১. পরস্পরের সঙ্গে আরামদায়ক হওয়া
বাসর রাতে একে অপরের সঙ্গে আরামদায়ক হওয়া খুব জরুরি। নতুন সম্পর্কের প্রথম দিকে স্বাভাবিকভাবে কিছুটা স্নায়ুচাপ থাকতে পারে। একে অপরের প্রতি সম্মান ও যত্ন দেখানো উচিত।
২. আলাপ এবং অনুভূতির ভাগাভাগি
বাসর রাতে নবদম্পতি তাদের অনুভূতি, স্বপ্ন, ও প্রত্যাশা নিয়ে কথা বলতে পারেন। এটি ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য গভীর বোঝাপড়ার একটি ভালো সুযোগ।
৩. পরস্পরের মতামতকে সম্মান করা
৪. শারীরিক ঘনিষ্ঠতা নিয়ে খোলামেলা হওয়া
যদি শারীরিক সম্পর্কের কথা আসে, তবে তা হওয়া উচিত পারস্পরিক সম্মতি ও আরামদায়ক অনুভূতির ভিত্তিতে। কোনো রকম জোরজবরদস্তি বা চাপ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
৫. পরিচ্ছন্নতা ও সুস্থতার বিষয়টি নিশ্চিত করা
বাসর রাতের আগে ভালোভাবে গোসল করা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা উভয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতির জন্য সহায়ক।
৬. প্রার্থনা এবং দোয়া করা (যদি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থাকে)
অনেকেই এই বিশেষ রাতে একসঙ্গে প্রার্থনা বা দোয়া করে ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
৭. উপহার বিনিময় করা
একে অপরকে ছোট উপহার দিয়ে ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারেন। এটি একটি সুন্দর ও আবেগময় মুহূর্ত তৈরি করে।
প্রথম রাতেই সবকিছু সম্পন্ন করার চেয়ে সম্পর্কের প্রথম ধাপটি স্মরণীয় ও ইতিবাচক করা জরুরি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা, যত্ন, এবং ভালোবাসা দেখানো। ধীরে ধীরে একে অপরকে জানুন এবং সম্পর্ককে মজবুত করুন।
বিয়ের বাসর রাতেই কি স্ত্রীর সাথে মিলন করতে হয়?
বাসর রাতে মিলন করতেই হবে- এমন কোনো কথা নেই। মিলন হবে কি হবে না? এ প্রশ্নের উত্তর আপনারা নিজেরাই বের করে ফেলতে পারবেন অবস্থা বুঝে। অনেক দম্পতি বাসর রাতেই মিলন করে।আবার অনেক দম্পতি তাদের বাসরকে স্মরনীয় করে রাখতে সারা রাত কথা-বার্তা/গল্প-গুজব করে মিলন শুরু করে বা পরের দিন মিলন করে। অনেকে আবার বিয়ের সম্পর্কটাকে মিলনে পরিনত করতে কয়েকদিন সময়ও নেয়।
এতে কারো কথায় কান দেয়ার মত কিছু নেই। (তবে মিলনের সময় যেহেতু নগ্ন হতে হয় ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সংকোচবোধ টা একেবারেই কমে যায়। দুজন অনেক দ্রুত ফ্রি হয়ে যায় নিজেদের মধ্যে)
আর বাসর ঘরে যাবার পরই মিলনের জন্য অস্থির না হয়ে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করবেন। ধর্মীয় কোনো রীতি পালনের থাকলে দুজনে সেটা করতে পারেন( যেমন: মুসলমানদের নফল নামাজ+ কিছু দু'আ রয়েছে)। হালকা কোনো বিষয় নিয়ে কথা-বার্তা শুরু করবেন; নিজেদের মধ্যে বিব্রতকর পরিস্তিতিটা দূর করার জন্য।
রুমের ভিতর লাইট জ্বেলে সম্পূর্ণ আলোকিত/ লাইট নিভিয়ে একবারে অন্ধকার না করে মৃদু রঙের ডিম লাইট দিয়ে রাখবেন। এটা বিব্রত ভাবটা কিছুটা কমাতে সাহায্য করে। হালকা কথা চালিয়ে যেতে যেতে হাতটা মোলায়েম ভাবে ধরলেন বা এক হাত দিয়ে তার এক হাত ধরে হাত বুলিয়ে দিলেন।
এখন আস্তে আস্তে কাছে যাবার পালা। তবে মাথায় রাখবেন অবশ্যই যে, বিয়ের সারাদিনের পর দুজনে কতটা টায়ার্ড। তাকেও এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন যে শরীর কেমন? ক্লান্ত কিনা। খুব বেশি ক্লান্ত থাকলে আর কিছু চিন্তা না করে তাকে ঘুমাতে বলুন। এক্ষেত্রে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে পারেন।
অন্যদিকে যদি তেমন ক্লান্ত না হয় অথবা তার দিক থেকে কোনো সিগন্যাল পান তাহলে তো হলোই। হাত ধরা থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে কিস, আলিঙ্গন, ফোরপ্লে এবং সর্বশেষ পেনিট্রেশন।
• এক্ষেত্রে নিজেকে যতটা স্বাভাবিক এবং শান্ত রাখতে পারবেন সময় তত বেশি পাবেন+আনন্দও তত বেশি পাবেন।
• তাড়াহুড়ো/বেশু উত্তেজিত হলেই নিজেকে হারিয়ে ফেলবেন।