এখন প্রাকৃতিকভাবেই ব্রেস্ট বড় করা যায়, সার্জারীর প্রয়োজন তেমন হয় না। সাধারণত ৩৪-৩৬ মেয়েদের স্ট্যান্ডার্ড ব্রেস্ট সাইজ। তবে অনেকের ব্রেস্ট আকারে ছোট হয়। অথচ প্রকৃত সৌন্দর্য ফোটাতে সঠিক মাপের সুডৌল স্তনের জুড়ি নেই। বড় ব্রেস্ট মেয়েদের আকর্ষনীয় করে তোলে। আজকাল বেশিরভাগ নারী স্তনের গুরুত্ব বোঝেন।
অনেকেই স্তন বড় ও সুন্দর করার নিয়ম খুঁজছেন বা অনেক পন্থা ইতিমধ্যেই অবলম্বন করছেন। এ লেখাটি তাদের জন্য যাদের ব্রেস্টের মাপ ৩৪-৩৬ এর নিচে। নিম্নে প্রাকৃতিকভাবে ব্রেস্ট বড় করার উপায় আলোচনা করা হলো:
১. হাত ঘষে গরম করে দুই হাত স্তনের নিচে হালকা চেপে ধরে ডানহাত ঘড়ির কাটার দিকে আর বাম হাতে ঘড়ির কাটার উল্টা দিকের মত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় আর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১০-১৫ মিনিট এভাবে ১০০
থেকে ৩০০ বার ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। মাস খানেকের মধ্যে স্তনের সাইজ কিছুটা বাড়তে পারে।
২. মেয়েদের জন্য ব্রেস্টের কিছু স্পেশাল ব্যায়াম আছে যেমন: বেঞ্চ প্রেস, বাটারফ্লাই প্রেস, পুশ-আপ (বুকডাউন) নিয়মিত এগুলো করে স্তনের টিস্যুতে ব্লাড ফ্লো বাড়াতে হবে। এতে বুকের পেশিগুলো সঠিক শেপে এসে স্তনকে সুগঠিক করবে। এটা অনেকটা বডিবিল্ডাররা যেভাবে শরীরের পেশি বৃদ্ধি করে, সেভাবে কাজ করবে। দিনে বেশ কয়েকবার দুইহাত দুইদিকে প্রসারিত করে আবার এক করুন।
৩. পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে, রাতে অনেক ঘুমাতে হবে।
৪. বাথরুমে স্নান করার সময় হাত দিয়ে ব্রেস্টের চারপাশ ১০/১৫ মিনিট ম্যাসাজ করবেন। চাইলে ম্যাসাজের সময় হালকা গরম করে সামান্য সরিষার তেল বা খাঁটি মধু ব্যবহার করতে পারেন। আপনার শরীর যদি রোগা হয় তাহলে ২/৩ মাস সুষম খাদ্য খেয়ে শরীরটা ঠিক করে নিন। দুধ, ডিম, ফল একটু বেশি খেলে উপকার পাবেন। চিন্তামুক্ত থাকার চেষ্টা করবেন। শরীর বাড়ার সাথে সাথে আপনার স্তন ও বড় হবে।
৫. আপনি যখন থেকে ব্রেস্ট বড় করার জন্য ব্যায়াম ও ম্যাসাজ শুরু করবেন, তখন থেকে ব্রেস্ট এনলার্জিং ক্রিম ব্যবহার করা বন্ধ করে দিন (যদি ম্যাসাজ শুরুর আগে থেকে ব্রেস্ট এনলার্জিং ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন)। কারণ এ ধরণের ক্রিম সাধারণত কোন কাজে আসে না। এছাড়া ব্রেস্ট বড় করার জন্য কোন পিল সেবন করবেন না। এগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। ব্রেস্ট ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে এসব ক্রিম/পিল ব্যাবহার করার ফলে।
৬. সঠিক মাপের ব্রা ব্যবহার করতে হবে। নইলে ব্রেস্ট ঝুলে যেতে পারে।
৭. এক বা দুই সপ্তাহ পর পর নিজের ব্রেস্ট মাপুন, টাইট জামাকাপড় পরিধান করুন এবং সঠিক কাপ সাইজের ব্রা পরিধান করুন। এছাড়া ব্রেস্ট বড় করার জন্য ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট সার্জারী রয়েছে। এটি ন্যাচারাল নয় বলে না করাই ভালো এবং এ পদ্বতিটি ব্যয়বহুল।
