হস্তমৈথুন কাকে বলে
হস্তমৈথুন হলো নিজেকে যৌনভাবে উত্তেজিত বা পরিতৃপ্ত করার জন্য নিজের যৌনাঙ্গ স্পর্শ বা ঘর্ষণ করা। এটি স্বাভাবিক যৌন আচরণ এবং প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, যা পুরুষ এবং নারী উভয়ের মধ্যেই দেখা যায়।
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
- পুরুষের ক্ষেত্রে: লিঙ্গে হাত দিয়ে ঘর্ষণ করে বীর্যপাত ঘটানো।
- নারীদের ক্ষেত্রে: যোনি বা ক্লিটোরিস স্পর্শ বা ঘর্ষণ করে যৌন তৃপ্তি লাভ করা।
কেন এটি করা হয়?
- যৌন উত্তেজনা প্রশমিত করতে।
- স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমাতে।
- ঘুমের আগে শরীর ও মনকে শান্ত করতে।
- যৌন ইচ্ছা নিয়ন্ত্রণ এবং নিজেকে ভালোভাবে বোঝার জন্য।
সাধারণ কিছু বিষয়:
- এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত এবং নিরাপদ অভ্যাস।
- অধিকাংশ মানুষ কৈশোর বা প্রাপ্তবয়স্ক বয়সে হস্তমৈথুন শুরু করে।
- চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী এটি স্বাভাবিক এবং স্বাস্থ্যকর যৌন আচরণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
হস্তমৈথুন সম্পর্কে কোনো অপরাধবোধ বা লজ্জা অনুভব করার দরকার নেই। এটি শরীরের একটি স্বাভাবিক চাহিদা এবং এর মাধ্যমে নিজেকে ভালোভাবে জানা যায়।
হস্তমৈথুনের ক্ষতি পূরণের উপায়
হস্তমৈথুন সাধারণত স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়, তবে অতিরিক্ত বা বাধ্যতামূলকভাবে করলে কিছু নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিতে পারে, যেমন – শারীরিক ক্লান্তি, মানসিক চাপ বা অপরাধবোধ। যদি আপনি মনে করেন যে এটি আপনার দৈনন্দিন জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, তবে কিছু উপায় অবলম্বন করে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।
হস্থমৈথনের কারণে শরীরে যে ক্ষতি হয় তা কিভাবে পূরণ করবেন জেনে নিন
হস্তমৈথুন, বর্তমানে ইয়ং ছেলে দের কাছে একটি বড় সমস্যা। চিকিত্সা বিজ্ঞান বকে নির্দিষ্ট পরিমাণে হস্তমৈথুন শরীরের পক্ষে ভালোই। কিন্তু সেই নির্দিষ্ট পরিমানের বাইরে হস্তমৈথুন খুবই খারাপ শরীরের পক্ষে। আমাদের মধ্যে অনেকেই এই অতিরিক্ত হস্তমৈথুনে অভ্যস্ত। হস্তমৈথুন এমন একটি অভ্যাস যা একবার কাউকে পেয়ে বসলে তা ত্যাগ করা খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।
কখনো কখনো দিনে একাধিক বার অভ্যস্ত হয়ে পড়ে এই হস্তমৈথুনে। চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন বার বার এই হস্তমৈথুনের ফলে পরবর্তী কালে যৌ-ন জীবনে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। তো এই বিষয়ে অনেক খবরই আপনারা জানেন। কিন্তু আজ এই প্রতিবেদনে আপনাদের জানাবো যে, কিভাবে এই অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে হওয়া সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। আসুন জেনে নিই বিস্তারিত।
চিকিত্সা বিজ্ঞানে দেখা গেছে যে, একবার বী-র্য পাতের জন্য যে সময় লাগে, তার জন্য প্রতি মিনিটে একজন পুরুষের খরচ হয় ৪.২ ক্যালরি, আর একটি মেয়ের প্রতি মিনিটে খরচ হয় ৩.১ ক্যালরি। এবার যত সময় ধরে হস্ত-মৈথুন হবে, তার সাথে এই সংখ্যাটা গুন করে মোট কতটা শক্তি খরচ হচ্ছে সেটা হিসেব করা যায়। এবার আমরা জানি যে, আমাদের শরীরে এই ক্যালরির গুরুত্ব কতটা। তাই মোটেই উচিত নয় এই ক্যালরি নষ্ট হওয়া। তাহলে হস্ত-মৈথুনের ফলে নষত হওয়া এই ক্যালরির পূরণ কি করে সম্ভব?
