হুমায়ূন আহমেদ এর কবিতা।হুমায়ূন আহমেদ এর প্রেমের উক্তি।হুমায়ূন আহমেদ এর কবিতা ক্যাপশন।হুমায়ূন আহমেদ এর প্রেমের কবিতা

Estimated read time: 8 min


ঔপন্যাসিক হিসেবে হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয়তা বিষ্ময়কর। তাঁর উপন্যাস কমবেশি সবাইই পড়েছি আমরা। কিন্তু আমাদের অনেকেরই কাছে অপরিচিত রয়ে গেছে তাঁর কবি সত্ত্বাটি। আজ তার কবিতা কিছু কবিতা ,উক্তি,ক্যাপশন পড়বো।

১। রাশান রোলেট

টেবিলের চারপাশে আমরা ছ'জন

চারজন চারদিকে ; দু'জন কোনাকুনি

দাবার বোড়ের মত

খেলা শুরু হলেই একজন আরেকজনকে খেয়ে ফেলতে উদ্যত ।

আমরা চারজন শান্ত, শুধু দু'জন নিঃশ্বাস বন্ধ করে বসে আছে ।

তাদের স্নায়ু টানটান।

বেড়ালের নখের মত তাদের হৃদয় থেকে

বেরিয়ে আসবে তীক্ষ্ম নখ ।

খেলা শুরু হতে দেরি হচ্ছে,

আম্পায়ার এখনো আসেনি।

খেলার সরঞ্জাম একটা ধবধবে সাদা পাতা

আর একটা কলম ।

কলমটা মিউজিক্যাল পিলো হাতে হাতে ঘুরবে

আমরা চারজন চারটা পদ লিখবো ।

শুধু যে দু'জন নখ বের করে কোনাকুনি বসে আছে

তারা কিছু লিখবে না ।

তারা তাদের নখ ধারালো করবে

লেখার মত সময় তাদের কোথায় ?

প্রথম কলম পেয়েছি আমি,

আম্পায়ার এসে গেছেন।

পিস্তল আকাশের দিকে তাক করে তিনি বললেন,

এ এক ভয়ংকর খেলা,

কবিতার রাশান রোলেট -

যিনি সবচে ভালো পদ লিখবেন

তাকে তৎক্ষণাৎ মেরে ফেলা হবে ।

আমার হাতে কলম কম্পমান

সবচে সুন্দর পদ এসে গেছে আমার মুঠোয়।

২। গৃহত্যাগী জোৎস্না

প্রতি পূর্নিমার মধ্যরাতে একবার আকাশের দিকে তাকাই

গৃহত্যাগী হবার মত জ্যোৎস্না কি উঠেছে ?

বালিকা ভুলানো জ্যোৎস্না নয়।

যে জ্যোৎস্নায় বালিকারা ছাদের রেলিং ধরে ছুটাছুটি করতে করতে বলবে-

ও মাগো, কি সুন্দর চাঁদ !

নবদম্পতির জ্যোৎস্নাও নয়।

যে জ্যোৎস্না দেখে স্বামী গাঢ় স্বরে স্ত্রীকে বলবেন-

দেখ দেখ নীতু চাঁদটা তোমার মুখের মতই সুন্দর !

কাজলা দিদির স্যাঁতস্যাতে জ্যোৎস্না নয়।

যে জ্যোৎস্না বাসি স্মৃতিপূর্ন ডাস্টবিন উল্টে দেয় আকাশে।

কবির জ্যোৎস্না নয়। যে জ্যোৎস্না দেখে কবি বলবেন-

কি আশ্চর্য রূপার থালার মত চাঁদ !

