সহবাসের নিয়ম ও পদ্ধতি এবং স্ত্রীকে দ্রুত তৃপ্তি দেয়ার উপায় :
___________________________________________
যৌনমিলন : বয়স অনুপাতে সহবাসের নিয়ম ও পদ্ধতি
অনেক অনেক যুগ আগে থেকে মানুষ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হত। আর এজন্যই মানব প্রজাতির সৃষ্টি হয়েছে। আমার মনে হয় যে আগে মানুষের বিনোদন বলতে কিছুই ছিল না।
এ কারণে মানুষ অবসর সময় কাটাতে এবং কিছুটা শারীরিক ও মানসিক চাহিদা পূরণেই এই শারীরিক মিলন করত। তবে বর্তমানে অনেকেই বলে থাকেন যে এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। সত্যিই কি তাই, আমার তো মনে হয় এটি আরও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কেননা এর ফলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়, সবাই ক্লান্তি অনুভব করে থাকে। আমাকে এই বিষয়ে জানাবেন প্লিজ?
উত্তর:
আপনার কথার কিছু অংশ সত্য কিন্তু বাকি অংশ একেবারেই ভুল ধারণা। আদিম যুগে বলা চলে অবসর সময়ের বিনোদনের জন্যই শারীরিক মিলন করা হয়ে থাকত তবে এর প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয় শারীরিক এবং মানসিক চাহিদা থেকেই। আপনি যেমনটা যুক্তি দেখিয়েছেন যে শারীরিক মিলন করলে মানুষ ক্লান্ত হয়ে যায় সেক্ষেত্রে এর স্বাস্থ্য উপকারিতা আদৌ আছে কি না এই বিষয়ে বলা যায় যে শারীরিক মিলন একজনকে ক্লান্ত করে ঠিকই কিন্তু তা সাময়িকের জন্য। আমরা শারীরিক ব্যায়াম করাকালীন সময়ে যেমন শারীরিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ি তবে এই শারীরিক মিলন আমাদের শারীরিক গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ঠিক তেমনি শারীরিক মিলনও শারীরিক ব্যায়ামের ন্যায় সাময়িকভাবে ক্লান্ত করে কিন্তু এটি নিয়মিত করলে স্বাস্থ্যগত কিছু উপকারিতাও পাওয়া যায়। শারীরিক মিলন শারীরিক ব্যায়ামের মতই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আসুন জেনে নিই এই শারীরিক মিলন আমাদের স্বাস্থ্যে কী ধরনের উপকার করতে পারে।
শারীরিক মিলনের স্বাস্থ্য উপকারিতা :
১) আপনার হার্টকে ভাল রাখতে পারে এই শারীরিক মিলন। যার কামোদ্দীপনা ও অনুভূতি যতো বেশি জোরালো হবে তার হার্ট ততো বেশি সক্রিয় ও বলিষ্ঠ হবে।
২) প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিকে কমিয়ে দেয় শারীরিক সম্পর্ক।
৩) কর্মস্থলে নিজেকে গুটিয়ে রাখার প্রবণতা থাকে না। আগের চেয়ে বেশি বহির্মুখী ভাবধারা প্রকাশ পায় সার্বিক আচরণে। সমস্যা সমাধানের দক্ষতা ও সৃজনশীলতা বাড়ে।
৪) এর ফলে আপনাকে দেখে আরও তরুণ, সজীব ও প্রাণবন্ত মনে হবে। কারণ এটি এক ধরনের শারীরিক ব্যায়ামও বলা চলে।
৫) স্বাস্থ্যসম্মত শারীরিক মিলন মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
৬) মস্তিষ্ককে সজাগ ও সক্রিয় করে তোলে।
সুস্থ ও সুন্দর যৌন জীবনের অনন্য স্বাস্থ্য উপকারিতা :
বিয়ে করার কথা ভাবছেন? তাহলে বিয়েটা করেই ফেলুন। কেননা চিকিৎসকেরা বলছেন যে সুস্থ ও সুন্দর যৌন জীবনের আছে হরেক রকম স্বাস্থ্য উপকারিতা। নিয়মিত যৌন মিলন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি নানান ধরনের শারীরিক সমস্যা কমিয়ে ফেলে। ফলে সুস্থ ও সুন্দর একটি যৌন সম্পর্ক গড়ে তুললে সুখী,সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন লাভ করা যায়। আসুন,জেনে নেয়া যাক সুস্থ যৌন জীবনের ৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা।
বয়স অনুপাতে সহবাসের নিয়ম
বিভিন্ন যৌন বিজ্ঞানীর বক্তব্য, বয়সের সাথে সাথে মিলন ইচ্ছা স্তিমিত হয়ে আসে। তবে ডঃ কিনসী এ ব্যাপারে বহু গবেষনা করে বিবাহিত ও বয়ঃপ্রাপ্ত পুরুষ-নারীর মিলন সংখ্যা নিয়ে একটি রিপোর্ট লিখেছেন। তা হলোঃ
১) ২০ বছর সপ্তাহে ১৪ বার।
২) ২১-২৬ বছর সপ্তাহে ১২ বার।
৩) ২৬-৩২ বছর সপ্তাহে ১০ বার।
৪) ৩২-৩৮ বছর সপ্তাহে ৮ বার।
৫) ৩৮-৪৫ বছর সপ্তাহে ৭ বার।
৬) ৪৫-৫১ বছর সপ্তাহে ৫ বার।
৭) ৫১-৬০ বছর সপ্তাহে ৩ বার।
৮) ৬০+ বছর সপ্তাহে ১ বার বা সম্পুর্ন বন্ধ
অধিক সময় যৌন মিলন বা স্ত্রী সহবাস করার কার্যকর পদ্ধতি
সাধারনত অধিক সময় নিয়ে যৌন মিলন করাটা পুরুষের সক্ষমতার উপরই নির্ভর করে। তথাপি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে পুরুষরা তাদের মিলনকাল দীর্ঘায়িত করতে পারেন। তবে কে কতটা দীর্ঘ সময় নিয়ে যৌন মিলন করবে এটা অনেকটাই তাদের চর্চার উপর নির্ভর করে থাকে। আসুন জেনে নিই মিলন দীর্ঘায়িত করার কিছু পদ্ধতি।
.
পদ্ধতি ১:- চেপে/টিপে (স্কুইজ) ধরা
এই পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেছেন মাষ্টার এবং জনসন নামের দুই ব্যাক্তি। চেপে ধরা পদ্ধতি আসলে নাম থেকেই অনুমান করা যায় কিভাবে করতে হয়। যখন কোন পুরুষ মনে করেন তার বীর্য প্রায় স্থলনের পথে, তখন সে অথবা তার সঙ্গী লিঙ্গের ঠিক গোড়ার দিকে অন্ডকোষের কাছাকাছি লিঙ্গের নিচের দিকে যে রাস্তা দিয়ে মুত্র/বীর্য বহিঃর্গামী হয় সে শিরা/মুত্রনালী কয়েক সেকেন্ডর জন্য চেপে ধরবেন। (লিঙ্গের পাশ থেকে দুই আঙ্গুল দিয়ে ক্লিপের মত আটকে ধরতে হবে।)। চাপ ছেড়ে দেবার পর ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ডের মত সময় বিরতী নিন। এই সময় লিঙ্গ সঞ্চালন বা কোন প্রকার যৌন কর্যক্রম করা থেকে বিরত থাকুন।
এ পদ্ধতির ফলে হয়তো পুরুষ কিছুক্ষনের জন্য লিঙ্গের দৃঢ়তা হারাবেন। কিন্তু ৪৫ সেকেন্ড পুর পুনরায় কার্যক্রম চালু করলে লিঙ্গ আবার আগের দৃঢ়তা ফিরে পাবে। স্কুইজ পদ্ধতি এক মিলনে আপনি যতবার খুশি ততবার করতে পারেন। মনে রাখবেন সব পদ্ধতির কার্যকারীতা অভ্যাস বা প্রাকটিস এর উপর নির্ভর করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করা বোকামী হবে।
.
পদ্ধতি ২:- সংকোচন (টেনসিং)
এ পদ্ধতি সম্পর্কে বলার আগে আমি আপনাদের কিছু বেসিক ধারনা দেই। আমরা প্রস্রাব করার সময় প্রসাব পুরোপুরি নিঃস্বরনের জন্য অন্ডকোষের নিচ থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত অঞ্চলে যে এক প্রকার খিচুনী দিয়ে পুনরায় তলপেট দিয়ে চাপ দেই এখানে বর্নিত সংকোচন বা টেনসিং পদ্ধতিটি অনেকটা সে রকম। তবে পার্থক্য হল এখনে আমরা খিচুনী প্রয়োগ করবো – চাপ নয়।
মিলনকালে যখন অনুমান করবেন বীর্য প্রায় স্থলনের পথে, তখন আপনার সকল যৌন কর্যক্রম বন্ধ রেখে অন্ডকোষের তলা থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত অঞ্চল কয়েক সেকেন্ডের জন্য প্রচন্ড শক্তিতে খিচে ধরুন। এবার ছেড়ে দিন। পুনরায় কয়েক সেকেন্ডের জন্য খিচুনী দিন। এভাবে ২/১ বার করার পর যখন দেখবেন বীর্য স্থলনেরে চাপ/অনুভব চলে গেছে তখন পুনরায় আপনার যৌন কর্ম শুরু করুন।
সংকোচন পদ্ধতি আপনার যৌন মিলনকে দীর্ঘায়িত করবে। আবারো বলি, সব পদ্ধতির কার্যকারীতা অভ্যাস বা প্রাকটিস এর উপর নির্ভর করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করা বোকামী হবে।
.
পদ্ধতি ৩ :- বিরাম (টিজিং / পজ এন্ড প্লে)
এ পদ্ধতিটি বহুল ব্যবহৃত। সাধারনত সব যুগল এ পদ্ধতির সহায়তা নিয়ে থাকেন। এ পদ্ধতিতে মিলনকালে বীর্য স্থলনের অবস্থানে পৌছালে লিঙ্গকে বাহির করে ফেলুন অথবা ভিতরে থাকলেও কার্যকলাপে বিরাম দিন। এই সময় আপনি আপনাকে অন্যমনস্ক করে রাখতে পারেন। অর্থ্যৎ সুখ অনুভুতি থেকে মনকে ঘুরিয়ে নিন।যখন অনুভব করবেন বীর্যের চাপ কমে গেছে তখন পুনরায় শুরু করতে পারেন।
বিরাম পদ্ধতির সফলতা সম্পুর্ন নির্ভর করে আপনার অভ্যাসের উপর। প্রথমদিকে এ পদ্ধতির সফলতা না পাওয়া গেলেও যারা যৌন কার্যে নিয়মিত তারা এই পদ্ধতির গুনাগুন জানেন। মনে রাখবেন সব পদ্ধতির কার্যকারীতা অভ্যাস বা প্রাকটিস এর উপর নির্ভর করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করবেন না।
একটা বিষয় প্রতিটা পুরুষেরই জেনে রাখা দরকার – বিষয়গুলি নিয়ে অবশ্যই আপনার স্ত্রীর সাথে আলোচনা করবেন। তাতে আপনারা দু’জনেই লাভবান হবেন। আপনি আপনার স্ত্রীকে পদ্ধতিগুলো বুঝিয়ে বলুন। দেখবেন সেই আপনাকে সাহায্য করছে। কারন সে জানে আপনি বেশি সময় নেয়া মানে তার নিজেরই লাভবান হওয়া।
.
