শিক্ষক
সমাজের দর্পণ
সাদিয়া আফরিন মুক্তা
শিক্ষাই
জাতির মেরুদণ্ড আর শিক্ষার মেরুদণ্ড
হচ্ছে শিক্ষক। মেরুদণ্ড ব্যতীত
যেমন কোন প্রাণী সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না তেমনি শিক্ষা
ব্যতীত কোন জাতির উন্নয়ণ বা কোন প্রকার
কল্যাণসাধন সম্ভবপর নয়। আর এই মহান
ও মহৎ কাজে যারা নিয়োজিত আছেন তাদের বলা হয় শিক্ষক। শিক্ষকতা
একটি আদর্শ ও মহান পেশা,সেবামূলক কাজ ও একটি সমাজকল্যাণমূলক
ব্রত।শিক্ষক সমাজের মহামানব, তাদের সমাজের মেরুদণ্ডও বলা হয়।
মানুষ পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে জ্ঞানবোধ,বিচারবুদ্ধিহীন একটি প্রাণীস্বরূপ।তাকে জ্ঞানবোধ,বিচারবুদ্ধি এবং পৃথিবীর সার্বিক গুণে গুণান্বিত করে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেন শিক্ষক।তাই শিক্ষককে মানুষ গড়ার কারিগর বলা হয়। শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মধ্যযুগের একজন কবি বলেছিলেন, শিক্ষক তাকে দ্বিতীয় জন্মদান করেছেন। পিতামাতার বদৌলতে সন্তান পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে ঠিকই কিন্তু সেই সন্তানের জীবন সফল ও সার্থক হওয়ার পেছনে যার অবদান সবচেয়ে বেশি তিনি হলেন শিক্ষক। শিক্ষকের সংস্পর্শে এসে আমরা অর্জন করি পৃথিবীর মহামূল্যবান পাঠ।জ্ঞানের পৃথিবীতে তিনি আমাদের দ্বিতীয়বার জন্মদান করেন।পিতামাতার পরেই শিক্ষকের স্থান। পিতামাতা যেমন তাদের স্নেহ ভালবাসা দিয়ে আমাদের লালনপালনের মাধ্যমে বড় করে তুলেন। তেমনি শিক্ষক আমাদের অক্ষর-জ্ঞান,নম্র-ভদ্র,আদব-কায়দা,ভালো-মন্দ,সঠিক-ভুল,সৎ-অসৎ, নৈতিক-অনৈতিক, মূল্যবোধ-মানবিকতা ইত্যাদি পৃথিবীর যাবতীয় শিক্ষায় শিক্ষাদানে আমাদের উপযুক্ত ও খাঁটি মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেন।তাই আমরা শিক্ষকের কাছে চিরকাল চিরঋণী। এরিস্টটলের ছাত্র আলেকজান্ডার বলেছিলেন, জন্মের জন্য আমি পিতামাতার কাছে ঋণী আর মেধা ও মনন বিকাশের জন্য শিক্ষকের কাছে ঋণী। শিক্ষক জাতির বিবেক ও স্পন্দন। শিক্ষক ছাড়া উন্নত সমাজ, টেকসই উন্নয়ণ ও উজ্জ্বল জীবন কল্পনাতীত।সমাজচিন্তক জন ফস্টার বলেন,শিক্ষা ছাড়া প্রতিভাবান ব্যক্তি খনিতে পড়ে থাকা রূপোর মতো।শিক্ষক হলো মালীর সাদৃশ। মালী যেমন তার শ্রম,যত্ন ও পরিচর্যা দিয়ে বাগানে সুগন্ধে ভরপুর শতশত ফুল ফুটায় তেমনি শিক্ষক তার অক্লান্ত পরিশ্রম, বিবেকবুদ্ধি, সততা,সময়নিষ্ঠা,শিষ্টাচার, ন্যায়নিষ্ঠা,মহানুভবতা, কর্তব্যপরায়ণ,ধৈর্য্য, কৌশল ইত্যাদির দ্বারা তার ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার