
মানিক পাল

ঋণখেলাপি
মানিক
পাল
টাকাকড়ি
ধার-দেনা সব
শোধ
হবে একদিন,
কী
করে শোধ হবে বলো
মায়ের
বিশাল ঋণ?
সকল
ঋনের হিসেব নিকেশ
যায়
কাগজে লেখা,
মায়ের
ঋণের নেইতো হিসেব
শোধের
কোঠা ফাঁকা!
জন্ম
দাত্রী মা বলো আর
ধরিত্রী
ওই মা,
সবার
কাছেই ঋণ যে কত
ভেবেও
দেখিনা!
জঠরে"মা"করলো ধারণ
তাঁর
আদরের ধন,
"মা"
সয়েছে প্রসব ব্যাথা
রেখেই
জীবন পণ!
"মা"ঢেলেছে সুধা-অমৃত
নিলাম
শুষে উদরে,
বিন্দু
থেকে বিশাল হলো
রূপ
নিলো ক্ষীর সাগরে!
ধরিত্রী"মা"বক্ষ চিরে
দিচ্ছে
তুলে উপহার,
ঠাঁই
দিয়েছে আঁচল পেতে
বৈচিত্র্যময়
এ সংসার।
আমরা
শুধুই যাচ্ছি নিয়ে
ইচ্ছে
মত হাতপেতে!
ভাবিনিতো
ঋণ যে অনেক
একটু
হলেও শোধ দিতে?
বাড়ি,গাড়ি,টাকা-কড়ি
রাজ্য
কিংবা রাজত্ব,
সবই
মিছে,না যদি রয়
মায়ের
প্রতি দায়িত্ব!
সকল
ঋণের শোধ করা যায়
আজ
কিংবা কাল,
মাতৃ
ঋণের"ঋণ খেলাপি"
থাকবেই
চিরকাল!
তাই--
একটু
ভালোবাসা যদি
জাগে
মায়ের তরে
তাঁর
ভাবনায় দু'চোখ যদি
একটু
জলে ভরে!
একটু
যদি ঋণের বোঝা
কমে
তাতে মন্দ কী?
খরচা
বিহীন ঋণ পরিশোধ
তাতে দ্বিধাদ্বন্দ্ব
কী?
মিছেমিছি
খুঁজে মরি
গড-আল্লাহ-ভগবান,
মায়ের
বুকে দেখো খুঁজে
সেখানেই
তাঁর অধিষ্ঠান।
বাবা
️মানিক
পাল
যতই
ডাকো ড্যাড,ফাদার
কিংবা--বলো পাপা,
আমার
কাছে ভীষণ মধুর
একটা
শব্দ "বাবা"।
বাবা
বলে ডাকলেই দেখি
একটা
বিশাল ভুবন
আসলে
তুফান পাই ভরসা
দিশা
হারাই যখন।
বাবা
বলে ডাকলেই দেখি
দাঁড়িয়ে
বট বৃক্ষ,
আগলে
রাখে ছড়িয়ে বাহু
দেয়
বাড়িয়ে বক্ষ!
বাবা
বলে ডাকলেই দেখি
মাথার
উপর ছাতা
এক
নিমিষেই যায় পালিয়ে
তপ্ত
দহন ব্যাথা!
বাবা
বলে ডাকলে আজো
সাহস
জাগে বুকে
চলার
পথে পাই ভরসা
হাসি
ফোটে মুখে।
বাবা
বলে ডাকলেই দেখি
ওই
তো ভগবান
যা
পেয়েছি এই ভুবনে তাঁরই
অবদান।