.
.
কতদিন পর পর সহবাস করা ভালো, জেনে নিন দরকারি কিছু তথ্য
.
একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর যে কোনও দিন, দিন ও রাতের যে কোনও মুহূর্তে সহবাসের ইচ্ছা জাগতে পারে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কতদিন পর পর সহবাস করা উচিত, সেটা কিন্তু আমাদের অনেকের কাছেই অজানা!
আমাদের সকলেরই জানতে ইচ্ছা করে, এক মাসে, এক সপ্তাহে বা এক দিনে কতবার সহবাস করা উচিত। এই সব প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই প্রত্যেকের জানা উচিত। কারণ আপনার বিবাহিত জীবন যতই সুখের হোক, এ সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে পরবর্তী জীবনে আপনি সমস্যয় পড়তে পারেন।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী যখন শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে ফুরফুরে অবস্থায় থাকেন তখনই তাঁদের মধ্যে শারীরিক মিলন হতে পারে। দু’জনের মধ্যে একজন যদি শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে মিলনে আগ্রহী না হন, তবে সহবাস না করাই শ্রেয়। সেক্ষেত্রে অনাগ্রহী পার্টনারের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
কোন বয়সে কতবার!
যৌনমিলনের হার পুরুষ ও নারীর বয়সের উপর নির্ভর করে। বয়সের সঙ্গে নারী ও পুরুষের যৌনজীবনের সরাসরি সম্পর্ক আছে। বয়স যত বাড়ে যৌনমিলনের হার তত কমে। সদ্যবিবাহিত দম্পতিরা প্রথমদিকে দিনে ২ থেকে ৩ বার সহবাস করলেও, কয়েক মাসের মধ্যে যৌনমিলনের হার দিনে এক বার অথবা দু’দিনে এক বারে থিতু হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে,
●১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী দম্পতিরা বছরে গড়ে ১১২ বার শারীরিক মিলনে লিপ্ত হন। অর্থাৎ এক সপ্তাহে দু’বারের একটু বেশি।
●৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী দম্পতিরা বছরে গড়ে ৮৬ বার যৌনমিলন করেন। অর্থাৎ এক মাসে ৭ বার।
● ৫০ থেকে ৫৯ বছর বয়সী দম্পতিরা বছরে ৬৯ বার শারীরিক মিলনে লিপ্ত হন। এঁদের যৌনমিলনের হার গড়ে মাসে ৬ বারের একটু কম।
.
বিজ্ঞান বলছে
●যাঁদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছর, তাঁরা সপ্তাহে ৩ বার সহবাস করতে পারেন।
●যাঁদের বয়স ৩০-৪০ বছর তাঁরা সপ্তাহে ২ বার সহবাস করতে পারেন।
●যাঁদের বয়স ৪০-৫০ বছর তাঁরা সপ্তাহে ১ বার করে সহবাস করতে পারেন।
●যাঁদের বয়স ৫০-৬০ বছর, তাঁরা ১৫ দিনে কিংবা ৩০ দিনে ১ বার সহবাস করতে পারেন।
.
বেশি বয়সেও কেন নিয়মিত সঙ্গম করা উচিত!
●মাত্রাতিরিক্ত সহবাস যেমন ক্ষতিকর আবার কম সহবাসও শরীর ও মনের পক্ষে ততটাই ক্ষতিকারক। The American Journal of Cardiology দ্বারা প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র বলছে, যে সব দম্পতি সপ্তাহে অন্তত দুবার সহবাস করেছেন তাঁদের হৃদপিণ্ড অনেক ভালো থাকে, যাঁরা একবারও সহবাস করেননি তাঁদের থেকে।
.
●Biological psychology (physiological psychology বা behavioral neuroscience নামেও পরিচিত) নিয়ে যাঁরা গবেষণা করেন সেই গবেষকরা জানিয়েছেন, যাঁরা নিয়মিত সহবাস করেন, তাঁদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই হৃদরোগের সম্ভবনা অনেকটা কম থাকে৷
.
● মানসিক উৎকন্ঠা বা স্ট্রেস থেকে আসে উচ্চ রক্তচাপ, যা হৃদপিণ্ডের পক্ষে চরম ক্ষতিকর৷ মানসিক উৎকন্ঠা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। আর এই মানসিক চাপ কমাতে সেক্সের থেকে ভালো দাওয়াই নেই। এছাড়াও নিয়মিত সহবাস আপনার শরীরকে ফিট করে তোলে, ত্বক উজ্বল করে, ওজন কমায়, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, বার্ধক্য পিছিয়ে দেয়। সহবাসের পর ঘুমও ভালো হয়। ফলে আপনার পুরো শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায়।
.
.
.
লাইফস্টাইল
যৌনমিলন দীর্ঘস্থায়ী করার উপায়
.
অনেক দম্পত্তি খুব টেনশন এ আছেন তাদের যৌন মিলন দীর্ঘক্ষণ উপভোগ করতে পারেন না বলে। যৌনতা ধরে রাখা অনেক এখন অনেক পুরুষের ক্ষেত্রেই একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। যার ফলে দাম্পত্য জীবন হতে পারে এক বড় সমস্যা বহুল।
বেশ কিছু পদক্ষেপ রয়েছে আপনারা যদি তা গ্রহন করে থাকি, আপনাকে এইসমস্ত ঝামেলা থেকে একদম মুক্তি দিতে পারে। কিছু নিয়ম আপনাকে করে তুলতে পারে অনেক বেশি আবেগপ্রবন যখন আপনার সঙ্গীর সঙ্গে মিলিত হতে যান। হওয়ার আগে ও পরে আপনি হয়ে যাবেন আরও আকর্ষণীয়।
যৌন মিলনের আগে:
*শান্ত করতে হবে মন সহবাস করার আগে। মনে কোন রকমের ঋনাত্মক ভাবনা আনলে একদম চলবে না। শারীরিক ও মানসিক অস্থিরতা হল স্বল্পস্থায়ী যৌনতার একমাত্র কারণ।
*শারীরিকভাবে তৈরি করুন নিজেকে শারীরিক মিলেনর জন্য। মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমিয়ে আনুন। প্রয়োজনে সুস্থ এবং স্বাভাবিক নিয়মে করতে পারেন হস্তমৈথুন।
*নিয়মিত যৌনসঙ্গী খুঁজুন যদি সম্ভব হয় তবে। আপনার শারীরিক এবং মানসিক পরিস্থিতি সরল করতে সাহায্য করবে যদি আপনি এমনটা করেন। অথবা নিজের অসুবিধার কথা জানান নিজের সঙ্গীকেও। তবে যদি নিয়মিত আপনি যৌনসঙ্গী বদল করে থাকেন তাহলে আপনি তার সঙ্গে খোলামেলাভাবে অনেক আলোচনা করতে ব্যর্থ হবেন।
*অবশ্যই কন্ডোম ব্যবহার করুন। আবার বেশির পুরুষের অভিযোগ করেন যে কন্ডোম ব্যবহারের ফলে তাদের আগের চেয়ে অনেক বেশি যৌন আকাঙ্খা হ্রাস হচ্ছে। এটি মনের ভুল ছাড়া কিছুই নয় বলে মনে করা হয়।
* তামাক,মদ ও অন্যান্য ওষুধের অতিরিক্ত পতিমানের সেবন করলে দীর্ঘস্থায়ী যৌনতার ক্ষেত্রে অনেক বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
যৌনমিলনের সময়:
* কোন ফোর প্লে বাদ দেবেন না যৌনমিলনের আগে
* অবস্থানে পরিবর্তন করুন যত খুশি। নতুন কিছু করে আপনার মনোযোগকে আরও বেশি রোমাঞ্চিত করে তুলতে পারেন। আর অবশ্যই সঙ্গীর চাহিদার দিকে নজর দিন।
* সঙ্গীর আধিপত্যে সহবাসের সময় লজ্জাবোধ করার কোন ধরনের কারণ নেই।
* পরিশ্রম কম অনুভব হবে যদি আপনি ধীরে ধীরে শ্বাসপ্রশ্বাস নিন। এর ফলে শরীর দীর্ঘক্ষণ যৌনমূলনের সাথে উপযুক্ত থাকবে।
আপনারা যদি এই বিষয় গুলো অনুশরন করে থাকেন তবে আপনাদের জীবনকে করে তুলতে পারেন অনেক বেশি আনন্দময়। তাই মিলনের আগে আরোও ভাল করে জেনে নিন যে আপনার কি করা উচিত আর কি করা উচিত না।
.
.
.
যে পদ্ধতিতে যৌনমিলন বেশিক্ষন স্থায়ী হয়
.
পাশাপাশি মুখোমুখি শুয়ে যৌনমিলনে স্ত্রী যদি স্বামীর ডান পাশে থাকেন, তবে স্বামী-স্ত্রীর শরীরের দিকে কিছুটা এগিয়ে নিয়ে গেলে তিনি স্বাচ্ছন্দ্যে স্ত্রীর স্তনে, গলায়, কাঁধে, ঘাড়ে এমনকি ভগাঙ্কুরে হাতের মৃদু সপর্শ দিয়ে বহুক্ষণ আদর করতে পারেন।
.
স্বামী অস্বাভাবিক স্থুল দেহ হলে এই ভঙ্গী
তাদের পক্ষে শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হবে।
কারণ এতে পুরুষ দেহ স্ত্রীর পরে কোনো
অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টি করে না।
এছাড়াও যাদের লিঙ্গ ছোট বলে মনে ভয়
পোষণ করেন তারা এই ভঙ্গীতে যৌনমিলন করে, নিজেদের ভয় থেকে মুক্ত হতে পারেন অনায়াসেই।
.
