষ্টি দিয়ে দংশিবে হায়, মতি বোঝা দায়-
চোক্ষে যেন অগ্নি ঝরে- কি করিবো হায়!
অভিমান-অনুযোগের মিশেল চোখের পাতায়,
তল হারিয়ে ঠাই না পায় চোখের গভীরতায়।
মায়ার বদলে সেথায় দেখি ক্রোধের তরী
তবুও চোখে জল জমেছে, যেন ঝরবে অশ্রুবারী!
অব্যক্ত কথারা বুঝি ভাসে চোখের কোনে,
নির্লিপ্ততা গেলেও দেখা মনটা সবই জানে।
ক্রোধান্বিত চোখের পানে তাকিয়ে থাকা দায়,
উদাসী চাহনীতে ঠিকই তোমায় জড়ায়;
চোখের ভাষা ঐ হৃদয়ের আরশি,
হেথায় কোন কপটতা নেই, অক্ষি দুঃসাহসি।
নারীর চোখ নিয়ে কবিতা
মোঃ আরিফ হোসেন
মায়ায় ভরা চোখ দুটো তোর
দেখলে পড়ি প্রেমে
হাত ছেড়ো না, সুনয়না
প্রেম রবে মোর থেমে।
কাজল কালো চোখ দুটো তোর
পদ্ম ফুলের মতো
প্রেম নদীতে সাঁতার কাটি
দেখি তোমায় যতো।
সুনয়না, তোমায় ভাবি
সকাল দুপুর সাঁঝে
চোখ দুটো তোর ফুটে উঠে
আমার মনের মাঝে।
যেমন দেহের গড়ন তোমার
তেমন সুন্দর আঁখি
দোহাই লাগে সুনয়না
আর দিওনা ফাঁকি।
প্রেমিকার চোখ নিয়ে কবিতা
দূসাহসী প্রেমিক
শোনো হে শোনো কামিনী-
ও মায়বী চোখের অধিকারীনি-
জেনে নিও ডুবতে চাই আমি ঐ চোখে
দুঃসাহস কার মোরে রুখে?
কাজল কালো রেখো তোমার ঐ আখি,
ভুলেও দিও না মোরে ফাঁকি।
তুমি যে নীল নয়না,
তোমাকে না পাবার আছে বড় যাতনা।
ও চোখের গভীরতায় দিবো আমি ডুব,
হৃদয়ের প্রতিচ্ছবি দেখা হবে খুব।
নয়নে নয়ন রাখো রূপসী-
প্রনয়ের ডোরে বাধবো তোমায়, করবো প্রেয়সী।
নীললোহিত গৌতম
তোমার চোখের কোলে কাজল দেখে
আমার মন কেমন করে।
যেমন আকাশে মেঘ দেখলে মন ব্যাকুল হয়—
মন ময়ূরের মতো পেখম মেলে।
আকাশে মেঘ না থাকলে তাকে এতটা সুন্দর লাগতো কি?
মেঘ সাদা হোক বা কালো
সে আকাশের রূপ ও সৌন্দর্যের আলাদা মাত্রা দেয়।
তোমার চোখের কাজলও যে শুধু কালো নয়!
তোমার মুখের দিকে যখন দেখি
প্রতিবার তোমার চোখে আমার চোখ আটকে যায়।
আমি অবাক হয়ে চেয়ে দেখি—
তুমি যখন হাসো,
আমি তোমার মুখে শরতের আনন্দকেই খুঁজে পাই
তোমার চোখে তখন পেঁজা তুলোর মতো সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায়…
কাশবনে শুয়ে-শুয়ে আমার সারাদিন মেঘ দেখে কেটে যায়।
তোমার যখন মন খারাপ—
আমি বুঝি, তোমার চোখের কোলে জমে থাকা কালো মেঘের ঘনঘটা।
আমি বুঝি, বৃষ্টি আসতে খুব বেশি দেরী নেই—
বৃষ্টিতে শুধু তুমি ভিজবে না, আমিও ভিজবো।
বাংলার বুকে বর্ষা- এই বৃষ্টি নেমে আসে
সে কি তোমার চোখের ইশারায়?
তুমি চোখের কোলে যদি যত্ন করে কাজল না পরতে—
আমি কী করে চিনতাম আকাশ,
কী করে বুঝতাম তোমার মন!
এই মেঘ ও রৌদ্রের মায়াবি খেলা যেন
তোমার চোখের কাজলে লুকিয়ে আছে।
কবিতা-৮
অক্ষিতে অশ্রুর সঞ্চার ঘটে রোজ,
হিয়া বোঝে না প্রিয়- কোথা পাই খোঁজ?
নয়নে নয়নে বাধা সে প্রনয় বাধন-
আনন্দ বদলে আজ হয়েছে রোদন!
চোখের গভীরতা মিছে কভু হয়?
হে প্রিয় এসো ফিরে, লাগে বড় ভয়।
দিকবিদিকশুন্য আজ চঞ্চল সে চোখ,
আখি আজও নেশাতুর তোমাতেই ঝোঁক।
কেন ফেলে গেলে চলে, হলে চোখের আড়াল?
অনুভূতির ব্যবচ্ছেদ করে ধারালো করাল!
চক্ষু মুদিলে আজও ভাসে সব স্মৃতি,
যেখানেই রও প্রিয় নিও মোর প্রীতি।
দুঃসাহসী প্রেমিক
শোনো হে শোনো কামিনী-
ও মায়বী চোখের অধিকারীনি-
জেনে নিও ডুবতে চাই আমি ঐ চোখে
দুঃসাহস কার মোরে রুখে?