-
স্তন বড় করার ৭টি প্রাকৃতিক পদ্ধতি
স্তনের
আকার
নারীর
আত্মবিশ্বাস এবং
শারীরিক সৌন্দর্যের অন্যতম
অংশ।
অনেকে
ছোট
স্তনের
কারণে
মনোকষ্টে ভোগেন।
তবে,
প্রাকৃতিক উপায়ে
স্তনের
আকার
কিছুটা
বৃদ্ধি
করা
সম্ভব।
নিচে
স্তন
বড়
করার
জন্য
প্রাকৃতিক এবং
স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিগুলো তুলে
ধরা
হলো:
১. নিয়মিত ম্যাসাজ করুন:
- দুই হাত ঘষে গরম করে স্তনের নিচে হালকা চাপে ডানহাতে ঘড়ির কাটার দিকে এবং বাম হাতে উল্টো দিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন।
- সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং রাতে ঘুমানোর আগে প্রতিবার
১০-১৫ মিনিট এভাবে ১০০-৩০০ বার ম্যাসাজ করুন।
- নিয়মিত করার ফলে মাস খানেকের মধ্যেই ফল পেতে পারেন।
২. সঠিক ব্যায়াম করুন:
- স্তনের টিস্যুতে
রক্ত সঞ্চালন বাড়ানোর জন্য বিশেষ কিছু ব্যায়াম করতে হবে।
- বেঞ্চ
প্রেস
- বাটারফ্লাই
প্রেস
- পুশ-আপ
(বুকডাউন)
- এই ব্যায়ামগুলো
স্তনের পেশি শক্তিশালী করে এবং স্তনকে সঠিক আকৃতি দেয়। দিনে কয়েকবার দুই হাত প্রসারিত করে একসাথে আনাও উপকারী।
৩. পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন:
- সুষম খাদ্য স্তনের আকার বৃদ্ধিতে
সাহায্য করে।
- দুধ, ডিম, মাছ, শাকসবজি,
বাদাম এবং ফলমূল বেশি পরিমাণে খান।
- পর্যাপ্ত
ঘুম এবং মানসিক চাপমুক্ত থাকা নিশ্চিত করুন।
৪. স্নানের সময় ম্যাসাজ করুন:
- প্রতিদিন
স্নানের সময় স্তনের চারপাশে ১০-১৫ মিনিট হালকা ম্যাসাজ করুন।
- ম্যাসাজের
সময় সামান্য গরম সরিষার তেল বা মধু ব্যবহার করতে পারেন।
- নিয়মিত স্নানের পর সুষম খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে শরীরের ওজন বাড়লে স্তনের আকারও বাড়তে পারে।
৫. কেমিক্যাল পণ্য এড়িয়ে চলুন:
- বাজারে প্রচলিত ব্রেস্ট এনলার্জিং
ক্রিম বা পিল ব্যবহার না করাই ভালো।
- এ ধরনের পণ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- শুধু ব্যায়াম ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে মনোযোগ দিন।
৬. সঠিক মাপের ব্রা ব্যবহার করুন:
- সবসময় সঠিক মাপের এবং আরামদায়ক
ব্রা ব্যবহার করুন।
- ভুল মাপের ব্রা ব্যবহারের
কারণে স্তন ঝুলে যেতে পারে।
৭. ফলাফল পর্যালোচনা করুন:
- প্রতি দুই সপ্তাহ পর নিজের স্তনের মাপ নিন এবং অগ্রগতি পর্যালোচনা
করুন।
- সঠিক কাপ সাইজের ব্রা ব্যবহার করুন এবং প্রয়োজনমতো
টাইট জামা পরুন।
- যদি প্রাকৃতিক
পদ্ধতিতে সন্তুষ্ট না হন, তবে সার্জারি একটি অপশন হতে পারে, তবে এটি ব্যয়বহুল এবং ন্যাচারাল নয়।
পরামর্শ:
প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলোতে ধৈর্য
এবং
নিয়মিত
চর্চা
প্রয়োজন। সুস্থ
শরীর
এবং
সঠিক
জীবনযাপনই স্তনের
আকার
বৃদ্ধিতে দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর হতে
পারে।