আবার যাদের পুরুষাঙ্গ উত্তেজনার সময় সাত
ইঞ্চির বড় হয় তাদের স্ত্রীরা এই ভঙ্গীতে
মাঝে মাঝে যন্ত্রণা অনুভব করতে পারেন।
তবে লিঙ্গ অস্বাভাবিক জোরের সঙ্গে প্রবেশ
না করালে কোনো রকম ব্যথা লাগার কথা নয়
এ ভঙ্গীতে নারী যথেষ্ট সুখ পায় না
কারণ নারীর যৌনাঙ্গের সম্ভোগ পুরোপুরি
পুরুষের যৌনাঙ্গে গুলিতে মিলিত হয়ে
স্পর্শজাত উত্তেজনা খুব একটা সৃষ্টি করতে
পারে না
.
তবে এ অভাব পুরুষ তার নিজের হাতের
সাহায্যে পুরণ করতে পারেন
যৌনমিলনের ফাঁকে ভগাঙ্কুর, যোনিলোম এবং
যোনি আবরক পর্দায় হাত দ্বারা সপর্শ ও মৃদু
ঘর্ষণ করলে স্ত্রীর যৌন উত্তেজনা ক্রমেই
চরমে উঠতে থাকবে।
.
আবার নারীও এ ভঙ্গীতে কিছুটা সক্রিয় হবার সুযোগ পায়।
এ ভঙ্গীতে সবচেয়ে বেশি সময় যৌনমিলন করা যায়।
এ ভঙ্গীতে দু’জনার কেউই অত্যধিক ক্লান্ত
হয়ে পড়ে না ।
.
.
.
দীর্ঘ সময় মিলন করার পদ্ধতি
.
যৌন মিলন মানে দীর্ঘ সময় মিলন করতে সব পুরুষই ও মহিলা উভয়ই চায়। প্রত্যেকটি পুরুষ চায় পরিপূর্ণ ভাবে যৌন মিলন করতে। তবে নানান রকম কারণে মানুষের যৌনস্বাস্থ্য এবং যৌন মিলন করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই আজ আমরা দীর্ঘ সময় মিলন করার ৩০টি পদ্ধতি সম্পকের্ আলোচনা করব দীর্ঘ সময় মিলন করার পদ্ধতি সমূহ।
অনেকে আবার এই সব বিষয় নিয়েও খুজে থাকেন। দীর্ঘ সময় মিলন করার ঔষধ, দীর্ঘ সময় মিলনের ট্যাবলেট, দীর্ঘ সময় সহবাস করার পদ্ধতি, দীর্ঘ সময় সহবাস করার হোমিও ঔষধ, দীর্ঘ সময় মিলনের জন্য ঔষধ, শারীরিক মিলন পদ্ধতি, দীর্ঘ সময় মিলন করার ট্যাবলেট, বেশি সময় মিলন করার ট্যাবলেট তাই সব সমাধান এক সাথে দেওয়া হলো।
পৃথীবিতে অধিকাংশ দম্পতিই কোনও না কোনও এক সময় এই অভিযোগটা করেন, যে বিয়ের কিছু বছর পরেই পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে যায়। একদিনে নিঃশেষ হয়ে যায় না; নিঃশেষ হতে থাকে ধীরে ধীরে এবং ক্রমশ। বিশেষ করে স্বামীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন স্ত্রীদের প্রতি। আবার স্ত্রীরাও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন স্বামীর প্রতি।
আর ফলাফল হয় পরকীয়া ! সংসার ভাঙুক বা না ভাঙুক, সম্পর্ক ঠিকই ভাঙে। কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন এমন কেন হয়? দুটো মানুষ পরস্পরকে খুব ভালোবেসে বিয়ে করলেও কেন হারিয়ে যায় আকর্ষণ? কেন হারিয়ে যায় স্বাভাবিক মিলন করার মন মানসিকতা আর কিভাবেই তা ফিরে পাওয়া যায়?
দীর্ঘ সময় মিলন করার পদ্ধতি
সাধারনত অধিক সময় নিয়ে যৌন মিলন করাটা পুরুষের সক্ষমতার উপরই নির্ভর করে। তথাপি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে পুরুষরা তাদের মিলন কাল দীর্ঘায়িত করতে পারেন।
তবে কে কতটা দীর্ঘ সময় নিয়ে যৌন মিলন করবে এটা অনেকটাই তাদের চর্চার উপর নির্ভর করে থাকে। আসুন জেনে নিই মিলন দীর্ঘায়িত করার কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে।
দীর্ঘ সময় মিলন করার পদ্ধতি
এই পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেছেন মাষ্টার এবং জনসন নামের দুই ব্যক্তি। চেপে ধরা পদ্ধতি আসলে নাম থেকেই অনুমান করা যায় কিভাবে করতে হয়।
যখন কোন পুরুষ মনে করেন তার বীর্য প্রায় স্থলনের পথে, তখন সে অথবা তার সঙ্গী লিঙ্গের ঠিক গোড়ার দিকে অন্ডকোষের কাছাকাছি লিঙ্গের নিচের দিকে যে রাস্তা দিয়ে মুত্র/বীর্য বহিঃর্গামী হয় সে শিরা/মুত্রনালী কয়েক সেকেন্ডর জন্য চেপে ধরবেন।
(লিঙ্গের পাশ থেকে দুই আঙ্গুল দিয়ে ক্লিপের মত আটকে ধরতে হবে।)।
চাপ ছেড়ে দেবার পর ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ডের মত সময় বিরতী নিন। এই সময় লিঙ্গ সঞ্চালন বা কোন প্রকার যৌন কর্যক্রম করা থেকে বিরত থাকুন।
এ পদ্ধতির ফলে হয়তো পুরুষ কিছুক্ষনের জন্য লিঙ্গের দৃঢ়তা হারাবেন। কিন্তু ৪৫ সেকেন্ড পুর পুনরায় কার্যক্রম চালু করলে লিঙ্গ আবার আগের দৃঢ়তা ফিরে পাবে। স্কুইজ পদ্ধতি একবার মিলন করার সময় আপনি যতবার খুশি ততবার করতে পারেন।
যৌনমিলন কোন বয়সে হওয়া খুব বেশি জরুরী?
মনে রাখবেন সব পদ্ধতির কার্যকারীতা অভ্যাস বা প্রাকটিস এর উপর নির্ভর করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করা বোকামী হবে।
সংকোচন (টেনসিং)
এ পদ্ধতি সম্পর্কে বলার আগে আমি আপনাদের কিছু বেসিক ধারনা দেই। আমরা প্রস্রাব করার সময় প্রসাব পুরোপুরি নিঃস্বরনের জন্য অন্ডকোষের নিচ থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত অঞ্চলে যে এক প্রকার খিচুনী দিয়ে পুনরায় তলপেট দিয়ে চাপ দেই এখানে বর্নিত সংকোচন বা টেনসিং পদ্ধতিটি অনেকটা সে রকম।
তবে পার্থক্য হল এখানে আমরা খিচুনী প্রয়োগ করবো – চাপ নয়।
মিলন কালে যখন অনুমান করবেন বীর্য প্রায় স্থলনের পথে, তখন আপনার সকল যৌন কার্যক্রম বন্ধ রেখে অন্ডকোষের তলা থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত অঞ্চল কয়েক সেকেন্ডের জন্য প্রচন্ড শক্তিতে খিচে ধরুন। এবার ছেড়ে দিন।
পুনরায় কয়েক সেকেন্ডের জন্য খিচুনী দিন। এভাবে ২/১ বার করার পর যখন দেখবেন বীর্য স্থলনেরে চাপ/অনুভব চলে গেছে তখন পুনরায় আপনার যৌন কর্ম শুরু করুন। সংকোচন পদ্ধতি আপনার যৌন মিলনকে দীর্ঘায়িত করবে।
আরো পড়ুন: স্বামী স্ত্রীর মিলন হাদিস; সহবাসের নিয়ম ও পদ্ধতি
আবারো বলি, সব পদ্ধতির কার্যকারীতা অভ্যাস বা প্রাকটিস এর উপর নির্ভর করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করা বোকামী হবে।
বিরাম (টিজিং / পজ এন্ড প্লে)
এ পদ্ধতিটি বহুল ব্যবহৃত। সাধারনত সব যুগল এ পদ্ধতির সহায়তা নিয়ে থাকেন। এ পদ্ধতিতে মিলন কালে বীর্য স্থলনের অবস্থানে পৌছালে লিঙ্গকে বাহির করে ফেলুন অথবা ভিতরে থাকলেও কার্যকলাপে বিরাম দিন।
এই সময় আপনি আপনাকে অন্যমনস্ক করে রাখতে পারেন। অর্থ্যত্ সুখ অনুভুতি থেকে মনকে ঘুরিয়ে নিন। যখন অনুভব করবেন বীর্যের চাপ কমে গেছে তখন পুনরায় শুরু করতে পারেন।
বিরাম পদ্ধতির সফলতা সম্পুর্ন নির্ভর করে আপনার অভ্যাসের উপর। প্রথমদিকে এ পদ্ধতির সফলতা না পাওয়া গেলেও যারা যৌন কার্যে নিয়মিত তারা এই পদ্ধতির গুনাগুন জানেন।
মনে রাখবেন সব পদ্ধতির কার্যকারীতা অভ্যাস বা প্রাকটিস এর উপর নির্ভর করে। একটা বিষয় প্রতিটা পুরুষেরই জেনে রাখা দরকার – বিষয়গুলি নিয়ে অবশ্যই আপনার স্ত্রীর সাথে আলোচনা করবেন।
তাতে আপনারা দু’জনেই লাভবান হবেন। আপনি আপনার স্ত্রীকে পদ্ধতিগুলো বুঝিয়ে বলুন। দেখবেন সেই আপনাকে সাহায্য করবে ।
কারন সে জানে আপনি বেশি সময় নেয়া মানে তার নিজেরই লাভবান হওয়া। মিলন অধিক সময় স্থায়ী করার মানসিক এবং শারিরীক পদ্ধতি সবচাইতে বড় যে ভুলটি করেন বেশিরভাগ মানুষ, সেটা হলো বিয়ের পর নিজেকে আর আগের মত যত্ন না করা।
নিজেকে সাজানো, নিজের সৌন্দর্য রক্ষা করা, শরীর সুগঠিত রাখা ইত্যাদি কাজগুলো করেন না। সময়ের সাথে সাথে জীবন থেকে হারিয়ে যায় নিজেকে সুন্দর দেখাবার প্রয়াস। স্বভাবতই সঙ্গীর চোখেও আপনি হয়ে পড়তে থাকেন সাদামাটা। অনেক ক্ষেত্রে কুত্সিতও!
