বসন্ত ঋতু বাংলার প্রকৃতিতে এক অনন্য সৌন্দর্য বয়ে আনে। এটি শীতের শেষে আসে, যখন প্রকৃতি নতুন করে জেগে ওঠে। বাংলায় বসন্ত মাস ফাল্গুন ও চৈত্র, অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে পড়ে।
বসন্তের বৈশিষ্ট্য:
- প্রকৃতির রঙের খেলা: গাছে নতুন পাতা গজায়, আর চারপাশে নানা রঙের ফুল ফোটে – শিমুল, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া।
- ফুলের সুবাস: কোকিলের ডাক আর ফুলের মিষ্টি গন্ধ চারপাশ ভরে তোলে।
- উৎসবের ঋতু: এই ঋতুতে বসন্ত উৎসব এবং পহেলা ফাল্গুন উদযাপিত হয়। মানুষ হলুদ বা গেরুয়া রঙের পোশাক পরে বসন্তকে বরণ করে নেয়।
- মৃদু বাতাস: শীতের হিমেল হাওয়া বিদায় নেয়, এবং মৃদু উষ্ণ বাতাস বইতে শুরু করে।
সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বসন্ত:
বসন্ত বাংলা সাহিত্যে এবং কবিতায় বারবার এসেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলামসহ অনেক কবি বসন্ত নিয়ে কবিতা লিখেছেন। এটি প্রেম, জীবনের নতুন অধ্যায় এবং আনন্দের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়।
"বসন্ত এসে গেছে" – এই কথাটি বাংলার মানুষের মনে নতুন আশা ও আনন্দের বার্তা দেয়।
প্রিয় পাঠক আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হলো বসন্তের সেরা কবিতাগুলো।
বসন্তের দিনে
বাপী নাগ
নতুন পাতা দোলে বাতাসে
বসন্ত যে এসে গেছে।
গাছে ধরেছে আমের বোল
পাখিরা গান গাইছে।
মিষ্টি রোদ আকাশের গায়
কুসুম কলি ফোটে।
উড়ছে পাখি দূর আকাশে
নেই যে তারা কষ্টে।
সুন্দর এই দিনগুলো আজ
তোমার হয়ে থাক।
তোমার এ ভালোবাসা কুহু
কোকিলের ডাক।
নানা রঙে বসন্ত এসে গেছে
হলুদ কিংবা নীল।
রঙের-ই ছোঁয়ায় মন ভরবে
কতই আছে মিল।
আবিরের রং যে চারিপাশে
গাছে পাখি ডাকে।
সবাই আনন্দে মাতে আজ
রং দেব যে তাকে।
এলো মনেতে আজ বসন্ত
মনেতে রঙ ছড়ায়
ফাগুনের এই দিনে দুচোখ
কত কি যে দেখায়।
রঙ খেলার এই দোলযাত্রা
ফাগুনের দিনেতে
হালকা হালকা মৃদু বাতাস
রঙে সবাই মাতে।
হৃদয়ে বসন্তের দোলা
হুজ্জাত খান
বসন্তের উত্তপ্ত মন হৃদয়ে কামনা স্পর্শের,
দুর প্রান্তরে দাড়িয়ে হাত ইসারায়,
ঝলমলে রোদ হাসছে,
তোমাকে ডাকে কাছে আসতে,
সঙ্গী হবে মোর, বসন্তের পড়োন্ত বিকেল।
অধো আলো ছায়ায় অন্তিম বিকেলে ,
চোখ জোড়ানো সোনালী রোদ,
নিজেকে ধরে রাখার ব্যর্থ চেষ্ট,
ইচ্ছে করে নিশ্বাসের সঙ্গে মিশে যেতে,
সঙ্গী হবে মোর, বসন্তের পড়োন্ত বিকেল।
ইচ্ছে করে ঘাস ফড়িং এর পিছনে ছোটাছুটি,
চঞ্চলতা গ্রাস করে লজ্জা,
কিছুতেই সম্ভব নয় একা থাকা,
তোমাকে কাছে পেতে ব্যাকুল,
সঙ্গী হবে মোর, বসন্তের পড়োন্ত বিকেল।
স্নিগ্ধ বাতাস লোমকুপে তোমার স্পর্শ ,
হাত ধরে তোমার কাছে টানে ,
উৎফুল্ল চঞ্চলতায় নুয়ে যায় দিধা,
আকাক্ষা রুপান্তরিত হয় আলিঙ্গনে,
সঙ্গী হয়েছে সার্থক সন্তের পড়ন্ত বিকেল।
আজ বসন্ত এসেছে
লেখাঃপাপ্পু আহমেদ
বসন্তের ফুলে ফুলে ভোমর আজ উড়ে উড়ে,
সঙ্গে সাথী কেউ হলোনা আজ বসন্তের এই দিনে।
প্রতিটা গাছে গাছে ফুটেছে আজ ফুল,
কৃষ্ণচূড়া আর শিমুল ফুল,
বসন্তের হাওয়া লেগেছে মনে যে মধুর।
ফাল্গুনের পহেলায় মেতেছে এ মন।
বাউলের কন্ঠে আজ কোকিলের সুর,
ফাল্গুনের পহেলা কবিতা লেগেছে যে সুমধুর।
আজ ফুলের গন্ধ ছড়াইতেছে,
ভোমর ছুটে চলেছে,
আজ বসন্ত এসেছে।
হলুদ শাড়ি খোঁপায় বেলি ফুল,
নববধূর সাজে সাজিয়েছে আজ বাঙালি বধু!
