নিচে ২০২৫ সালের রমজানের পুরো ৩০ দিনের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি দেওয়া হলো। এটি ঢাকা জেলার জন্য প্রযোজ্য।
২০২৫ সালের রমজানের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি (ঢাকা জেলা)
রমজান | তারিখ | দিন | সেহরির শেষ সময় | ইফতারের সময় |
---|---|---|---|---|
১ | ২৮ ফেব্রুয়ারি | শুক্রবার | ০৫:০৭ মিনিট | ১৮:০৪ মিনিট |
২ | ২৯ ফেব্রুয়ারি | শনিবার | ০৫:০৬ মিনিট | ১৮:০৪ মিনিট |
৩ | ১ মার্চ | শনিবার | ০৫:০৫ মিনিট | ১৮:০৫ মিনিট |
৪ | ২ মার্চ | রবিবার | ০৫:০৪ মিনিট | ১৮:০৫ মিনিট |
৫ | ৩ মার্চ | সোমবার | ০৫:০৩ মিনিট | ১৮:০৬ মিনিট |
৬ | ৪ মার্চ | মঙ্গলবার | ০৫:০২ মিনিট | ১৮:০৬ মিনিট |
৭ | ৫ মার্চ | বুধবার | ০৫:০১ মিনিট | ১৮:০৭ মিনিট |
৮ | ৬ মার্চ | বৃহস্পতিবার | ০৫:০০ মিনিট | ১৮:০৭ মিনিট |
৯ | ৭ মার্চ | শুক্রবার | ০৪:৫৯ মিনিট | ১৮:০৮ মিনিট |
১০ | ৮ মার্চ | শনিবার | ০৪:৫৮ মিনিট | ১৮:০৮ মিনিট |
১১ | ৯ মার্চ | রবিবার | ০৪:৫৭ মিনিট | ১৮:০৯ মিনিট |
১২ | ১০ মার্চ | সোমবার | ০৪:৫৭ মিনিট | ১৮:০৯ মিনিট |
১৩ | ১১ মার্চ | মঙ্গলবার | ০৪:৫৬ মিনিট | ১৮:১০ মিনিট |
১৪ | ১২ মার্চ | বুধবার | ০৪:৫৫ মিনিট | ১৮:১০ মিনিট |
১৫ | ১৩ মার্চ | বৃহস্পতিবার | ০৪:৫৪ মিনিট | ১৮:১১ মিনিট |
১৬ | ১৪ মার্চ | শুক্রবার | ০৪:৫৩ মিনিট | ১৮:১১ মিনিট |
১৭ | ১৫ মার্চ | শনিবার | ০৪:৫২ মিনিট | ১৮:১২ মিনিট |
১৮ | ১৬ মার্চ | রবিবার | ০৪:৫১ মিনিট | ১৮:১২ মিনিট |
১৯ | ১৭ মার্চ | সোমবার | ০৪:৫০ মিনিট | ১৮:১৩ মিনিট |
২০ | ১৮ মার্চ | মঙ্গলবার | ০৪:৪৯ মিনিট | ১৮:১৩ মিনিট |
২১ | ১৯ মার্চ | বুধবার | ০৪:৪৮ মিনিট | ১৮:১৪ মিনিট |
২২ | ২০ মার্চ | বৃহস্পতিবার | ০৪:৪৭ মিনিট | ১৮:১৪ মিনিট |
২৩ | ২১ মার্চ | শুক্রবার | ০৪:৪৬ মিনিট | ১৮:১৫ মিনিট |
২৪ | ২২ মার্চ | শনিবার | ০৪:৪৫ মিনিট | ১৮:১৫ মিনিট |
২৫ | ২৩ মার্চ | রবিবার | ০৪:৪৪ মিনিট | ১৮:১৬ মিনিট |
২৬ | ২৪ মার্চ | সোমবার | ০৪:৪৩ মিনিট | ১৮:১৬ মিনিট |
২৭ | ২৫ মার্চ | মঙ্গলবার | ০৪:৪২ মিনিট | ১৮:১৭ মিনিট |
২৮ | ২৬ মার্চ | বুধবার | ০৪:৪১ মিনিট | ১৮:১৭ মিনিট |
২৯ | ২৭ মার্চ | বৃহস্পতিবার | ০৪:৪০ মিনিট | ১৮:১৮ মিনিট |
৩০ | ২৮ মার্চ | শুক্রবার | ০৪:৩৯ মিনিট | ১৮:১৮ মিনিট |
মন্তব্য:
- সময়সূচি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে সংগৃহীত এবং ঢাকা জেলার জন্য নির্ধারিত।
- অন্যান্য জেলার জন্য সময়ের কিছু পার্থক্য থাকতে পারে (পূর্ব দিকে ২-৩ মিনিট আগে, পশ্চিম দিকে ২-৩ মিনিট পরে)।
রমজান মাসের ফজিলত:
- কুরআন
নাজিলের মাস:
- এই মাসে কুরআনুল
কারীম নাজিল হয়েছে। আল্লাহ বলেছেন:
"রমজান মাস, যাতে কুরআন নাজিল করা হয়েছে মানুষকে সঠিক পথের দিশা এবং হিদায়াত ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে।" (সূরা বাকারা: ১৮৫) - গুনাহ
মাফের মাস:
- নবী (সা.) বলেছেন:
"যে ব্যক্তি ঈমান ও সাওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখে, তার অতীতের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।" (বুখারি ও মুসলিম) - জাহান্নাম
থেকে মুক্তির মাস:
- রমজান মাসের প্রতিটি
রাতে আল্লাহ জাহান্নাম থেকে অনেক মানুষকে মুক্তি দেন। (তিরমিজি)
- লাইলাতুল
কদরের বরকত:
- এই মাসে লাইলাতুল
কদর রয়েছে, যা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম। (সূরা কদর: ৩)
- শয়তানের
শিকলবদ্ধ থাকা:
- রমজানে শয়তানদের
বন্দী করা হয়, জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। (বুখারি ও মুসলিম)
রমজানে করণীয় আমল:
- সেহরি
ও ইফতার:
- সেহরি খাওয়া সুন্নত এবং বরকতময়।
ইফতারের সময় দ্রুত ইফতার করা রাসূল (সা.)-এর সুন্নত।
- নামাজ
কায়েম:
- পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়মিত আদায় করা। পাশাপাশি
তারাবিহ নামাজ পড়া বিশেষ ফজিলতপূর্ণ।
- কুরআন
তিলাওয়াত:
- কুরআন তিলাওয়াতের
মাধ্যমে এই মাসে আল্লাহর কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করা।
- দোয়া
ও ইস্তিগফার:
- বেশি বেশি দোয়া করা এবং আল্লাহর
কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
- সদকাহ
ও দান:
- এই মাসে দান-খয়রাত ও সাহায্য-সহযোগিতা
করার ফজিলত অনেক বেশি।
- লাইলাতুল
কদরে ইবাদত:
- এই রাতের ইবাদতের
মাধ্যমে হাজার মাসের সাওয়াব অর্জন করা যায়।
- সাহর
(রাতের ইবাদত):
- তাহাজ্জুদ
নামাজ পড়া এবং গভীর রাতে আল্লাহর কাছে দোয়া করা।
- রোজা
রাখা:
- রোজা রাখার মাধ্যমে
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং আত্মসংযম অনুশীলন করা।
- কিন্ড
ইবাদত ও আখলাক:
- মানুষের
সাথে উত্তম আচরণ করা, ঝগড়া-বিবাদ এড়িয়ে চলা, এবং রাগ নিয়ন্ত্রণ করা।
- ইতিকাফ:
- রমজানের
শেষ ১০ দিনে মসজিদে ইতিকাফ করা।
রমজানের দোয়া:
রোজা রাখার নিয়ত:
"নাওয়াইতু
আন আসুমা গাদান মিন শাহরি রমাদান।"
অর্থ:
আমি
রমজান
মাসের
আগামীকালের রোজা
রাখার
নিয়ত
করছি।
ইফতারের দোয়া:
"আল্লাহুম্মা
ইন্নি লাকা সুমতু ওয়া বিকা আমান্তু ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু ওয়া আলা রিযকিকা আফতারতু।"
অর্থ:
হে
আল্লাহ!
আমি
তোমার
জন্য
রোজা
রেখেছি,
তোমার
প্রতি
ঈমান
এনেছি,
তোমার
ওপর
ভরসা
করেছি
এবং
তোমার
রিযিক
দ্বারা
ইফতার
করেছি।
রমজান মাসে বেশি বেশি ইবাদত করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করুন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রমজানের ফজিলত লাভ করার তৌফিক দিন। আমিন।