বিয়ে হয়ে গেলো মানেই ফুরিয়ে গেছে সব? বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাই হয়। কেবল দুজনে কোথাও বেড়াতে যাওয়া, একটা রোম্যান্টিক ডেট, রোম্যান্টিক মেসেজ চালাচালি এসব যেন কোথায় হারিয়ে যায়। এমনকি যৌন জীবনটাও হয়ে পড়ে একদম একঘেয়ে।
অনেকেই মনে করেন, বিয়ে তো হয়েই গেছে! এখন আর এসব করে কী লাভ? আরে, বিয়ের পরই তো এসবের বেশী প্রয়োজন। রোমান্টিকতার চর্চা করুন মানসিক ও শারীরিক ভাবে। প্রেম ও যৌনতার দুনিয়া, দুটোকেই ভরিয়ে রাখুন নতুনত্বে। এবার এক নজরে দেখে নিন যৌন মিলন দীর্ঘস্থায়ী করার আরো কিছু কার্যকারী উপায় সম্পর্কে।
মাঝে মাঝে একটু দুরত্ব বজায় রাখুন – একটি খাবার যদি আপনি প্রতিদিন খান, কেমন লাগবে আপনার? কিংবা এক সিনেমা যদি রোজ দেখেন? সারাক্ষণ পরস্পরের সঙ্গে থাকলেও তাই হয়। কখনো তাঁকে ছাড়াই বেড়াতে যান। বন্ধুদের সঙ্গে মিশুন, নিজেকেও সময় দিন। একটু দূরত্ব সম্পর্কের জন্য ভালো।
সবসময় আগোছালো থাকা
আচ্ছা, প্রতিদিন আপনার ঘরে পরার পোশাকটি কি খেয়াল করে দেখেছেন কখনও? বেশির ভাগ মানুষই ঘরের মাঝে নিজেকে গুছিয়ে রাখেন না।
ভুলে যান যে প্রিয় মানুষটি আপনাকে এই ঘরের মাঝেই দেখছে। তাই নিজেকে একটু গুছিয়ে রাখুন। একটা বিচ্ছিরি পোশাকের চাইতে একটু টিপটপ পোশাক পরুন, চুলটা আঁচড়ে রাখুন। দেখতে সুন্দর দেখালে আকর্ষণটা অটুট থাকবে চিরকাল।
খিটখিটে হয়ে যাওয়া
একটা জিনিষ সব সময় মনে রাখবেন যে, তিনি আপনার স্ত্রী বা স্বামী হলেই তার সাথে খারাপ ব্যবহার করার অধিকার আপনি রাখেন না। বরং তার সঙ্গেই করতে হবে সবচেয়ে ভালো ব্যবহার। কী বা যাবে আসবে, বিয়েই তো করেছি। এই ভাবনা অবিলম্বে ত্যাগ করুন।
মনের যৌন উত্তেজনা কম করুণ
প্রত্যেক যুবক যৌবনবতী নারীর দিকে তাকাতে বা তাঁর সঙ্গে মিশতে ভালবাসে। এই তাকানোর মধ্যে একপ্রকার যৌনোত্তেজনা মনে জাগে যদি কোন সুন্দরী নারীর দেহের কিছুটা অংশ দৃষ্টিগোচর হয়, তাহলে উত্তেজনার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
আধুনিককালে মেয়েরা, যুবতীরা যে ভাবে দেহের বিশেষ বিশেষ অঙ্গ অনাবৃত রেখে জামাকাপড় পরে তাতে পুরুষের যৌন উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়।
এছাড়া সিনেমায়, সিনেমার বিজ্ঞাপনে, টেলিভিশনে, স্নানের ঘাটে অথবা সমুদ্রতীরে, বিজ্ঞাপনে অর্ধ নগ্ন নারীদেহ নিয়তই পুরুষের মনে উত্তেজনার সৃষ্টি করে। এই উত্তেজনার ক্রমাগত আঘাত পুরুষের স্নায়ুচক্রের অনুভূতিকে ভোঁতা করে দেয়।
তাই, পুরুষ যখন কোন জীবন্ত নারীর নগ্নদেহের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসে বা খারাপ ছবি দেখে কিংবা চটি গল্প পড়ে-তখন তাঁর মধ্যে যে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়, সেই উত্তেজনাই তাঁর স্নায়ুদের বিকল এবং অনুভূতিহীন করে দেয়। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ উত্তেজনা অবশ্যই প্রয়োজনীয়।
কিন্তু পুরুষ মাত্রকেই ‘চরম উত্তেজনা’ এবং ‘মাত্রামতো উত্তেজনা’ এর মাঝে সীমারেখা টানতে শিখতে হবে। মনে উত্তেজনার শিহরণ যত কম হবে পুরুষের যৌন মিলন করার ক্ষমতা তত বেশী শক্তিশালী হবে।
এমন অনেক অবিবাহিত বা সদ্যবিবাহিত যুবক আছেন-যারা যৌন জীবনের সঙ্গিনীর কাছে গেলেই লিঙ্গ থেকে কামরস ক্ষরণ হতে শুরু করে-তারপর সঙ্গিনী যখন মিলন কামনা করে তখন লিঙ্গে উত্তেজনা হয় না।
বাইরের টেনশন ঘড়ে নয়
আপনার আর্থিক দুঃশ্চিন্তা, চাকুরী বা ব্যবসা ক্ষেত্রের উদ্বিগ্ন মনোভাব, সংসারের অন্যত্র সংঘটিত কোন কলহজনিত অশান্তি, আপনার দাম্পত্যশয্যায় বয়ে নিয়ে যাবেন না। ঐ দ্বন্দ্ব কহলজাত যে উদ্বিগ্ন মনোভাব, তা পুরুষের যৌন মিলন করার ক্ষমতা স্তিমিত করে দেয়, পুরুষকে উত্তেজনাহীন করে দেয়।
আজকের পৃথিবীতে এত বেশী ব্লাডপ্রেসারের আমদানীর মূলও মানসিক উদ্বেগ। মানসিক উদ্বেগ দেহের স্বাভাবিক কর্মপদ্ধতিতে বাঁধা সৃষ্টি করে। দেহের প্রত্যেক বিভাগ এই উদ্বেগের জন্য আহত হয়।
পাকস্থলী এবং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশকে ক্ষতিগ্রস্থ করে, আর যেসব স্নায়ু যৌনাঙ্গকে পরিচালনা করে তারা এর প্রভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বহু মধ্যবয়সী পুরুষ এই জাতের মানসিক উদ্বেগের জন্য যৌনজীবনে নিরুত্সাহ হয়ে পড়েন-শেষে একেবারে যৌন মিলন করতে অক্ষম হয়ে পড়েন।
ধরুন, আপনি যদি কোন রাত্রিতে শুনতে পান যে, আপনার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বা বন্ধু মারা গেছে, কি আপনারা এক নিদারুণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, সেদিন কি আপনার যৌন মিলন করার প্রবৃত্ত হতে প্রেরণা জাগে? নিশ্চয়ই না।
যেদিন আপনার স্ত্রীর সঙ্গে কোন কারণে ভীষণ মনোমালিন্য হয়-সেদিন কি আপনার রতিমিলনে প্রবৃত্ত হতে ইচ্ছা হয়? নিশ্চয়ই না। অতএব মানসিক উদ্বেগকে যথাসম্ভব আপনার দাম্পত্যশয্যা থেকে দূরে রাখুন।
যৌন মিলনে ধূমপান মদ্যপান বাদ দিন
যারা ধূমপান করেন, তাঁরা বোধ হয় লক্ষ্য করেছেন, যে মানসিক অশান্তি বা উদ্বেগের সময় মানুষ খুব বেশী ধূমপান করে। ধূমপান করলে শরীরে যে নিকোটিনজাত উত্তেজনা সৃষ্টি হয় তা স্নায়ুর উপরে যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে তাতে সাময়িক উদ্বেগ বাড়ে এবং স্নায়ুবিক দৌর্বল্য আধিক্য লাভ করে।
তামাকের নিকোটিন মানুষের রক্তকোষের উপরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। রক্তের কোষগুলি এর প্রভাবে একটার গায়ে আর একটা আটকে যায় এবং রক্ত চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি হয়। যৌন মিলন করার জন্য অবশ্যই রক্ত প্রবাহের সঠিক গতি এবং চলাচল ক্রিয়া অত্যন্ত দরকারী।
আবার মাত্রাতিরিক্ত মদ্যমান মানুষের স্নায়ু এবং অনুভূতি শক্তিকে ভোঁতা করে দেয়। মানুষ যখন মদের প্রভাবে থাকে, তখন তাঁর পক্ষে যা কিছু করা সম্ভব এবং তা সে নিজের অবচেতন মনের ইচ্ছার দ্বারা করে। তখন মনের যেমন কোন শক্তি থাকে না, দেহেরও তেমনি শক্তি থাকে না। মদ মানুষের অনুভূতিশক্তি এবং মিলন করার শক্তিকে এইভাবে ধ্বংস করে দেয়।
যৌন মিলন স্বাস্থ্যকর খাদ্য খেতে হবে
সাধারণ ভাবে শরীরকে সুস্থ এবং কর্মঠ রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও প্রোটিন যুক্ত খাদ্য খেতে হবে। দেহের স্নায়ুচক্রের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য ভিটামিন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, বিশেষ করে ভিটামিন বি-১, ভিটামিন ই ।
কারণ, পুরুষের মিলন অক্ষমতার মূলে থাকে স্নায়ুতন্ত্রের অসাড়তা বা অসুস্থতা। প্রোটিন খাদ্য দেহকে শক্তিশালী এবং মজবুত করে রাখবে। যৌনমিলনে দৈহিক শক্তিরও বেশ একটা প্রয়োজনীয় স্থান আছে।
