দ্বন্দ্ব নয় সংসার গঠনে চাই বিশ্বাস
সাদিয়া আফরিন মুক্তা
বিশ্বাস হচ্ছে এমন একটা শব্দ যার উপর depend করে এই গোটা বিশ্ব দাঁড়িয়ে আছে। বিশ্বাস না থাকতে এই পৃথিবী কবেই ধ্বংস হয়ে যেতো আর আমরা নিশ্চিহৃ হয়ে যেতাম।যে কোন সম্পর্ক গড়ে উঠার পূর্ব শর্ত হচ্ছে বিশ্বাস।বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে আমরা একে অপরের সংস্পর্শে আসি।সৃষ্টি হয় সম্প্রীতি,বন্ধুত্ব,আত্মীয়তা, প্রেমপ্রীতি, ভালবাসা ইত্যাদি। এমনকি সামাজিক, রাষ্ট্রীয় বা অন্যান্য ক্ষেত্রে যেকোন উন্নয়ণের অবকাঠামোও গড়ে উঠে বিশ্বাস থেকে।যেমন-কোন সরকারের অঙ্গসংগঠনের প্রতিটি সদস্য যদি হয় সৎ,নিষ্ঠাবান ও বিশ্বস্ত। তাহলে এই সরকার খুব সহজেই অল্প সময়ের মধ্যে উন্নতির চরম শিকরে আরোহণ করতে পারে। অপরপক্ষে যদি সদস্যগণ অসৎ,অলস,দুর্নীতিবাজ ও অবিশ্বস্ত হয় তাহলে এটি উন্নতি করার বদলে ধীরে ধীরে অবনতির দিকে ধাবিত হয়।তেমনি একটি জটিল, কঠিন জায়গা হচ্ছে সংসার।দুটি ভিন্ন পরিবার থেকে আসা দুজন অচেনা, অজানা মানুষকে নিয়ে গড়ে উঠে এই সংসার।এরা সাধারণত সামাজিক শর্ত মোতাবেক বিয়ের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হয়ে একে অপরের সংস্পর্শে আসে।এখানে বিশ্বাস একটা বিরাট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।বিশ্বাস অর্থ আস্থা বা ভরসা।স্বামী স্ত্রীর প্রতি ও স্ত্রী স্বামীর প্রতি যদি বিশ্বাস বা আস্থা না থাকে তাহলে সংসার জীবন সুখের হয় না।আর এটি গড়ে উঠলেও বেশিদিন ঠিকে থাকে না। বর্তমান শিল্প সমাজে মানুষ হয়ে যাচ্ছে যান্ত্রিক আর কমে যাচ্ছে আদর,স্নেহ,বন্ধন,ভালবাসা, সহানুভূতি ইত্যাদি। এর মূল কারণ হচ্ছে সন্দেহ ও অবিশ্বাস। অবিশ্বাস থাকার কারণে কোটিপতি দম্পতিরাও সুখী হয় না,তাদের সংসারে দিনরাত ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকে।কখনো হয় মারামারি,থানা পুলিশ ইত্যাদি। এতে ছেলেমেয়েরাও এই বঞ্চনার স্বীকার হয়। অপরপক্ষ বিশ্বস্ততার আশীর্বাদে খেটে খাওয়া চাষির দম্পতিরাও সুখী হয়। আর তাদের সন্তানেরাও বড় হয়ে উচ্চশিক্ষিত ও উচ্চ ডিগ্রী প্রাপ্ত হয় এবং দেশ ও দশের উন্নয়ণের কাজে ব্রতী হয়।সংসার যদি সুখের হয় তাহলে তো কোন কথাই থাকে না,আর যদি সংসারে অশান্তি থাকে তাহলে মনে বিভিন্ন খারাপ চিন্তা বাসা বাঁধে আর এই চিন্তা থেকে শরীরে বিভিন্ন রোগব্যাধির আবির্ভাব ঘটে।মনোবিজ্ঞানের মতে,আমাদের দেহের শতকরা ৭০-৮০ ভাগ রোগই মনের জন্য হয়ে থাকে। আর মন ভালো বা খারাপ নির্ভর করে