আজ বসন্ত এসেছে।
নববধুর হৃদয়ের আঙ্গিনায় ফুটেছে আজ ফুল।
সেই মিষ্টি মধুর কন্ঠে কোকিলের কুহু কুহু ডাক,
সবার মনে লাগুক আজ বসন্তের সুবাস।
বসন্তের ছোঁয়া
মোঃ ইব্রাহিম মিয়া
মুকুলের সমারোহ যেন জেগেছে আজ বনে বনে
আগমনের অগ্রিম প্রতিক্ষনে
কে যেন কড়া নাড়ছে প্রকৃতির কোণে
আশে পাশে তাকিয়ে দেখি
কে যেন খেলছে আজ হলুদের হলি,
কানে কানে শুধুই কানাকানি
চেয়ে দেখি হলুদ গাঁধা ফুলের কলি
মনে মনে বসন্ত বরনে
সেজেছে আজ কনে ।
আকাশে দেখি উড়ছে পাখি
গাইছে নতুন সুরে গান
বসন্তের ছোঁয়ায় আজ ছুঁয়েছে মন
নীড়ে থাকতে চায়না তারা সর্বক্ষণ
বসন্তের হাতছানি ডাকছে শিমুল ফুলে
দুঃখের সব কোলাহল
আজ যাব সবায় ভুলে ।
শীতের ভারে ঝড়া পাতাগুলো
পেয়েছে আজ প্রাণ
বসন্ত এসেছে তা জানিয়ে
গাইছে তারা শুধু গান
গাছে গাছে নতুন মুকুল আর কচিপাতা
শীত যেন লজ্জায় লোকায় মাথা
বসন্তের এমন দিনে
তুমি এখনো বসে আছ কোথায়?
প্রকৃতির নৌকার পালে
আজ যে বসন্ত হেলে আর দূলে
কোকিলের কুহু কুহু সুরে
মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে ঋতু রাজ ধরনীর পাড়ে
বসন্তের এই জাগ্রত দ্বাড়ে
তুমি আজ থাকিয়না দূরে ।
আমি কবিতা লিখতে পারবো না
শ্রী রাজিব বাবু রুদ্র
প্রিয়তম,
তুমি শিমুল ফুল চাও?
আমি এনে দিবো,
তুমি সোনালু ফুল চাও?
আমি একগোছা সোনালু তোমার খোঁপায় গুঁজে দিবো
কিন্তু আমায় তুমি কবিতা লিখতে বোলো না
আমি কবিতা লিখতে পারবো না।
ফুলকুমারি,
তুমি ভাঁটি ফুল নাও
বাহারি রংয়ের চাপা চাপা ফুল
আমি এনে দিবো।
তুমি কৃষ্ণচূড়া নিবে?
লাল টুকটুকে কৃষ্ণচূড়া
আমি তোমার কানে গুঁজে দিবো।
কিন্তু আমি কবিতা লিখতে পারবো না
আমায় কবিতা লিখতে বোলো না।
ওগো ললনা,
তোমায় লিচু;না না আম্রমঞ্জরী দেই
ডালা ভরে কুড়ায়ে।
কাঠালমুচি নাওনা
ভারী সুন্দর লাগবে
যদি লকেট করে পরিয়ে দেই গলাতে।
আর ভালে দিবো অরণ্যের অগ্নিশিখা
শুধু আমায় কবিতা লিখতে বোলো না
আমি কবিতা লিখতে পারবো না।
সুস্মিতা,
পরো না,ঋতুরাজ বসন্তের বসন
সবুজ সতেজতা খচিত শাড়ি
জাম বাতাবির কচি পাতা
নিয়ে নাও ভুষন,সব আভরণ
দেখবে,লাগবে তোমায় ভারী
হয়ে সবাই নিশ্চুপ, হারা হবে ভাষা।
শুধু আমি কবিতা লিখতে পারবো না
আমায় কবিতা লিখতে বোলো না।
সুকন্যা,
শ্রাবণ মেঘে কচু পাতা নিবে মাথায়
বৃষ্টি তোমায় পারবে না ছুঁতে
শরতে তোমায় নিয়ে যাবো নদীর ধারে
কাশফুলের সাদা বনে।
আমি তুমি সাদা মেঘের ভেলায় চড়ে
ঘুরবো শরতের সারা আকাশ জুরে।
তবুও আমায় কবিতা লিখতে বোলো না
আমি কবিতা লিখতে পারবো না।
প্রেয়সী,
তারপর বর্ষায় দুজনে
ডিঙ্গি নায়ে যাবো বিলে ঝিলে
ডিঙ্গি ভরে শাপলা পদ্ম তুলে
দিবো তোমার কোলে।
নাও ভিড়ায়ে কুলে
তোমার ঐ কোমল দু'হাত ভরে দেবো
কদম ফুলে ফুলে।
রাখবো তোমার সব বায়না
কিন্তু আমি কবিতা লিখতে পারবো না
আমায় কবিতা লিখতে বোলো না।
বসন্তের ছোঁয়া
মোঃ ইব্রাহিম মিয়া
মুকুলের সমারোহ যেন জেগেছে আজ বনে বনে
আগমনের অগ্রিম প্রতিক্ষনে
কে যেন কড়া নাড়ছে প্রকৃতির কোণে
আশে পাশে তাকিয়ে দেখি
কে যেন খেলছে আজ হলুদের হলি,
কানে কানে শুধুই কানাকানি
চেয়ে দেখি হলুদ গাঁধা ফুলের কলি
মনে মনে বসন্ত বরনে
সেজেছে আজ কনে ।
আকাশে দেখি উড়ছে পাখি
গাইছে নতুন সুরে গান
বসন্তের ছোঁয়ায় আজ ছুঁয়েছে মন
নীড়ে থাকতে চায়না তারা সর্বক্ষণ
বসন্তের হাতছানি ডাকছে শিমুল ফুলে
দুঃখের সব কোলাহল
আজ যাব সবায় ভুলে ।
শীতের ভারে ঝড়া পাতাগুলো
পেয়েছে আজ প্রাণ
বসন্ত এসেছে তা জানিয়ে
গাইছে তারা শুধু গান
গাছে গাছে নতুন মুকুল আর কচিপাতা
শীত যেন লজ্জায় লোকায় মাথা
বসন্তের এমন দিনে
তুমি এখনো বসে আছ কোথায়?
প্রকৃতির নৌকার পালে
আজ যে বসন্ত হেলে আর দূলে
কোকিলের কুহু কুহু সুরে
মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে ঋতু রাজ ধরনীর পাড়ে
বসন্তের এই জাগ্রত দ্বাড়ে
তুমি আজ থাকিয়না দূরে ।
বসন্তের কোকিল
-মেহের আমজাদ
আমাকে কেউ ভালোবাসে কি না বলাটা কঠিন
যেনো সেই বসন্তের কোকিল
প্রয়োজনে আসে ভালোবেসে কুহু কুহু ডাকে
আমি সাড়া দিই বটে
কিছু অদ্ভূত সুখ দিয়ে কিছু মায়া দিয়ে
ঝরা পতার মত ঝরে যায়
আবারও ফিরে আসে বসন্তের কোকিলের মত।
এই আসা যাওয়ায় কতটা বসন্ত পার হয়ে গ্যাছে
থিতু হতে মনের মত মিতা হয়ে বাসা বাঁধেনি কেউ।
ওরা আসে যায় আমি যখন আাঁকড়ে ধরতে যাই
হৃদয়ের গহীনে পরম যত্নেœ রাখতে চাই
তখন আর থাকেনা কেউ
হয়ে যায় বসন্তের কোকিল।
অতঃপর থেকে যায় আমার ভীষণ কৌতুহল
কেনো হয় ওরা বসন্তের কোকিল !
কি সুখ পায় কি আনন্দ পায় ওদের কঠিন হৃদয়
জাগেনাকো কোন অনুভূতি ? আমি হই বিস্ময়।
বসন্ত
বসন্তী ফাগুনে কোকিলি সুর তানে
ভোমর গান গেয়ে যায়,আসিছে ফাগুন।
মন মহুয়ায় নাচে,বসন্তি ছোয়ায়
ফুটেছে ফুল,সুরভিত পুষ্প কানণ।
সেজেছে প্রকৃতি নয়নাভিরাম সাজে
উড়ে উড়ে প্রজাপতি দেয় তার জানান।
রঙিন এ বিহুর নেশায়,উড়ে আকাশে মন
কল্পে আঁকে স্বপ্ন, বাসা বুনে স্বপ্ন নানান।
রঙ বসন্তের এই বেলা,সেজেছে নতুন রূপে
কুহেলিকার রিক্ততা হলো বিদায়।
মনবসন্ত আনন্দে মাতোয়ারা
ডাকে কোকিলি কুহু, গায় অবলিলায়।
ফুটেছে তুলা,কৃষ্ণচূড়া,হাজার ফুল বসন্তী,
শুনলাম গান ভোমরের সুরে।
হর্ষে পুলকিত সবুজ সমারোহ
গায় ফাগুন গান,প্রজাপতি উড়ে।
এসো বসন্তের রঙে রাঙি সবে
ফাল্গুনি মিহিস্নিগ্ধ বইছে হাওয়া।
ফুটুক ফুল,প্রেম রঙ্গ, রসমালা
কোকিলের কণ্ঠ মিলিয়ে আমার এ গান গাওয়া।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে
আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে।
তব অবগুন্ঠিত কুন্ঠিত জীবনে
কোরো না বিড়ম্বিত তারে।
আজি খুলিয়ো হৃদয়দল খুলিয়ো,
আজি ভুলিয়ো আপনপর ভুলিয়ো,
এই সংগীতমুখরিত গগনে
তব গন্ধ করঙ্গিয়া তুলিয়ো।
এই বাহিরভূবনে দিশা হারায়ে
দিয়ো ছড়ায়ে মাধুরী ভারে ভারে।
অতি নিবিড় বেদনা বনমাঝে রে
আজি পল্লবে পল্লবে বাজে রে –
দূরে গগনে কাহার পথ চাহিয়া
আজি ব্যকুল বসুন্ধরা সাজে রে।
মোর পরানে দখিন বায়ু লাগিছে,
কারে দ্বারে দ্বারে কর হানি মাগিছে,
এই সৌরভবিহবল রজনী
কার চরণে ধরণীতলে জাগিছে।
ওগো সুন্দর, বল্লভ, কান্ত,
তব গম্ভীর আহবান কারে।
এলো বনান্তে পাগল বসন্ত
কাজী নজরুল ইসলাম
এলো বনান্তে পাগল বসন্ত।
বনে বনে মনে মনে রং সে ছড়ায় রে,চঞ্চল তরুণ দুরন্ত।
বাঁশীতে বাজায় সে বিধুর পরজ বসন্তের সুর,
পান্ডু-কপোলে জাগে রং নব অনুরাগে
রাঙা হল ধূসর দিগন্ত।
কিশলয়ে-পর্ণে অশান্ত ওড়ে তা’র অঞ্চল প্রাস্ত।
পলাশ-কলিতে তা’র ফুল-ধনু লঘু-ভার,
ফুলে ফুলে হাসি অফুরন্ত।
এলো মেলো দখিনা মলয় রে প্রলাপ বকিছে বনময় রে।
অকারণ মন মাঝে বিরহের বেণু বাজে।
জেগে ওঠে বেদনা ঘুমন্ত।
সুভাষ মুখোপাধ্যায়
ফুল ফুটুক না ফুটুক
ফুল ফুটুক না ফুটুক
আজ বসন্ত।
শান-বাঁধানো ফুটপাথে
পাথরে পা ডুবিয়ে এক কাঠখোট্টা গাছ
কচি কচি পাতায় পাঁজর ফাটিয়ে
হাসছে।
ফুল ফুটুক না ফুটুক
আজ বসন্ত।
আলোর চোখে কালো ঠুলি পরিয়ে
তারপর খুলে –
মৃত্যুর কোলে মানুষকে শুইয়ে দিয়ে
তারপর তুলে –
যে দিনগুলো রাস্তা দিয়ে চলে গেছে
যেন না ফেরে।
গায়ে হলুদ দেওয়া বিকেলে
একটা দুটো পয়সা পেলে
যে হরবোলা ছেলেটা
কোকিল ডাকতে ডাকতে যেত
– তাকে ডেকে নিয়ে গেছে দিনগুলো।
লাল কালিতে ছাপা হলদে চিঠির মত
আকাশটাকে মাথায় নিয়ে
এ-গলির এক কালোকুচ্ছিত আইবুড়ো মেয়ে
রেলিঙে বুক চেপে ধ’রে
এই সব সাত-পাঁচ ভাবছিল –
ঠিক সেই সময়
চোখের মাথা খেয়ে গায়ে উড়ে এসে বসল
আ মরণ ! পোড়ারমুখ লক্ষ্মীছাড়া প্রজাপতি !
তারপর দাড়ম করে দরজা বন্ধ হবার শব্দ।
অন্ধকারে মুখ চাপা দিয়ে
দড়িপাকানো সেই গাছ
তখন ও হাসছে।