খাদ্যের অভাবে, পুষ্টির অভাবে দেহ দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে। গ্রন্থিরা ঠিকমতো পুষ্টি পায় না-ফলে যৌনমিলনে যেসব জিনিস দেহের দরকার তারা নিস্তেজ থাকায় কাজ করে না বলেই যৌন অক্ষমতা দেখা দেয়।
পর্যাপ্ত মুক্ত বাতাসে ব্যায়ম করা দরকার
যৌনক্ষমতা বজায় রাখার জন্য দেহের মাংসপেশীর স্বাস্থ্য যেমন দরকারী, তেমনি দরকার দেহের মধ্যে রক্তের সঠিক সঞ্চালন। আর এই দুইটির একটির জন্য দরকার নিয়মিত ব্যায়াম-অন্যটির জন্য মুক্ত বাতাস।
ব্যায়াম করলে দেহের মাংসপেশীরা উপকৃত হবে, ঠিকমতো গড়ে উঠবে এবং বৃদ্ধি পাবে। আর মুক্ত বাতাস থেকে অক্সিজেন পেলে রক্ত চলাচল সঠিক হবে। যৌন উত্তেজনা হলে দেহের পেশীগুলি যেমন স্ক্রিয় হয়, তেমন রক্ত চলাচলের গতিও বৃদ্ধি পায়। চাইলে যোগ ব্যায়াম ও করতে পারেন।
প্রয়জন সহযোগিতার
পুরুষের যৌন মিলন করার অক্ষমতা নারীর সহযোগিতা পেলে অনেকাংশে দূর হয়। যৌন জীবনের সঙ্গিনী যদি পুরুষকে সাহায্যে করে তাহলে যৌন মিলন অক্ষম পুরুষও দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।
যৌন মিলন যে সঙ্গীর সঙ্গেই হোক না কেন, মনকে দৃঢ় রাখতে হবে, কোন প্রকার ভীতি সংশয় বা সন্দেহ মনে দেখা দিলে যৌন অক্ষমতা অনিবার্য হয়ে আত্মপ্রকাশ করে।
অনেক সময় দেখা যায় যে, অনেক পুরুষ স্বল্প সময়ের মধ্যেই বীর্যপাত করেন, যার ফলে নারী অতৃপ্ত থেকে যায়। তাই মিলন করার সময় নারীর চাওয়া পাওয়াকে বেশি প্রাধান্য দেয়া উচিত। যৌন মিলন বা দীর্ঘ সময় মিলন করার সম্পকের্ পদ্ধতি আরো যা খেয়াল রাখবেন –
নিজেকে অযথা উত্তেজিত হতে দিবেন না, ধৈর্য ধরুন। উত্তেজিত হলে দীর্ঘক্ষণ সঙ্গম করা সম্ভব নয়।
সঙ্গিনীর গায়ে হাত দেয়ার আগে তাকে ভালোবাসুন।
চুম্বন দিয়ে শুরু করুন এবং তা দীর্ঘায়িত করুন।
স্পর্শ কাতর অংশে প্রথমেই হাত দিবেন না।
সঙ্গিনী পুরোপুরি উত্তেজিত হবার ১-২ মিনিট পর মিলন করার প্রস্তুতি নিন।
কখনোই জোর করে কিছু করবেন না অথবা জোর করে দীর্ঘায়িত করবেন না।
সঙ্গীনির পছন্দ অনুযায়ী আসন পরিবর্তন করুন। কারণ আসন পরিবর্তনে মিলনের ইচ্ছা পুনরায় বেড়ে যায় যার কারণে দীর্ঘসময় মিলন করা সম্ভব।
একজনের আমন্ত্রনের জন্য অন্যজন বসে থাকবেন না।
কারো আগে পরে বীর্যপাত হলে কিংবা শক্ত না হলে সঙ্গীকে দোষারোপ করবেন না। মাঝে মাঝে এরকম হতেই পারে।
যদি কেউ যৌন অক্ষমতার দরুণ যৌনজীবনে বিপর্যস্ত হতে বসেন, তবে তাঁর উচিত্ কোন ভাল চিকিত্সককে দিয়ে তাঁর যৌনাঙ্গ ও প্রষ্টেট সংক্রান্ত অঙ্গগুলি পরীক্ষা করা এবং মানসিক কারণটি খুঁজে বের করা।
রতিবিরতিতে ব্রহ্মচর্য লাভ হতে পারে কিন্তু যৌন জীবন দুর্বল হয়ে পড়ে। যাদের যৌন জীবন যৌবনের যত প্রথমে শুরু হয় তারা তত বেশি দিন যৌন জীবনে সক্রিয় থাকেন। অবশ্য এর জন্য দেহ এবং মনের যত্ম নিতে হবে, পরিত্যাগ করতে হবে অসুস্থ এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা।
উপরের সবকয়টি পদ্ধতি আপনার সঙ্গীর তৃপ্তির উদ্দেশ্যে। অনেকের ধারনা নারী এ ট্রিকস্ গুলো অনুমান বা জানতে পারলে পুরুষত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। ধারনাটি সম্পুর্ন ভুল। আপনি আপনার স্ত্রীকে পদ্ধতিগুলো বুঝিয়ে বলুন। দেখবেন সেই আপনাকে সাহায্য করছে। কারন সে জানে আপনি বেশি সময় নেয়া মানে সে লাভবান হওয়া।
.
.
.
নারীকে তৃপ্তি দেওয়ার সহজ উপায়:
.
সহবাসের আগে পুরুষাঙ্গের মাথায় সামান্য করে এটা লাগান …
বিয়ের মাধ্যেমে একটা মেয়ে তার স্বামীর সংসারে এসে দুটো জিনিসে বেশি খুশি হয়।প্রথমত স্বামীর স্বচ্ছলা অথ্যাৎ ভালো অর্থনৈতি অবস্থা দ্বিতীয়ত স্বামীর আদর।
তবে প্রথমটার থেকে দ্বিতীয়টা বেশিরবাগ নারীর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর প্রত্যেকস্বামীরও উচিত স্ত্রীকে সুখ দেওয়া।অনেক পুরুষ পর্যাপ্ত যৌন জ্ঞানের অভাবে স্তীকে পরিপূর্ণ
তৃপ্তি দিতে পারে না। তাদের জন্য আজকের এই পোষ্ট।চলুন দেখাযাক কীভাবে নারীকে দ্রুত তৃপ্তি দেওয়া যায়।
১। স্পর্শকাতর স্থানে যেমন গাল, ঠোঁট, কান, গলাতে ঘন ঘন চুমু দেওয়া।
২। আপনার সঙ্গিনীর উরুতে মৈথুনীর পূর্বে ঘর্ষণ করা।
সহবাসের সময় যে পাঁচটি কাজ করা কখনই উচিত নয়! করলে মহা বিপদ… কাজগুলো কি কি জেনে নিন এবং করা থেকে বিরত থাকুন
সহবাস একটি পরম সুখের বিষয় যা স্বামী স্ত্রীর মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। এটা এমন একটি গোপন বিষয় যেটা আমরা না শিখি কোন ক্লাসে আর না আছে এর জন্য কোন বিদ্যালয়, অথচ প্রতিটি মানুষের রয়েছে যৌন চাহিদা।
যদিও আমরা যৌন সংক্রান্ত বিষয়াদি প্রাকৃতিক ভাবেই শিখে থাকি। সহবাসের সুখ আরো ভালোভাবে উপভোগ করতে রয়েছে কিছু নিয়ম কানুন যা বৈজ্ঞানীকভাবে স্বীকৃত, কিন্তু আমরা অনেকেই সে নিয়ম কানুন গুলো জানি না। পাঠক পাঠিকাদের জন্য সঙ্গমের সময় যা করা উচিত নয় এমন পাঁচটি বিষয় নিচে তুলে ধরা হল।
.
১) আপত্তি জানানো : স্বামী স্ত্রীর দুইজনের সহবাসের ফলেই যৌনসুখ লাভ করা সম্ভব। তাই সহবাসের সময় আপনার সঙ্গিনী কিভাবে বেশী সুখ পাবে খেয়াল রাখতে হবে । যদি দেখেন যে আপনার সঙ্গিকে সুখী করতে গিয়ে আপনার একটু সমস্যা হচ্ছে তাতেও কোন প্রকার আপত্তি করা উচিত না্। এতে তার মন ভেঙ্গে যায ফলে আসল সুখ আর পাওয়া যায় না। আপনাকে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে আপনার সঙ্গি কি চায়। প্রয়োজনে দুই জনের মধ্যে ভালোলাগা ও চাওয়া পাওয়া বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করুন। তবেই পাবেন সহবাসের আসল সুখ।
.
২) অতিরিক্ত আবেগ অথবা চুপ থাকা: অনেকেই সহবাস করার সময় খুব আবেগী হয়ে পরেন এবং বেশী কথা বলেন। এমনটি করলে আপনার শক্তি খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাবে ফলে আপনি ও আপনার সঙ্গী উভয়ই প্রকৃত সুখ থেকে বঞ্চিত হবেন। সুতরাং মিলনের সময় একে অন্যের সাথে ভালবাসা সম্পর্কিত কথা ছাড়া অন্য কোন কথা না বলাই ভাল।মনে রাখবেন, আপনার সঙ্গী আপনার কাছ থেকে অনেক আদর আর ভালবাসা পাওয়ার দাবি করে।
.
৩) সঙ্গিকে অবজ্ঞা করা: কোন ভাবেই আপনার সঙ্গিকে অবজ্ঞা করা যাবে না। আপনার সাথী দেখতে যেমনই হোক না কেন বা তাকে যতই খারাপ লাগুক না কেন আপনাকে বুঝাতে হবে যে আপনি তার প্রতি খুবই আকর্ষিত। তা না হলে তার মন ভেঙ্গে যাবে এবং এর দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব পরবে। সুতরাং আপনি আপনার সাথীকে খুশী রাখার জন্য তার দিকে পূর্ণ মনযোগ দিন। দেখবেন সব অনীহা দুর হয়ে গেছে।
.
৪) অধিক তাড়াহুড়ো করা: অনেকে মনে করেন যে খুব দ্রুত সহবাস করলে বেশী আনন্দ পাওয়া যায় তাই খুব দ্রুত অঙ্গ চালনা করে। এটা ভুল। সঙ্গম একটি উপভোগের বিষয়। সুতরাং যত সময় নিয়ে উপভোগ করবেন আপনি ও আপনার সঙ্গী তত বেশী আনন্দ পাবেন।
.