আমি সিদ্ধার্থের মত গৃহত্যাগী জ্যোৎস্নার জন্য বসে আছি।

যে জ্যোৎস্না দেখামাত্র গৃহের সমস্ত দরজা খুলে যাবে-

ঘরের ভেতরে ঢুকে পরবে বিস্তৃত প্রান্তর।

প্রান্তরে হাঁটব, হাঁটব আর হাঁটব-

পূর্নিমার চাঁদ স্থির হয়ে থাকবে মধ্য আকাশে।

চারদিক থেকে বিবিধ কন্ঠ ডাকবে- আয় আয় আয়।

৩। বাসর

কপাটহীন একটা অস্থির ঘরে তার সঙ্গে দেখা ।

লোহার তৈরি ছোট্ট একটা ঘর ।

বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে কোন যোগ নেই ।

ঘরটা শুধু উঠছে আর নামছে ।

নামছে আর উঠছে ।

মানুষ ক্লান্ত হয় –

এ ঘরের কোন ক্লান্তি নেই।

এ রকম একটা ঘরেই বোধহয় বেহুলার বাসর হয়েছিল ।

নিশ্ছিদ্র লোহার একটা ঘর ।

কোন সাপ সেখানে ঢুকতে পারবে না ।

হিস হিস করে বলতে পারবে না, পাপ করো। পৃথিবীর সব আনন্দ পাপে ।

পুণ্য আনন্দহীন । উল্লাসহীন ।

পুণ্য করবে আকাশের ফিরিশতারা ।

কারণ পুণ্য করার জন্যেই তাদের তৈরি করা হয়েছে ।

লোহার সেই ঘরে ঢোকার জন্য সাপটা পথ খুঁজছিলো ।

সেই ফাঁকে বেহুলা তাঁর স্বামীকে বললেন, কি হয়েছে, তুমি ঘামছ কেন ?

আর তখন একটা সুতা সাপ ঢুকে গেলো।

ফিসফিস করে কোন একটা পরামর্শ দিতে গেলো ।

বেহুলা সেই পরামর্শ শুনলেন না বলেই কি লখিন্দরকে মরতে হল ?


তার সঙ্গে আমার দেখা কপাটহীন একটা অস্থির ঘরে ।

ঘরটা শুধু ওঠে আর নামে ।

আমি তাকে বলতে গেলাম - আচ্ছা শুনুন, আপনার কি মনে হচ্ছে না

এই ঘরটা আসলে আমাদের বাসর ঘর ?

আপনি আর কেউ নন, আপনি বেহুলা ।

যেই আপনি ভালবেসে আমাকে কিছু বলতে যাবেন

ওম্নি একটা সুতা সাপ এসে আমাকে কামড়ে দেবে ।

আমাকে বাঁচিয়ে রাখুন । দয়া করে কিছু বলবেন না ।


৪। অশ্রু

আমার বন্ধুর বিয়ে

উপহার বগলে নিয়ে

আমি আর আতাহার,

মৌচাক মোড়ে এসে বাস থেকে নামলাম

দু’সেকেন্ড থামলাম।।

টিপটিপ ঝিপঝিপ

বৃষ্টি কি পড়ছে?

আকাশের অশ্রু ফোঁটা ফোঁটা ঝরছে?


আমি আর আতাহার

বলুন কি করি আর?

উপহার বগলে নিয়ে আকাশের অশ্রু

সারা গায়ে মাখলাম।।

হি হি করে হাসলাম।।

৫। কব্বর

তিনি শায়িত ছিলেন গাঢ় কব্বরে

যার দৈর্ঘ্য-প্রস্থ বেঁধে দেয়া,

গভীরতা নয়।

কব্বরে শুয়ে তাঁর হাত কাঁপে পা কাঁপে

গভীর বিস্ময়বোধ হয়।

মনে জাগে নানা সংশয়।

মৃত্যু তো এসে গেছে, শুয়ে আছে পাশে

তবু কেন কাটে না এ বেহুদা সংশয়?

৬। বাবার চিঠি

আমি যাচ্ছি নাখালপাড়ায়।

আমার বৃদ্ধ পিতা আমাকে পাঠাচ্ছেন তাঁর

প্রথম প্রেমিকার কাছে।

আমার প্যান্টের পকেটে সাদা খামে মোড়া বাবার লেখা দীর্ঘ পত্র।

খুব যত্নে খামের উপর তিনি তাঁর প্রণয়িনীর নাম লিখেছেন।

কে জানে চিঠিতে কি লেখা - ?

তাঁর শরীরের সাম্প্রতিক অবস্থার বিস্তারিত বর্ণনা ?

রাতে ঘুম হচ্ছেনা, রক্তে সুগার বেড়ে গেছে

কষ্ট পাচ্ছেন হাঁপানিতে - এইসব হাবিজাবি। প্রেমিকার কাছে

লেখা চিঠি বয়সের ভারে প্রসঙ্গ পাল্টায়

অন্য রকম হয়ে যায়।

সেখানে জোছনার কথা থাকে না,

সাম্প্রতিক শ্বাসকষ্ট বড় হয়ে উঠে।

প্রেমিকাও একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর

রোগভুগের কথা পড়তে ভালবাসেন।

চিঠি পড়তে পড়তে দরদে গলিত হন –

আহা, বেচারা ইদানিং বড্ড কষ্ট পাচ্ছে তো ...