কাজল কালো রেখো তোমার ঐ আখি,
ভুলেও দিও না মোরে ফাঁকি।
তুমি যে নীল নয়না,
তোমাকে না পাবার আছে বড় যাতনা।
ও চোখের গভীরতায় দিবো আমি ডুব,
হৃদয়ের প্রতিচ্ছবি দেখা হবে খুব।
নয়নে নয়ন রাখো রূপসী-
প্রনয়ের ডোরে বাধবো তোমায়, করবো প্রেয়সী।
মাদক
- লেখায় সোহেল রানা শুভ
চোখে চোখ রেখে,
যতই গভীরে যাই।
আমার শরীর অবশ হয়ে যায়।
মনে হয়, হাত পা বেধে
কেউ আমায় তোমার চোখের
সাগরে ফেলে দিয়েছে।
আমি ডুবে যাই,
ডুবতেই চাই।
চোখ এতো সুন্দর হয়!
তোমার চোখে আমার চোখ
না পড়িলে বুঝিতাম না।
চোখেও যে নেশা হয়,
তোমার চোখে না তাকাইলে
জানতেই পারতাম না।
বড় শখ জাগে
নেশা উদ্রেককারী মাদকের
তালিকায় গিনেস বুকে
তোমার চোখের নাম লেখাই।
পৃথিবীর দুইশত ছয়টি দেশের
সারে চার হাজারের উপর প্রচলিত ভাষাও
আমার কাছে সহজবোধ্য মনে হয়।
শুধু তোমার চোখের ভাষা ছাড়া।
তারপরও তোমায় চোখে চোখে রাখি
আমার চোখের রেটিনায় তোমার চোখ আকিঁ।
মায়াবী চোখ
ডি এইচ সাইদ
তোমার ঐ চোখ যেন, এক অপার রহস্য জগৎ!
ঐ চোখে হারায় আমার সমস্ত ক্লান্তি, যন্ত্রণা সব।
ও চোখের প্রতিটি পলকে লুকিয়ে থাকে—
শত সহস্র গল্প, অজানা অনুভূতির ঢেউ।
ও চোখের গভীরে খুঁজে পাই অনাবিল শান্তি।
যে শান্তি এক, অদৃশ্য মায়ার জালে বাঁধা!
সেখানে নেই কোনো শব্দের প্রয়োজন,
নেই কোনো কথা বলার আয়োজন।
শুধু চোখের ভাষায় সবকিছু বুঝা।
তোমার চোখের মায়ায় ডুবে যেতে যেতে —
আমি খুঁজে পাই নিজেকে।
খুঁজ পাই অশান্তির আড়ালে লুকানো শান্তি'কে!
মনে হয় যেন, এক অন্তহীন সুখ সাগরে ভেসে চলেছি,
যেখানে নেই কোনো তীরের দেখা।
তবু সেই ভেসে চলায় যেন খুঁজে পাই আশ্রয়,
খুঁজে পাই এক অদ্ভুত নির্ভরতা!
প্রতিটি দৃষ্টিতে তুমি জড়িয়ে রাখো,
জড়িয়ে রাখো এক অপূর্ব মায়া বন্ধনে।
সেই বন্ধনে কোনো নিরাশা নেই,
নেই কোন হতাশা!
তার টান অসীম, অনন্ত, অপরিসীম!
তোমার চোখের এক পলকে ঝরে পড়ে অশ্রু,
সেই অশ্রু যেন, এক এক ফোঁটা মুক্তার মতো,
মুছে দেয় মনের সমস্ত গ্লানি।
তোমার চোখের মায়ায় হারাই প্রতিনিয়ত,
খুঁজে পাই এক নতুন দিগন্ত।
ও চোখের মায়ায় দেখায় স্বপ্ন,
দেখায় জীবনের নতুন পথ, নতুন চলার ছন্দ!
মায়াবী চোখের সুনয়না রূপসী হরিণী,
তুমিই স্বপ্ন, তুমি সুখ, তুমি জীবন চলার ছন্দ স্বরূপ।
তোমার চোখের মায়ায় আমি বাঁচি, আমি হাসি—
আমার সকল স্বপ্নসাগর উন্মুখ!
ঐ মায়াবী চোখেই খুঁজে পাই জীবনের সম্পূর্ণতা,
খুঁজে পাই ভালোবাসার প্রকৃত রূপ, প্রকৃত পূর্নতা!
তোমার চোখের মায়ায় বন্দী হয়ে,
খুঁজে পাই মুক্তির স্বাদ।
খুঁজে পাই, ক্লান্ত মনের শান্ত নির্ভরতা!
ঐ মায়াবী চোখের আলোয় আলোকিত আমি,
আলোকিত আমার পৃথিবী,
আলোকিত আমার প্রতিটি ক্ষণ, প্রতিটি মুহূর্ত।
অপেক্ষা
জান্নাতুল ফেরদৌস
তোমার চোখের দিকে তাকালে,
আমি সমুদ্রে ডুবে যাই।
তোমার চাহনি দেখলে মনে হয়,
ওই নীল আকাশে উড়ে যাই।
অপেক্ষায় আছি শুধু তোমার ইশারার,
ছুটে আসবো পেছন ফেলে কারাগার।
যেখানে অবহেলার শিকলে আটকে আছি আমি,
পারবে কি ভালোবাসা দিয়ে সে শিকল ভাংতে তুমি!!
আর কতোকাল করবো বলো তোমার অপেক্ষা,
কবে শেষ হবে আমার এ প্রতিক্ষা!?
মনে রেখ যেন বড্ড দেরী না হয়ে যায়,
অভিমানের পাহাড় যেন উঁচু না হয়ে যায়।
ফেরার রাস্তাও তখন বন্ধ পাবে তুমি,
চিৎকার করে বলবে "আমার নীলাবতী কোথায় তুমি!?"