৫) দ্রুত গোসল করা: এটা ঠিক যে মিলনের পর আপনার ফ্রেশ হতে হবে কিন্তু আপনি যদি খুব দ্রুত আপনার সাথীকে বিছানায় ফেলে উঠে আসেন তবে তা আপনার সঙ্গীর মনে ভূল ধারনা তৈরী হতে পারে। তিনি ভাবতে পারেন যে আপনি তার প্রতি সন্তুষ্ট নন। সুতরাং সঙ্গম শেষ করার পর কিছুটা সময় আপনার সঙ্গীর সাথে কাটান। তাকে আদর করুন। তাকে বুঝান যে আপনি তার প্রতি সন্তষ্ট। আর এমনটি করতে রাসূল (সাঃ) ও নির্দেশ দিয়েছেন। যেমনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যখন পুরুষ তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে তখন সে যেন পরিপূর্ণ ভাবে (সহবাস) করে। আর তার যখন চাহিদা পূরণ হয়ে যায় (শুক্রস্খলন হয়) অথচ স্ত্রীর চাহিদা অপূর্ণ থাকে, তখন সে যেন তাড়াহুড়া না করে। [মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস নং-১০৪৬৮]
এই হাদীস থেকে আমরা নির্দেশ পাচ্ছি স্বামীর বীর্যস্খলন হয়ে গেলেও স্বামী যাতে সাথে সাথে স্ত্রীকে ছেড়ে না উঠে যায়। এতে স্ত্রীর যদি তৃপ্তি অপূর্ণ থেকে যায় তাহলে তাতে তার তৃপ্তি যেমন পূর্ণ হয়ে যাবে, স্ত্রীও নিজেকে স্বামীর ভোগ্য বস্তু মনে করবে না। এখান থেকে আরেকটি উপকার হচ্ছে, যৌন উত্তেজনার কারণে দেহ গরম হয়ে যায়। এই অবস্থায় অযু বা গোসল করলে ঠাণ্ডা লেগেতে যেতে পারে অথবা জ্বর উঠতে পারে। তাই ৫-১০ মিনিট দেরী করলে জ্বর অথবা ঠান্ডা লাগার ভয় থাকে না।
.
.
.
স্ত্রীকে দ্রুত উত্তে জিত ও তৃপ্তি করার উপায় :
স্ত্রীকে উত্তেজিত করার উপায় গুলো আজকের দিনের অনেক স্বামীই জানেন না। তারা এও জানেন না কিভাবে স্ত্রীকে আদর করতে হয়। মেয়েদের যখন যৌন সুখ লাভের শুরু হয়, পুরুষের তখন সেক্স উত্তেজনা শেষ হয়ে যায়।
একজন নারীর জন্য চরম বিরক্ত কারণ হচ্ছে সহবাসে তার তৃপ্ত না হওয়া। অনেক পুরুষই তার স্ত্রীকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দেওয়ার পূর্বেই তার বীর্যপাত হয়ে যায়। যার কারণে তার স্ত্রী অপূর্ণ তৃপ্তি বোধ থেকে যায়। যার কারণে তাদের মন মেজাজ বিগড়ে যায়। তাই স্বামীর সাথে অনেক সময় ভালো আচরণ করতে পারে না। যার ফলে সংসারে অশান্তি নেমে আসে। স্ত্রীরও পরপরুষের প্রতি আকৃষ্ট হয়। তাই পরপুরুষকেই দিয়েই নিজেকে পরিতৃপ্ত করতে আগ্রহী হয়ে পরকীয়ার প্রেমে জরিয়ে যাচ্ছে।
তাই প্রত্যেক স্বামীরও উচিত নিজের স্ত্রীকে পরিপূর্ণ সুখ দেওয়া চেষ্টা করা। অনেক পুরুষই পর্যাপ্ত যৌন জ্ঞানের অভাবে স্ত্রীকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দিতে পারেন না। আজকের পোস্ট এ পড়ুন কীভাবে নারীকে দ্রুত অধিক তৃপ্তি দেওয়া যাবে নিজের যৌন দূর্বলতা থাকার পরও। তাই জেনে নিন…
স্ত্রীকে দ্রুত যৌন উত্তেজনা জাগানোর উপায় সমূহ
যৌন মিলন শুরু করার আগে স্ত্রীকে ভালো ভাবে উত্তেজিত করার মাধ্যমে স্ত্রীকে পূর্ণ তৃপ্তি দেওয়া যায়। তাই যৌন মিলন শুরু করার পূর্বে স্ত্রীকে ভালোভাবে উত্তেজিত করে নিবেন। কিছু কলা-কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে স্ত্রীকে দ্রুত উত্তেজিত করা যায়। নিচে স্ত্রীকে দ্রুত উত্তেজিত করার নিয়ম ও টিপস গুলো দেওয়া হলো-
১। স্পর্শকাতর স্থানে যেমন গাল, ঠোঁট, কান, গলায় ঘন ঘন চুম্বন করুন। আপনার নিঃশ্বাসের শব্দ যেন তাঁর কানে শোনা যায়।
২। আপনার সঙ্গিনীর উরুতে ঘর্ষণ করুন।
৩। সঙ্গমের পূর্বে ফোরপ্লে এবং স্পর্শকাতর অঙ্গে ও যৌনাঙ্গে কামাদ্রিভাবে আলতো ভাবে আদর করুন।
৪। যৌনাঙ্গে মর্দনের ফলে নারী দ্রুত উত্তেজিত হয়।
৫। নারীর দেহের স্পর্শকাতর অঙ্গগুলি মর্দন করুন।
৬। যোনিতে আঙ্গুল প্রবেশ করিয়ে ঘর্ষণ করুণ।
৭। যোনিতে দুই ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে ঘর্ষণ করুণ।
৮। ভগাঙ্কুর ঘর্ষণ করুণ। যোনিমুখের প্রবেশের মুখের উপর দিকে বোঁটার মতো একটি স্থান পাবেন। ওটাতে ঘর্ষণ করলে নারীদের যৌন উত্তেজনা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
.
.
.
মিলনে তৃপ্তি বাড়ায় যে কথা
.
কথায় বলে- পুরুষ মানুষ দুই প্রকার। জীবিত আর বিবাহিত। সত্যিই কি বিয়ের পর পুরুষের সুখ চলে যায়? তাঁদের মন বিষিয়ে ওঠে? কিন্তু উপায় কী। হ্যাঁ, বিশেষজ্ঞরা বের করেছেন, বিবাহিত কিংবা দাম্পত্য জীবনে কীভাবে সুখে থাকা যায় তার রহস্য। বিশেষ করে মিলনে তৃপ্তি পাওয়ার উপায়।
যৌনসম্পর্ক ভালো হওয়ার জন্য কত লোকই কত কিছুই না করে। কত জন কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করছে।
কিন্তু সমীক্ষা বলছে, এত কিছুর কোনো প্রয়োজন নেই। পার্টনারকে মিলনে সন্তুষ্টি দিতে চান? তাহলে মিলনের একটু আগে তাঁকে আই লাভ ইউ (আমি তোমাকে ভালোবাসি) বলুন। ব্যাস, এতেই বাজিমাত!
আমেরিকার চ্যাপমান ইউনিভার্সিটি একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল মিলনের ব্যাপারে সন্তুষ্টির বিষয়ে। সেই সমীক্ষার পর যা উঠে এসেছে তা হলো, ৭৫ শতাংশ নারী বলেছেন, মিলনের সময় তাঁরা আই লাভ ইউ বাক্যটি তাঁদের পার্টনারের কাছ থেকে শুনতে পেলেই, তাঁদের তৃপ্তি ভালো হয়।
.
তাহলে আর দেরী কেন? মিলনের সময় আর যাই করুন, সেই বহুবার বলা কথাটাই সঙ্গীর কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে বলুন, আই লাভ ইউ। ব্যস, যৌন তৃপ্তিতে কোনো খাদ থাকবে না। আর হিনমন্যতায় না ভুগলে সম্ভব হলে তার রূপের একটুখানি প্রশংসা করুন।
.
এছাড়াও তৃপ্তির বিষয়ে গবেষণায় আরও দেখা গেছে, মোজা পরে সঙ্গম করলে চরম সুখ প্রাপ্তি হয়।
বিজ্ঞানীদের মতে, পায়ে মোজা পরা থাকলে যৌন সুখ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তবে উত্কট রংয়ের মোজা পরলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
.
হাসিখুশি পুরুষের প্রতি আদৌ কোনো যৌন আকর্ষণ বোধ করে না নারী। বরং গোমড়া মুখের সঙ্গীর প্রতি দৈহিক মিলনের তীব্র কামনা অনুভব করে নারী।
অন্যদিকে, নারীর হাসিমুখ দেখে পুরুষের যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি পায় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সুতরাং কাতুকুতু দিলেও কোনো মতে পুরুষের হাসি চেপে রাখাই বিধেয়।
.
রৌদ্রস্নানে টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধি পায়। এর ফলে স্ত্রী পুরুষ উভয়েরই মনে তীব্র মিলনের কামনা জাগে। মিলনের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলতে রোদ পোহানো অভ্যেস করতে পারেন।
পূর্বরাগ পর্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে পুরুষের নাক। নাকের সামনের নরম অংশের স্পর্শে নারীর যৌন চেতনা জেগে ওঠে। তীব্র কামোন্মাদনা তৈরি হয়।
.
ঘর্মাক্ত পুরুষ দেখলে অধিকাংশ নারীর প্রবল যৌন ইচ্ছা তৈরি হয় বলে এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে। আসলে পুরুষের ঘামের সঙ্গে অ্যান্ড্রোস্ট্যাডিএনোন ক্ষরণের ফলে জাগ্রত হয় নারীর যৌন চেতনা।
.
একটি ভুল ধারণা প্রচলিত আছে তা হলো, পেশিবহুল পুরুষ মাত্রই নারীকে চরম যৌন তৃপ্তি দিতে সক্ষম। কিন্তু বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, যে সমস্ত পুরুষের শরীরের মধ্যপ্রদেশ স্ফীত, তাঁরাই দীর্ঘ সম্ভোগ করতে পারেন। আসলে শরীরে চর্বি থাকার মানে হলো স্ত্রী হরমোন এস্ট্র্যাডিওল-এর আধিক্য। এই হরমোনের সাহায্যে চরম রতিসুখের স্তরে পৌঁছাতে সাধারণের তুলনায় অন্তত ৫ মিনিট বেশি সময় লাগে ভুঁড়ি সমৃদ্ধ পুরুষের। তাই সিক্স প্যাক্স-এর মোহ ত্যাগ করে নারীরা স্থূল শয্যাসঙ্গী বাছলেই অধিক যৌন তৃপ্তি লাভ করবেন।
.
যত্ন করে দাড়ি কামানো মুখের চেয়ে গালে খোঁচা খোঁচা দাড়িই নারীকে বেশি আকর্ষণ করে বলে গবেষণায় জানা গেছে। এলোমেলো চুল আর অগোছাল দাড়ির পুরুষের সঙ্গে যৌন মিলনে তৃপ্ত হন বেশির ভাগ নারী।
.
অন্তরঙ্গতা বাড়াতে চুমুর বিকল্প নেই, জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যে যুগল ঘন ঘন চুম্বনে অভ্যস্ত, দেখা গেছে দীর্ঘায়িত যৌন মিলনের আনন্দ তাঁরাই উপভোগ করেন।
.