৭।সংসার

শোন মিলি।

দুঃখ তার বিষমাখা তীরে তোকে

বিঁধে বারংবার।

তবুও নিশ্চিত জানি,একদিন হবে তোর

সোনার সংসার ।।

উঠোনে পড়বে এসে একফালি রোদ

তার পাশে শিশু গুটিকয়

তাহাদের ধুলোমাখা হাতে - ধরা দেবে

পৃথিবীর সকল বিস্ময়।

৮। তিনি

এক জরাগ্রস্থ বৃদ্ধ ছিলেন নিজ মনে

আপন ভুবনে।

জরার কারণে তিনি পুরোপুরি বৃক্ষ এক।

বাতাসে বৃক্ষের পাতা কাঁপে

তাঁর কাঁপে হাতের আঙ্গুল।

বৃদ্ধের সহযাত্রী জবুথবু-

পা নেই,শুধু পায়ের স্মৃতি পড়ে আছে।

সেই স্মৃতি ঢাকা থাকে খয়েরি চাদরে।

জরাগ্রস্থ বৃদ্ধ ভাবে চাদরের রঙটা নীল হলে ভাল ছিল।

স্মৃতির রং সব সময় নীল।

৯। কাচপোকা

একটা ঝকঝকে রঙিন কাচপোকা

হাঁটতে হাঁটতে এক ঝলক রোদের মধ্যে পড়ে গেল।

ঝিকমিকিয়ে উঠল তার নকশাকাটা লাল নীল সবুজ শরীর।

বিরক্ত হয়ে বলল,রোদ কেন?

আমি চাই অন্ধকার ।চির অন্ধকার

আমার ষোলটা পায়ে একটা ভারি শরীর বয়ে নিয়ে যাচ্ছি-

অন্ধকার দেখব বলে।

আমি চাই অন্ধকার ।চির অন্ধকার

একটা সময়ে এসে রোদ নিভে গেল

বাদুড়ে ডানায় ভর করে নামল আঁধার।

কি গাঢ়,পিচ্ছিল থকথকে অন্ধকার !

কাচপোকার ষোলটা ক্লান্ত পা বার বার

সেই পিচ্ছিল আঠালো অন্ধকারে ডেবে যাচ্ছিল।

তার খুব কষ্ট হচ্ছিল হাঁটতে

তবু সে হাঁটছে-

তাকে যেতে হবে আরও গভীর অন্ধকারে।

যে অন্ধকার-আলোর জন্মদাত্রী।

 ভালোবাসা নিয়ে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের কিছু উক্তি-

** সবাই তোমাকে কষ্ট দেবে, তোমাকে শুধু এমন একজনকে খুঁজে নিতে হবে যার দেয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারবে।

** যুদ্ধ এবং প্রেমে কোনো কিছু পরিকল্পনা মতো হয় না।

** প্রেমিকাবিহীন তরুণের পৃথিবীতে বেঁচে থাকা, ঘাসবিহীন মাঠে গরুর পায়চারির মতো।

** এই পৃথিবীতে প্রায় সবাই, তার থেকে বিপরীত স্বভাবের মানুষের সঙ্গে প্রেমে পড়ে।

** পৃথিবীতে অনেক ধরনের অত্যাচার আছে। ভালোবাসার অত্যাচার হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ানক অত্যাচার। এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনও কিছু বলা যায় না, শুধু সহ্য করে নিতে হয়।

** ভদ্র ছেলেদের জন্য মেয়েদের মনে কখনও প্রেম জাগে না। যা জাগে সেটা হল সহানুভূতি।

** কাউকে প্রচণ্ডভাবে ভালোবাসার মধ্যে এক ধরনের দুর্বলতা আছে। নিজেকে তখন তুচ্ছ এবং সামান্য মনে হয়। এ ব্যাপারটা নিজেকে ছোট করে দেয়।

** বাস্তবতা এতই কঠিন যে কখনও কখনও বুকের ভেতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালোবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে।

** ভালোলাগা এমন এক জিনিস যা একবার শুরু হলে সব কিছুই ভালো লাগতে থাকে।

** ভালোবাসাবাসির জন্য অনন্তকালের প্রয়োজন নেই, একটি মুহূর্তই যথেষ্ট।

 ভালোবাসা যদি তরল পানির মতো কোনো বস্তু হতো, তাহলে সেই ভালোবাসায় সব পৃথিবী তলিয়ে যেত। এমনকি হিমালয় পর্বতও!

  • ** ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে বিয়ে না হওয়াটাই বোধ হয় ভালো। বিয়ে হলে মানুষটা থাকে ভালোবাসা থাকে না। আর যদি বিয়ে না হয় তাহলে হয়তো বা ভালোবাসাটা থাকে, শুধু মানুষটাই থাকে না। মানুষ এবং ভালোবাসা এ দুয়ের মধ্যে ভালোবাসাই হয়তো বেশি প্রিয়।
  • অল্প বয়সের ভালোবাসা অন্ধ গণ্ডারের মতো। শুধুই একদিকে যায়। যুক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে, আদর দিয়ে এ গণ্ডারকে সামলানো যায় না।

হুমায়ুন আহমেদ স্যারের -এর  চিরন্তন বাণী বা উক্তি এই উক্তি গুলো তার বিভিন্ন বই থেকে সংগ্রহ করা  জাস্ট একবার চোখ বুলিয়ে দেখুন...
একসাথে এতোগুলো উক্তি পড়ার ধর্য্য থাকে না তাছাড়া মনে রাখাও সম্ভব নয় তাই শেয়ার করে আপনার ফেইসবুক টাইমলাইনে সেইভ রাখুন সময় পেলে একটু একটু করে পড়ে নিবেন ... ভালো লাগবে ...।
  • পৃথিবীতে আসার সময় প্রতিটি মানুষই একটি করে আলাদিনের প্রদীপ নিয়ে আসে…কিন্তু খুব কম মানুষই সেই প্রদীপ থেকে ঘুমন্ত দৈত্যকে জাগাতে পারে… —–হুমায়ুন আহমেদ
  • পৃথিবীতে অনেক ধরনের অত্যাচার আছে। ভালবাসার অত্যাচার হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ানক অত্যাচার। এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলা যায় না, শুধু সহ্য করে নিতে হয়। —হুমায়ূন আহমেদ
  • এই পৃথিবীতে প্রায় সবাই, তার থেকে বিপরীত স্বভাবের মানুষের সাথে প্রেমে পড়ে| _____হুমায়ূন আহমেদ
  •  তরুণী মেয়েদের হঠাৎ আসা আবেগ হঠাৎ চলে যায়। আবেগকে বাতাস না দিলেই হলো।আবেগ বায়বীয় ব্যাপার, বাতাস পেলেই তা বাড়ে। অন্য কিছুতে বাড়ে না | ___ হুমায়ুন আহমেদ
  •  সবাই তোমাকে কষ্ট দিবে, কিন্ত তোমাকে এমন একজনকে খুজে নিতে হবে, যার দেয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারবে|______হুমায়ূন আহমেদ
  •  অধিকাংশ মানুষ কল্পনায় সুন্দর, অথবা সুন্দর দুর থেকে। কাছে এলেই আকর্ষণ কমে যায়। মানুষই একই। কারো সম্পর্কে যত কম জানা যায়, সে তত ভাল মানুষ। -হুমায়ূন আহমদ
  •  বাস্তবতা এতই কঠিন যে কখনও কখনও বুকের ভিতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে। —-হুমায়ুন আহমেদ
😎 “কাউকে প্রচন্ডভাবে ভালবাসার মধ্যে এক ধরনের দুর্বলতা আছে।নিজেকে তখন তুচ্ছ এবং সামান্য মনে হয়। এই ব্যাপারটা নিজেকে ছোট করে দেয়।” -হুমায়ূন আহমেদ
  •  “যখন মানুষের খুব প্রিয় কেউ তাকে অপছন্দ, অবহেলা কিংবা ঘৃণা করে তখন প্রথম প্রথম মানুষ খুব কষ্ট পায় এবং চায় যে সব ঠিক হয়ে যাক । কিছুদিন পর সে সেই প্রিয় ব্যক্তিকে ছাড়া থাকতে শিখে যায়। আর অনেকদিন পরে সে আগের চেয়েও অনেকবেশী খুশি থাকে যখন সে বুঝতে পারে যে কারো ভালবাসায় জীবনে অনেক কিছুই আসে যায় কিন্তু কারো অবহেলায় সত্যিই কিছু আসে যায় না।”
  • পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ সম্ভবত কষ্ট পাবার জন্যই জন্মায়। টাকা পয়সার কষ্ট নয়- মানসিক কষ্ট।- হুমায়ূন আহমেদ মায়ের গায়ে কোন দোষ লাগে না। ছেলে-মেয়ে মায়ের ত্রুটি দেখবে না। অন্যেরা হয়ত দেখবে, সন্তান কখনও না। - হুমায়ূন আহমেদ
  • কিছু কিছু মানুষ ভাগ্যকে নিজের হাতে গড়ে, আবার কারো কারো কাছে ভাগ্য আপনি এসে ধরা দেয়! ____(হুমায়ূন আহমেদ)
  • সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কেউ মিথ্যা বলতে পারে না।
মিথ্যা বলতে হয় অন্যদিকে তাকিয়ে ! —হুমায়ূন আহমেদ
  • বয়সকালেই মানুষ ছোট খাট ভুল করতে থাকে। ছোটখাটো ভুল করা যখন অভ্যাস হয়ে যায় তখন করে বড় ভুল !- জোছনা ও জননীর গল্প; হুমায়ূন আহমেদ
  •  কখনো কখনো তোমার মুখটা বন্ধ রাখতে হবে। গর্বিত মাথাটা নত করতে হবে এবং স্বীকার করে নিতে হবে যে তুমি ভুল। এর অর্থ তুমি পরাজিত নাও, এর অর্থ তুমি পরিণত এবং শেষ বেলায় জয়ের হাসিটা হাসার ন্য ত্যাগ স্বীকারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। -হুমায়ুন আহমেদ
  • কাজল ছাড়া মেয়ে দুধ ছাড়া চায়ের মত। —হুমায়ূন আহমেদ
 ভদ্র ছেলেদের জন্য মেয়েদের মনে কখনও প্রেম জাগে না। যা জাগে সেটা হল সহানুভূতি | ___হুমায়ুন আহমেদ
  • মানুষ ট্রেইনের মত এক লাইনে চলে। তবে বিশেষ ঘটনার পর নতুন লাইন পাওয়া যায়। -হুমায়ুন আহমেদ
  •  চাঁদের বিশালতা মানুষের মাঝেও আছে, চাঁদ এক জীবনে বারবার ফিরে আসে, ঠিক তেমন
মানুষ প্রিয় বা অপ্রিয় যেই হোক,একবার চলে গেলে আবার ফিরে আসে। —হুমায়ূন আহমেদ
  •  প্রতিটি দুঃসংবাদের সঙ্গে একটি করে সুসংবাদ থাকে। -বাদশাহ নামদার
  •  মানুষ শুধু যে মানুষের কাছ থেকে শিখবে তা না। পশু পাখির কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। (বাদল দিনের দ্বিতীয় কদম ফুল)
  •  যে একদিন পড়িয়েছে সে শিক্ষক । সারাজীবনই শিক্ষক। আবার যে একদিন চুরি করেছে সে কিন্তু রাজীবনই চোর না, তাহলে পৃথিবীর সব মানুষই চোর হত _____ হুমায়ুন আহমেদ
  •  সমুদ্রের জীবনে যেমন জোয়ার-ভাটা আছে, মানুষের জীবনেও আছে। মানুষের সঙ্গে এই জায়গাতেই সমুদ্রের মিল। –হুমায়ূন আহমেদ
  • পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ সম্ভবত কষ্ট পাবার জন্যই জন্মায়। টাকা পয়সার কষ্ট নয়- মানসিক কষ্ট। – হুমায়ূন আহমেদ
  •  মেয়েদের স্বভাবই হচ্ছে হালকা জিনিস নিয়ে মাতামাতি করা। — হুমায়ূন আহমেদ]
  •  একজন মানুষকে সত্যিকারভাবে জানার উপায় হচ্ছে তার স্বপ্নটা জানা। —- কবি (হুমায়ূন আহমেদ)
  •  বাবা-মা’র প্রথম সন্তান হচ্ছে চমৎকার একটি জীবন্ত খেলনা। এই খেলনার সবই ভালো। খেলনা যখন হাসে, বা-মা হাসে। খেলনা যখন কাঁদে বাবা-মা’র মুখ অন্ধকার হয়ে যায়। — আমার ছেলেবেলা – হুমায়ূন আহমেদ

Post a Comment