১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য।বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বক্তব্য।১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস সংক্ষিপ্ত বক্তব্য

 

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য

১৬ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় বিজয় দিবস। এটি একটি গৌরবোজ্জ্বল দিন যা বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিজয়ের প্রতীক। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের অবসান ঘটে এবং পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে আমরা আমাদের মুক্তির স্বাদ পাই।

বিজয় দিবসের তাৎপর্য
বিজয় দিবস শুধু একটি তারিখ নয়, এটি আমাদের জাতীয় চেতনায় এক অমূল্য অধ্যায়। এই দিনে আমরা স্মরণ করি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া লাখো মুক্তিযোদ্ধাকে, যারা তাদের জীবন দিয়ে আমাদের জন্য স্বাধীনতার আলো এনেছিলেন। তারা তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমাদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়ে গেছেন।

বক্তব্যে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়
১. মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি:
১৯৭১ সালের মার্চ মাসে শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধ একটি ঐতিহাসিক অধ্যায়। দীর্ঘ নয় মাস ধরে দেশের সর্বস্তরের মানুষ একত্রিত হয়ে মুক্তির জন্য লড়াই করে।

২. নেতৃত্বের ভূমিকা:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই এবং স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণ করি। তার সাহসী নেতৃত্ব আমাদের অনুপ্রাণিত করেছিল।

3.      আন্তর্জাতিক সমর্থন পরিণাম:
মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সমর্থন এবং বিশ্ববাসীর সহানুভূতি আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করে।

4.      বর্তমান প্রজন্মের দায়িত্ব:
বিজয়ের চেতনাকে ধারণ করে আমাদের কাজ করতে হবে। স্বাধীনতার সুফল পেতে হলে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

উপসংহার
১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের দিন। এটি কেবল উৎসবের নয়, বরং আমাদের জন্য এক বিরাট দায়িত্বের প্রতীক। আমাদের প্রজন্মকে এই বিজয়ের গৌরব ধরে রাখতে হবে এবং দেশকে উন্নয়নের শীর্ষে নিয়ে যেতে হবে।

"জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু!"

বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বক্তব্য

সম্মানিত অতিথিবৃন্দ, প্রিয় সহকর্মী এবং প্রিয় শিক্ষার্থীরা,
আসসালামু আলাইকুম/আদাব।

আজ আমরা এখানে সমবেত হয়েছি আমাদের জাতীয় জীবনের এক গৌরবময় অধ্যায়, ১৬ ডিসেম্বর, বিজয় দিবস উদযাপন করতে। এই দিনটি আমাদের বাঙালি জাতির আত্মত্যাগ, সাহস এবং দৃঢ়প্রত্যয়ের এক অনন্য উদাহরণ।

১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে স্বাধীনতার বিজয় অর্জন করি। আমাদের মহান মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ, ত্যাগ-তিতিক্ষা, এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ফলেই আজ আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক।

বিজয় দিবসের তাৎপর্য:
বিজয় দিবস আমাদের জাতীয় গৌরব এবং স্বাধীনতার প্রতীক। এটি শুধু একটি দিন নয়, বরং এটি আমাদের ইতিহাসের ভিত্তি। এই দিনে আমরা স্মরণ করি সেই সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাকে, যারা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধ শুধুমাত্র একটি সামরিক সংঘাত ছিল না, এটি ছিল আমাদের জাতীয় অধিকার, ভাষা, সংস্কৃতি এবং স্বাধীন অস্তিত্বের দাবির এক অনন্য সংগ্রাম।

বিজয় দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্য:
. শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা।
. নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানানো।
. দেশের উন্নয়ন এবং অগ্রগতিতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা।

বিজয়ের চেতনা:
আজকের এই দিনে আমাদের শপথ নিতে হবে যে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রাখব। দেশের উন্নয়ন, সাম্য, এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখব। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাব।

উপসংহার:
সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি বলতে চাই, আমাদের স্বাধীনতা এসেছে অনেক ত্যাগের মাধ্যমে। তাই এই অর্জনকে যথাযথ সম্মান দিয়ে আমাদের দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।

জয় বাংলা! জয় বঙ্গবন্ধু!
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক!

Post a Comment