মশলাদার খাবার পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে বলে কথিত আছে। পছন্দের পুরুষের থেকে সম্পূর্ণ দৈহিক সুখ লাভ করতে হলে তাঁকে মশলা মিশ্রিত সুস্বাদু পদ পরিবেশন করুন।
.
মাথা ধরার অব্যর্থ দাওয়াই হলো রতিসুখ, জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, যৌন তৃপ্তি অনেক সময় আংশিক অথবা পুরোপুরি মাইগ্রেন সারাতে সক্ষম।
.
বিজ্ঞানীদের মতে, বয়স্কা নারীরা অল্পবয়েসীদের চেয়ে তুলনায় দ্রুত যৌন সুখের চরম সীমায় পৌঁছান। এই কারণে বয়সে বড় নারীর সঙ্গে পুরুষের সঙ্গম বেশি তৃপ্তিদায়ক বলে মনে করেন তাঁরা।
.
জানেন কি, ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও বহু মানুষ রতিক্রিয়াশীল থাকতে পারেন? ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে খাওয়া অথবা হেঁটে-চলে বেড়ানোর অভ্যাসের মতো কেউ কেউ ঘুমন্ত অবস্থায় দিব্যি যৌন মিলনে লিপ্ত হতে পারেন। এই অসুখের নাম 'সেক্সমনিয়া'। মজার কথা, ঘুম ভাঙলে ঘটনাটি একেবারেই ভুলে যান তাঁরা।
তবে যতই টিপস নিন না কেন, কার্যক্ষেত্রে সঠিক দাওয়াইটি মনে করে প্রয়োগ করতে পারলেই অভীষ্ট সিদ্ধি হবে। মনে রাখবেন, যৌন সংক্রান্ত কোনো রোগ থাকলে আগে তার ট্রিটমেন্ট করাই বিধেয়।
.
.
.
নারীকে যৌন উত্তেজিত ও দীর্ঘ সময় মিলনের উপায়
.
নিম্নলিখিত উপায়গুলি অবলম্বন করলে দ্রুত নারীর কাম উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। তা হলো :
*মুখ, কপাল, গাল ইত্যাদি স্থানে ঘন ঘন চুম্বন করা ও ধীরে ধীরে ঘর্ষণ করা।
*সঙ্গমের পূর্বে নারী দেহের বিভিন্ন স্থান স্পর্শ করলে, ধীরে ধীরে নাড়াচাড়া করলে কাম উত্তেজনা জাগে।
*নারীর যৌন ইন্দ্রয়গুলি স্পর্শ, ঘর্ষণ ও মর্দন করা উচিত।
*বিশেষ করে স্তন ও ভগাঙ্কুর মর্দন কাম উত্তেজনার সহায়ক।
*প্রয়োজন হলে ধীরে ধীরে আঘাত করা, দংশন করা বা নিপীড়ন করা চলে।
*সহবাসের আগে উপরোক্ত বিষয়ে স্ত্রীকে ভালভাবে উত্তেজিত কারা একান্ত আবশ্যক-অন্যথায় স্ত্রীর অতৃপ্তি থেকে যেতে পারে।
.
নারীর উত্তেজনার লক্ষণ :
*নারী উত্তেজিত হলে তার কি কি লক্ষণ পেতে পারে তা এবারে বলা হচ্ছে।
*নারী উত্তেজিত হয়ে পড়লে এবং কামবিহ্বল হলে তার দু’টি চোখ অর্দ্ধনিমীলিত ও রক্তবর্ণ ধারণ করে।
*জোরে জোরে নিশ্বাস পড়তে থাকে।
*চেহারার মধ্যে উত্তেজনার ভাব স্পষ্ট ফুটে ওঠে।
*হাত পা শিথিল হয়ে পড়ে।
*চোখ বুজে থাকতে চায়।
*তার লজ্জা কমে যায়, পুরুষ তার অঙ্গস্পর্শ করলে সে তাতে বাধা দেয় না।
*পুরুষ তার গোপন স্থানে হাত দিলে বা চাপ দিলে সে তা উপভোগ করে।
*সব রকম ভয়, সঙ্কোচ কাটিয়ে সারাটা দেহই সে পুরুষকে অর্পণ করে।
.
নারীকে যৌন উত্তেজিত করার চারটি পদ্ধতি রয়েছে। এগুলোর মাধ্যমেও আপনি দীর্ঘ সময় যৌনমিলন উপভোগ করতে পারবেন।
* ফিঙ্গার : বেশির ভাগ নারী মিলনপুর্ব ফিঙ্গারিং সরাসরি যৌন মিলনের চেয়ে বেশি তৃপ্তি পেয়ে থাকে। তাই ফিঙ্গার-প্লে তে অধিক সময় নিন।
* কল্পনা : শাররীক মিলনকালে অথবা অন্য সময় যৌনতা নিয়ে কল্পনা করা মোটেও ভুল নয়। সঙ্গীর উত্তেজক কর্মকান্ডের সাথে আপনার কল্পনা মিশিয়ে এক সুখকর আবেশে জড়াতে পারেন। কল্পনার রাজ্যে সব পুরুষ রাজা আর তার সঙ্গী রাণীর আসনে থাকে।
* সরাসরি মিলনে দেরী করা : নারী, বিশেষ করে তরুনীরা সাধারনত বেশি বেশি চুমা, ছোয়া সহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক যৌন উত্তেজক বিষয় একটু বয়স্কদের চেয়ে বেশি কামনা করে। বয়সবেধে চরম উত্তেজনায় পৌছতে কম/বেশি সময় নিয়ে থাকে। আপনার সঙ্গীর আকাঙ্খার উপর ভিত্তি করে পেনিট্রেশানের আগে আরো কিছু সুখ আদান প্রদান করুন।
* ভাইব্রেটর : আমাদের দেশে এখনো সেক্স টয় বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ। তাই নারীকে উত্তেজিত করার জন্য ভাইব্রেটর এর বিকল্প আপনার মধ্যমা আঙুলী দিয়ে তার যোনীর ভিতর জি-স্পট (যৌনাঙ্গের কিছুটা ভিতরে অতি সংবেদনশীল অঞ্চল) এ কম্পন সৃষ্টি করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন কোন অভ্যাস যেন স্থায়ী না হয়ে যায়।
.
নারীর তৃপ্তির লক্ষণ :
*নারী যৌন তৃপ্তি লাভ করলে তার মধ্যে কি কি লক্ষণ প্রকাশ পায় তা এবারে আলোচনা করা হচ্ছে।
*দেহ নুইয়ে পড়ে।
*সারাটা দেহে যেন অবসান আসে।
*দ্রুত হৃৎস্পন্দন হতে থাকে।
*আবেশে চোখ বুজে থাকে।
*যোনি থেকে রসস্রাব নির্গত হয়, এমন কি প্রস্রাব করে ও দিতে পারে।।
*নারীর সারা দেহে পুনঃপুনঃ শিহরণ হতে থাকে।
*অনেকে পূর্ণ তৃপ্তির আবেশে অজ্ঞান পর্যাপ্ত হতে পারে এমন ঘটনাও জানা যায়।
*ধীরে ধীরে গোঁ গোঁ বা প্রাণীর অনুরূপ শব্দ বের হতে পারে।
*সে পুরুষকে জোর করে বুকে চেপেও ধরে রাখতে পারে।
.
.
.
ছোট পুরুষাঙ্গ দিয়েও স্ত্রীকে চরম তৃপ্তি দেওয়ার সেরা উপায়
.
অনেক পুরুষ মনে করেন তাদের পুরুষাঙ্গ ছোট। আর এই মনে করাটা তাদের মানসিকভাবে অনেক দুর্বল করে দেয়। তারা নারীর সামনে সাবলীল হতে পারে না। বিশেষ করে যৌন আবেদনময়ী বা আচরণে কামুক ভাব আছে এমন নারীদের কাছ থেকে পারলে পালিয়ে বাঁচেন।বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলেন, পুরুষাঙ্গ বা পেনিস (মার্কিন উচ্চারন পিনেস) বা লিঙ্গ বড় না ছোট সেটা আসলে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। সঙ্গিনীকে সুখ দিতে চাইলে বড় আকারের একটা পুরুষাঙ্গ লাগবেই – এমনটা ভাবা বোকামি। মার্কিন ম্যান’স হেল্থ ম্যাগাজিন সম্প্রতি এই নিয়ে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। তার আলোকেই এই লেখা।
.
শুরুতে জানা যাক,ছোট পুরুষাঙ্গ আসলে কত ছোট? চিকিৎসকদের হিসেবে দাঁড়ানো মানে উত্তেজিত অবস্থায় পুরুষাঙ্গ আড়াই ইঞ্চির ছোট হলে সেটি ‘‘মাইক্রোপেনিস” বা ছোট পেনিস হিসেবে বিবেচিত হবে। মার্কন যুক্তরাষ্ট্রে এরকম ছোট পেনিস আছে প্রায় পনের লাখ মানুষের। তবে আমাদের দেশে ঠিক কতজনের মাইক্রোপেনিস আছে জানিনা। এতটুকু জানি, যেসব পুরুষ নিজেদের পাঁচ ইঞ্চি লম্বা পেনিসকেও ছোট মনে করেন, তারা নেহাত বোকা। পর্নো ছবি দেখে দেখে তাদের আত্মবিশ্বাসে আসলে চিড় ধরেছে।
যাহোক, বলছিলাম ছোট পুরুষাঙ্গ দিয়ে নারীকে সুখ দেয়ার পদ্ধতির কথা। ম্যান’স ম্যাযাগাজিন মার্কিন নাগরিক জিমের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। তাঁর পুরুষাঙ্গ দাঁড়ানো অবস্থায় তিন ইঞ্চির ছোট। অথচ এই ছোট পুরুষাঙ্গ দিয়েই তিনি দিব্যি সামলে যাচ্ছেন তাঁর সুন্দরী, অভিনেত্রী স্ত্রীকে। কিভাবে? সেটাই জানবো চলুন।
.
আগে থেকে প্রস্তুতি নিন
ছোট পুরুষাঙ্গের অধিকারীদের বুঝতে হবে যে পুরুষাঙ্গের আকারই সেক্স লাইফের একমাত্র সম্বল নয়। আসলে কারোরই তেমন ভাবা উচিত নয়। তাই নারীদেহ সম্পর্কে ভলো ধারনা অর্জন করতে হবে। সঙ্গিনী তাঁর দেহের কোন অংশে আদর করলে উত্তেজনা অনুভব করে সেগুলো বুঝতে হবে। এসম্পর্কে এখান থেকে সাহায্য নিন।
.