চিকিত্সকরা বলেন যে, এই নষ্ট হওয়া ক্যালরি পুনরুদ্ধারের উপায় হচ্ছে পুষ্টিকর, ক্যালরি যুক্ত খাবার খাওয়া। কি সেই খাবার গুলি, দেখে নিন। চিকিত্সকরা বলেন যে, হস্ত-মৈথুনের পর প্রচুর জল খেতে, এতে অনেক উপকার হয়। এছাড়া তারা আরও বলেন যে, দই খেতে। কারণ দই এ থাকে খুবই উচ্চ ক্যালরি। এক কাপ দইতে থাকে প্রায় ৯১০ ক্যালরি শক্তি।
তাই নষ্ট হয়ে যাওয়া ক্যালরি ফেরাতে এটি খুবই উপকারী বলে জানাচ্ছেন ডক্টররা। এছাড়াও বিভিন্ন ফল, ডিম, দুধ, ছোলা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা, যাদের খুব হস্ত-মৈথুনের অভ্যাস আছে যাদের, তাদের জন্য। কিন্তু সবার আগে এই চেষ্টাটা করতে বলা হচ্ছে যে, পারলে নির্দিষ্ট পরিমানেই হস্ত-মৈথুন করার কথা। আর সেটা সম্ভব না হলে তখনই এই সব ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলছেন চিকিত্সকরা।
এবার আসা যাক, যারা হস্ত-মৈথুন ছেড়ে দিয়েছেন কিছুদিন হল, বা বেশ অনেকদিনই হল তাদের ক্ষেত্রে কি করা যেতে পারে। এই বিষয় টা নিয়ে বেশি ভাববেন না, কারণ আমাদের শরীর নিজে থেকেই এই ক্ষতি পুরন করে নেয়। কিন্তু তারপর ও আরও বেশি করে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। পুষ্টিকর বলতে বেশি করে ফল খান, এর সাথে দুধ, ডিম, মাছ, চিকেন, মধু এসব বেশি করে খান।
হস্তমৈথুনের উপকারিতা
হস্তমৈথুন (Masturbation) একটি স্বাভাবিক এবং নিরাপদ শারীরিক প্রক্রিয়া। এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং শরীর ও মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
হস্তমৈথুনের উপকারিতা:
১. মানসিক চাপ কমায়
হস্তমৈথুনের সময় শরীরে এন্ডোরফিন (Endorphin) নামক "ফিল-গুড" হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং বিষণ্নতা কমাতে সাহায্য করে।
২. ভাল ঘুম হয়
শারীরিক উত্তেজনার পর শরীর শান্ত হয়, যা ঘুমের মান উন্নত করে এবং নিদ্রাহীনতার সমস্যা কমাতে সহায়ক।
৩. প্রোস্টেটের স্বাস্থ্য রক্ষা করে
পুরুষদের ক্ষেত্রে নিয়মিত হস্তমৈথুন প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত বীর্যপাত প্রোস্টেটের সুস্থতা বজায় রাখে।
৪. যৌন অক্ষমতা দূর করে
হস্তমৈথুন যৌনজীবনের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার এবং নিজের শরীর সম্পর্কে বোঝার সুযোগ দেয়। এটি যৌন উত্তেজনা এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
৫. কষ্ট এবং ব্যথা কমায়
মাসিক চলাকালীন বা অন্যান্য সময়ে নারীদের ক্ষেত্রে হস্তমৈথুন পেটের ব্যথা এবং মাসিকজনিত ব্যথা কমাতে সহায়ক।
৬. ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে
বীর্যপাতের মাধ্যমে শরীরে কর্টিসল (Cortisol) নামক হরমোন নিঃসৃত হয়, যা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৭. সন্তুষ্টি এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়
নিজের যৌন ইচ্ছা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং শরীর সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে ওঠে।
৮. পিরিয়ডের সমস্যা হ্রাস
নারীদের ক্ষেত্রে হস্তমৈথুনের ফলে জরায়ু সঙ্কোচন হয়, যা মাসিক চক্রের সময় ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।