যেভাবে সঙ্গম করবেন
ডগি স্টাইল-
জিম একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। সমকামী বা লেসবিয়ান নারীরাও সেক্স করেন এবং কার্যত কোন পুরুষাঙ্গ ছাড়াই একে অপরকে আদর করে চরম সুখ লাভ করেন (নারীকে দ্রুত তৃপ্তি দেওয়ার উপায়)। তবে জিম বলছেন না যে তিনি সঙ্গম করেন না। বরং চিকিৎসকদের বরাতে তাঁর বক্তব্য হচ্ছে, মেয়েদের যোনি মুখ এবং শুরুর এক বা দুই ইঞ্চি জায়গা হচ্ছে সবচেয়ে স্পর্শকাতর।(নারীকে দ্রুত উত্তেজিত করার সহজ কিছু টিপস) আর ছোট পুরুষাঙ্গ দিয়ে সঙ্গমের সময়ও নারীর এই অংশে ঘষা লাগে। যৌন সুখের জন্য এটা প্রয়োজন। তাছাড়া ছোট পুরুষাঙ্গের জন্য সহায়ক কিছু সেক্স পজিশনও আছে। বিশেষ করে সঙ্গিনী হাতপায়ের উপর ভর করে পাছা উঁচু করে ধরলে, মানে ‘ডগি স্টাইল’ বা ‘ডাউনওয়ার্ড ডগ’ স্টাইলে সেক্স করলে ছোট পুরুষাঙ্গ দিয়েও নারীকে চরম সুখ দেয়া সম্ভব।
.
আত্মবিশ্বাস রাখুন
বেশ বড় পুরুষাঙ্গওয়ালা পুরুষদের আত্মবিশ্বাস অনেক উঁচু থাকে। তারা মনে করে পুরুষাঙ্গ দিয়েই সবকিছু জয় করা যায়। বিষয়টি আসলে সেরকম নয়। শুধু সঙ্গম অধিকাংশক্ষেত্রে নারীদের কাছে বিরক্তিকর মনে হয়। তারা চায় আদর, সোহাগ এবং দৈহিক সঙ্গম। তাই নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রাখুন। পুরুষাঙ্গ যেন আপনার আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি না হয়, বলেন জিম।
.
সব নারী আপনার জন্য নয়
পুরুষের মাঝে কারো কারো যেমন বিশাল আকৃতির পুরুষাঙ্গ আছে, তেমন কিছু নারীর বেশ বড় যোনিও রয়েছে। আপনার পুরুষাঙ্গ যদি ছোট হয়, আর সঙ্গিনীর যোনি স্বাভাবিকের চেয়ে বড়, তাহলে বেশি দূর না আগালেই ভালো। তাঁকে বরং বড় পুরুষাঙ্গ আছে এমন পুরুষ বেছে নিতে বলুন। আর আপনি আপনার উপযোগী সঙ্গিনী খুঁজে নিন। দু’টোর কোনটারই অভাব নেই আমাদের বিশ্বে।
.
.
.
ফোরপ্লে-র সময় পার্টনারকে আপনার শরীরের এই জায়গাগুলি স্পর্শ করতে বলুন, তবেই খেলা জমবে !
সেক্সুয়াল প্লেজার (sexual pleasure) বা যৌন সুখের কথা যখন ওঠে, তখন আমাদের বেশিরভাগেরই মাথায় একটাই কথা আসে, তা হল অর্গাজ়ম। নিঃসন্দেহে, অর্গাজম যৌন সুখের (sexual pleasure) চরম সীমায় পৌঁছতে সাহায্য করে। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর প্রথম ধাপটিকে ভুলে গেলে কীভাবে চলবে বলুন তো? বুঝতে পারলেন না? ফোরপ্লে-র (foreplay) কথা বলা হচ্ছে। আপনি যদি এখনও না জানেন যে ‘ফোরপ্লে’ বিষয়টি কী, খায় না মাথায় দেয়; তা হলে বলে রাখি, ফোরপ্লে (foreplay) হল শারীরিক মিলন (sex) শুরু করার আগের সময়টা, যখন একে অন্যকে স্পর্শ (touching) করলে শরীরের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ফোরপ্লে-র সময় এক-একজন, এক-এক রকমের ক্রিয়া করেন। কেউ শুধুমাত্র ঠোঁটে ঠোঁট রাখেন, আবার কেউ বা কানের কাছে আলতো করে একটা ছোট্ট কামড়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। আবার কারও ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একে অন্যের আলিঙ্গনই যথেষ্ট শারীরিক মিলনের (sex) জন্য উত্তেজনা বোধ করতে! তবে আপনি ও আপনার সঙ্গী যদি আরও বেশি যৌন সুখ চান, তা হলে ফোরপ্লে-র সময়ে একে অন্যের শরীরের বিশেষ কয়েকটি জায়গায় স্পর্শ (touching) করুন; অর্গাজ়ম আপনি এক্সপিরিয়েন্স করবেনই!
.
স্তনবৃন্ত
ফোরপ্লে-র সময়ে স্তনবৃন্তে স্পর্শ কিন্তু একটা বড় অনুঘটকের কাজ করে এবং তা নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই! আপনার সঙ্গীকে বলুন আপনার স্তন স্পর্শ করতে অথবা ছোট্ট, আলতো করে আপনার স্তনবৃন্তে কামড় দিতে! আর তারপর দেখুন আপনি চূড়ান্ত মিলনের জন্য ঠিক কতটা উত্তেজিত হয়ে পড়েন!
.
পায়ের বুড়ো আঙ্গুল
ফোরপ্লে-র সময়ে যদি পায়ের বুড়ো আঙুলে জিভ দিয়ে স্পর্শ করা যায়, তা হলে আরও বেশি যৌন সুখ পেতে পারেন। শুধুমাত্র মহিলাদের ক্ষেত্রে নয়, শারীরিক মিলনের ক্ষেত্রে পুরুষ সঙ্গীকে উত্তেজিত করার ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি প্রযোজ্য।
.
কানের লতি
পুরুষ সঙ্গীকে বলুন, কানের লতিতে আলতো করে একটা ভালবাসার ছোঁওয়া রেখে যেতে অথবা আপনার সঙ্গীকেই আলতো কামড়ে ভালবাসার আদরে ভরিয়ে দিন!
.
ঘাড়ের কাছে
বেশিরভাগ মহিলার জি-স্পট থাকে ঘাড়ের কাছে। মিলনের আগে ফোরপ্লে-র সময়ে অথবা মিলনের সময়েও ঘাড়ের কাছে একটি চুম্বন তাঁকে যৌন সুখের চরম সীমায় পৌঁছে দিতে পারে। আবার অনেক পুরুষও ঘাড়ের কাছে তাঁর সঙ্গিনীর আদর পছন্দ করেন।
.
থাই
আমাদের শরীরে থাই-এর ভিতরের দিকে একটি স্নায়ু রয়েছে, যেখানে স্পর্শ করলে যৌন উত্তেজনা হয়। আপনার সঙ্গীকে মিলনের আগের আনন্দ উপভোগ করার জন্য আপনি তাঁর থাই-এর ভিতরের দিকে চুম্বন করতে পারেন, নিজের জিভ দিয়ে স্পর্শ করতে পারেন। এমনকী, লাভ বাইটসও দিতে পারেন।
.
পিঠ
অনেক মহিলার যেমন ঘাড়ের কাছে জি-স্পট থাকে, ঠিক সেরকমই অনেক মহিলার পিঠে থাকে। ফোরপ্লে-র সময়ে অনেকেই পছন্দ করেন তাঁর সঙ্গী তাঁর পিঠে চুম্বন করুক, আবার অনেকেই পিঠে কাছে শুধুমাত্র একটি স্পর্শে উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
প্রতিদিন সহবাস করলে কি হয়
প্রতিদিন সহবাস করা স্বামী-স্ত্রীর জন্য কোনো সমস্যা সৃষ্টি করে না যদি উভয়েই শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকেন এবং এতে তাদের স্বাস্থ্যে কোনো নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে। তবে এটি ব্যক্তি বিশেষে এবং তাদের শারীরিক সক্ষমতা, মানসিক অবস্থা, এবং সম্পর্কের প্রয়োজনীয়তার ওপর নির্ভর করে। নিচে প্রতিদিন সহবাস করার সম্ভাব্য প্রভাবগুলো তুলে ধরা হলো:
ইতিবাচক প্রভাব
সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি:
- প্রতিদিন সহবাস করলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা ও ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। এটি সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে।
মানসিক প্রশান্তি:
- সহবাসের ফলে অক্সিটোসিন (সুখের হরমোন) নিঃসরণ হয়, যা মানসিক চাপ কমাতে এবং সুখী রাখতে সহায়তা করে।
শারীরিক ফিটনেস:
- সহবাস একটি শারীরিক কার্যকলাপ। এটি ক্যালরি পোড়ায় এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।
ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করা:
- নিয়মিত যৌন মিলন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।
ঘুমের উন্নতি:
সহবাসের পর শরীর ও মন শান্ত থাকে, যা গভীর ঘুম আনতে সাহায্য করে।
সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব
- শারীরিক ক্লান্তি:
প্রতিদিন সহবাস করলে শরীরে ক্লান্তি বা দুর্বলতা অনুভূত হতে পারে, বিশেষত যদি খাদ্যাভ্যাস বা বিশ্রাম পর্যাপ্ত না হয়।
- আগ্রহ কমে যাওয়া:
অত্যধিক ঘনিষ্ঠতার কারণে একঘেয়েমি বা আগ্রহ কমে যেতে পারে। তাই মাঝে মাঝে বিরতি রাখা ভালো।
- শারীরিক সমস্যা:
অতিরিক্ত সহবাসে পুরুষের স্পার্ম উৎপাদনে সাময়িক হ্রাস হতে পারে এবং নারীদের মধ্যে যোনি শুষ্কতা বা অস্বস্তি দেখা দিতে পারে।
সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে:
উভয়ের জন্য আরামদায়ক না হলে এটি সম্পর্কের মধ্যে মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
সতর্কতা
- প্রতিদিন সহবাস করার আগে উভয়ের সম্মতি ও শারীরিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করা উচিত।
- স্বাস্থ্যের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়লে বিরতি নেওয়া জরুরি।
- পর্যাপ্ত খাদ্য, পানি, এবং ঘুম নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
উপসংহার
যদি উভয়েই তাতে আরামদায়ক হন এবং কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা না হয়, তবে প্রতিদিন সহবাস করা ক্ষতিকর নয়। তবে মাঝেমধ্যে বিরতি রাখলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যের জন্য পরিমিতি এবং ভারসাম্য রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ।